Samakal:
2025-08-02@11:02:08 GMT

এক্স-ফাইভ বি প্লাস

Published: 2nd, February 2025 GMT

এক্স-ফাইভ বি প্লাস

সময়োপযোগী বহুরূপী ফিচার আর পারফরম্যান্স চাহিদা পূরণে সাশ্রয়ী ফোন উন্মোচন করেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অনার। নতুন এক্স৫বি প্লাস মডেলের হ্যান্ডসেটে বিশেষ কিছু সুবিধার কথা বলেছে নির্মাতারা।
ব্যাটারি ৫২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার। টানা চার বছর ব্যবহার করার পরও ৮৫ শতাংশ ব্যাটারি সক্রিয় থাকে। ব্যাটারিতে থাকা সুপারপাওয়ার সেভিং মোডের কারণে ফোনে ১০ শতাংশ চার্জ থাকলেও সচল থাকে ১৯ ঘণ্টা।
অনেকে দীর্ঘক্ষণ স্মার্টফোন চালানো নিয়ে নানা ধরনের জটিলতায় ভোগেন। যার মধ্যে চোখের সমস্যা অন্যতম। যার সমাধান দেবে ই-বুক মোড, আই প্রটেকশন মোড, ডিসি ডিমিং ও ডায়নামিক ডিমিং ডিসপ্লের মতো ফিচার। প্রাকৃতিক আলোর সঙ্গে স্মার্টফোনের আলোর সমন্বয় করে কম আলোতে ঝক্কি ছাড়া ফোন চালানোর অভিজ্ঞতা দেবে। ডিসপ্লের আকৃতি ৬.

৫৬ ইঞ্চি। ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট ও ৫৩০ নিটস। অন্যদিকে, সানলাইট মোডের কারণে সূর্যের প্রবল আলোর নিচেও স্বচ্ছ স্ক্রিনের অভিজ্ঞতা মিলবে।

ক্যামেরা ও স্টোরেজ
প্রধান ক্যামেরা ৫০ মেগাপিক্সেলের এআই আলট্রা-ক্লিয়ার। মেইন ক্যামেরা রয়েছে। নিখুঁত ও ঝকঝকে ছবি তোলার প্রয়োজন পূরণে কাজ করবে ৫ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা।
বাড়তি স্টোরেজ সুবিধায় রয়েছে ১২৮ জিবি রম। আগ্রহীরা ৬০ হাজার ছবি, ২৪ হাজার গান বা ২০০ মুভি অনায়াসে স্টোর করে রাখার সুযোগ পাবেন। গতির প্রশ্নে পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে ৪ জিবি র‌্যাম। চাহিদার প্রয়োজনে ব্র্যান্ডের টার্বো প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফ্ল্যাশ মেমোরি থেকে বর্ধিত ৪ জিবি র‌্যাম বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকবে।
নির্মাতারা জানান, ৫২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা আর

১২৮ জিবি স্টোরেজের স্মার্টফোনের দাম
১০ থেকে ১২ হাজার টাকার ভেতরে। বাজেটবান্ধব ফোন হিসেবে সময়ের প্রায় সব চাহিদা পূরণে মডেলটি ইতোমধ্যে তরুণ প্রজন্মের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
মডেলে রঙের বৈচিত্র্যে রয়েছে ওশেন ব্লু, মিডনাইট ব্ল্যাক ও স্ট্যারি পার্পল। তরুণরা যেমন সাশ্রয়ী মূল্যে আকর্ষণীয় সব ফিচার ব্যবহার করতে চায়, তেমনি একটু বয়স হয়েছে এমন মানুষও জটিল হ্যান্ডসেট হাতে নিতে চান না। সবার কথা বিবেচনা করে ব্র্যান্ডটি এ মডেলের উন্নয়ন করেছে বলে জানানো হয়।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

স্বপ্নের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে জুয়েল, অর্থাভাবে অনিশ্চিত ভুটান যাত্রা

ভুটান প্রিমিয়ার লিগের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব পারো এফসিতে খেলার সুযোগ পেয়েছেন নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের নওদাবস গ্রামের তরুণ ফুটবলার মো. জুয়েল রানা। কিন্তু অর্থাভাবে অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে তার স্বপ্নপূরণের যাত্রা।

শৈশব থেকেই ফুটবলের প্রতি ছিল জুয়েলের গভীর ভালোবাসা। স্থানীয় পর্যায়ের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে নিজেকে চিনিয়েছেন জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়েও। খেলেছেন ঢাকা সিটি কাপ, মেয়র কাপ, এমনকি বসুন্ধরা অনূর্ধ্ব-১৮ দলের হয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় ডাক পান ভুটানের পেশাদার ফুটবল লিগের ট্রায়াল ক্যাম্পে, যেখানে ৫০ জনের মধ্যে বাংলাদেশের মাত্র তিনজন নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের একজন জুয়েল। বর্তমানে জুয়েল ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যামার স্কুল, রংপুর-এর নবম শ্রেণির বাংলা ভার্সনের শিক্ষার্থী।

আরো পড়ুন:

১০ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে সিউলকে বিধ্বস্ত করল বার্সেলোনা

রোনালদোর অদম্য ক্ষুধা, দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জেতালেন আল-নাসরকে

নভেম্বর মাসের শেষের দিকে হতে যাওয়া লিগে অংশ নিতে হলে এর আগেই পাসপোর্ট, বিমানের টিকিট ও খেলার কিটসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে। কিন্তু এখানেই সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থ।

জুয়েলের বাবা একজন দিনমজুর ও ভ্যানচালক। এমন আর্থিক অবস্থায় এত ব্যয়ভার বহন করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

জুয়েল রানা বলেন, “আমি ডোমার হাইস্কুল মাঠে খেলা শুরু করি, ডোমার ফুটবল একাডেমির কোচ সুজন ভাইয়ের কাছেই প্রথম হাতে খড়ি। এরপর উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় পর্যায়ে এবং বসুন্ধরা অনূর্ধ্ব-১৮ দলের হয়ে খেলি। ভুটান থেকে পারো এফসির প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসে। তাদের নেয়া ট্রায়ালে ৫০ জনের মধ্যে ৫ জন নির্বাচিত হই, পরে মেডিকেল টেস্টের পর আমিসহ ৩ জন সুযোগ পাই। লিগ শুরু হওয়ার এক মাস আগেই যেতে হবে। কিন্তু এখন অর্থের কারণে যাওয়া হবে কি না, সেটা অনিশ্চিত। পাসপোর্ট, বিমানের টিকিট, কিটস সবকিছুতেই টাকা দরকার। আমি শুধু চাই কেউ পাশে দাঁড়াক। আমি দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে চাই।”

জুয়েলের মা রশিদা বেগম বলেন, “ছেলেটা অনেক কষ্ট করে আজ এই পর্যন্ত এসেছে। এখন যদি শুধু টাকার অভাবে তার স্বপ্ন থেমে যায়, সেটা আমাদের সহ্য হবে না।”

জুয়েলের বাবা জয়নুল ইসলাম বলেন, “আমি দিনমজুর মানুষ, ছেলের স্বপ্নপূরণে কিছুই করতে পারছি না। এই কষ্ট ভাষায় বোঝানো যায় না। সরকার কিংবা কেউ যদি সাহায্য করত, আমার ছেলে বিদেশে গিয়ে খেলতে পারত।”

এলাকাবাসীরাও জুয়েলের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেন, “জুয়েল অনেক ভালো খেলে, সে আমাদের গর্ব। কিন্তু তার পরিবার অত্যন্ত অসচ্ছল। সরকার বা সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে এলে সে একদিন দেশের নাম উজ্জ্বল করবে।”

ডোমার ফুটবল একাডেমির কোচ মো. সাদিকুর রহমান সুজন বলেন, “জুয়েল আমাদের একাডেমির অন্যতম প্রতিভাবান খেলোয়াড়। সে তার পরিশ্রমে অনেক দূর এগিয়েছে। সে ভুটানে খেলার সুযোগ পেয়েছে, কিন্তু এখন শুধু অর্থের অভাবে তার যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে গেছে। তার বাবা একজন ভ্যানচালক—এই খরচ বহন তার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি অনুরোধ করব সরকার বা সমাজের বিত্তবানরা যেন জুয়েলের পাশে দাঁড়ায়।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শায়লা সাঈদ তন্বী বলেন, “আমরা জুয়েলকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার চেষ্টা করব। আপনারাও সকলে জুয়েলের পাশে দাঁড়ান, সে যেন দেশের গর্ব হয়ে ওঠে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”

একজন উদীয়মান প্রতিভাবান ফুটবলারের স্বপ্ন যেন শুধু আর্থিক সংকটে থেমে না যায়। এই লক্ষ্যেই জুয়েলের পরিবার সমাজের দানশীল, খেলাপ্রেমী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন।

ঢাকা/সিথুন/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিনিয়রদের দ্বন্দ্বে বরিশালে অস্বস্তি
  • সায়েমের অলরাউন্ড পারফরম‌্যান্সে পাকিস্তানের জয়ে শুরু
  • স্বপ্নের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে জুয়েল, অর্থাভাবে অনিশ্চিত ভুটান যাত্রা
  • রোনালদোর অদম্য ক্ষুধা, দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জেতালেন আল-নাসরকে