সময়োপযোগী বহুরূপী ফিচার আর পারফরম্যান্স চাহিদা পূরণে সাশ্রয়ী ফোন উন্মোচন করেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অনার। নতুন এক্স৫বি প্লাস মডেলের হ্যান্ডসেটে বিশেষ কিছু সুবিধার কথা বলেছে নির্মাতারা।
ব্যাটারি ৫২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার। টানা চার বছর ব্যবহার করার পরও ৮৫ শতাংশ ব্যাটারি সক্রিয় থাকে। ব্যাটারিতে থাকা সুপারপাওয়ার সেভিং মোডের কারণে ফোনে ১০ শতাংশ চার্জ থাকলেও সচল থাকে ১৯ ঘণ্টা।
অনেকে দীর্ঘক্ষণ স্মার্টফোন চালানো নিয়ে নানা ধরনের জটিলতায় ভোগেন। যার মধ্যে চোখের সমস্যা অন্যতম। যার সমাধান দেবে ই-বুক মোড, আই প্রটেকশন মোড, ডিসি ডিমিং ও ডায়নামিক ডিমিং ডিসপ্লের মতো ফিচার। প্রাকৃতিক আলোর সঙ্গে স্মার্টফোনের আলোর সমন্বয় করে কম আলোতে ঝক্কি ছাড়া ফোন চালানোর অভিজ্ঞতা দেবে। ডিসপ্লের আকৃতি ৬.
ক্যামেরা ও স্টোরেজ
প্রধান ক্যামেরা ৫০ মেগাপিক্সেলের এআই আলট্রা-ক্লিয়ার। মেইন ক্যামেরা রয়েছে। নিখুঁত ও ঝকঝকে ছবি তোলার প্রয়োজন পূরণে কাজ করবে ৫ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা।
বাড়তি স্টোরেজ সুবিধায় রয়েছে ১২৮ জিবি রম। আগ্রহীরা ৬০ হাজার ছবি, ২৪ হাজার গান বা ২০০ মুভি অনায়াসে স্টোর করে রাখার সুযোগ পাবেন। গতির প্রশ্নে পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে ৪ জিবি র্যাম। চাহিদার প্রয়োজনে ব্র্যান্ডের টার্বো প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফ্ল্যাশ মেমোরি থেকে বর্ধিত ৪ জিবি র্যাম বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকবে।
নির্মাতারা জানান, ৫২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা আর
১২৮ জিবি স্টোরেজের স্মার্টফোনের দাম
১০ থেকে ১২ হাজার টাকার ভেতরে। বাজেটবান্ধব ফোন হিসেবে সময়ের প্রায় সব চাহিদা পূরণে মডেলটি ইতোমধ্যে তরুণ প্রজন্মের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
মডেলে রঙের বৈচিত্র্যে রয়েছে ওশেন ব্লু, মিডনাইট ব্ল্যাক ও স্ট্যারি পার্পল। তরুণরা যেমন সাশ্রয়ী মূল্যে আকর্ষণীয় সব ফিচার ব্যবহার করতে চায়, তেমনি একটু বয়স হয়েছে এমন মানুষও জটিল হ্যান্ডসেট হাতে নিতে চান না। সবার কথা বিবেচনা করে ব্র্যান্ডটি এ মডেলের উন্নয়ন করেছে বলে জানানো হয়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘সে শুধু নিজের রেকর্ডের জন্য খেলে, দলের জন্য নয়’
এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে আল-নাসর। তবে মাঠের ফলাফলের চেয়েও এখন আলোচনায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর প্রতিক্রিয়া। ম্যাচ শেষে তার ‘বিষণ্ণ ও নাটকীয়’ আচরণ উপহাস হিসেবে দেখছেন ফুটবলপ্রেমীরা।
বুধবার রাতে জেদ্দার আলিনমা স্টেডিয়ামে জাপানি ক্লাব কাওয়াসাকি ফ্রন্টেলের বিপক্ষে ৩-২ গোলে হারে সৌদি ক্লাব আল-নাসর। এই পরাজয়ে রোনালদোর দলের সামনে চলতি মৌসুমে আর কোনো ট্রফি জয়ের সুযোগ থাকল না। সেমিফাইনালের ম্যাচটিতে রোনালদো একটি সুবর্ণ সুযোগও নষ্ট করে। প্রতিপক্ষ দলের গোলরক্ষককে কাটিয়ে গেলেও শেষ মুহূর্তে বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন পর্তুগিজ মহাতারকা। সমর্থকদের মতে, রোনালদোর গোল মিস করাটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
ম্যাচ শেষে হতাশ রোনালদোকে দেখা যায় মাঠের কেন্দ্রবিন্দুতে দাঁড়িয়ে নিজে নিজে কথা বলতে ও আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছুটা নাটকীয় ভঙ্গিতে হাত নেড়েছেন। তার এই অদ্ভুত আচরণ নিয়েই এখন সরগরম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
একজন টুইটারে লিখেছেন, ‘রোনালদোর জন্য ‘ফুটবলকে ছেড়ে দাও, তার আগেই যে ফুটবল তোমাকে ছাড়বে’—এই কথাটা একেবারে যথার্থ।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘এই লোকটা এখন আর মজার না… শুধু অহঙ্কারে ভরা।’
তৃতীয় একজন মন্তব্য করেছেন, ‘মেসির বিশ্বকাপ জয় মানসিকভাবে শেষ করে দিয়েছে রোনালদোকে।’ অন্য একজন কটাক্ষ করে বলেন, ‘ক্যামেরার জন্য এমন মরিয়া চেষ্টাও এক রকম প্রশংসার দাবি রাখে—যদি না সেটা এত করুণ হতো।’
অনেকে আবার রোনালদোর স্বার্থপরতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন, ‘সে শুধু নিজের রেকর্ডের জন্য খেলে, দলের জন্য নয়।’
তবে এত সমালোচনার পরও অবসরের কোনো ইঙ্গিত দেননি রোনালদো। বরং সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে দলের প্রতি নিজের গর্বের কথা জানান তিনি। রোনালদো লেখেন, ‘সবসময় স্বপ্ন পূরণ হয় না। তবে আমি গর্বিত আমাদের পারফরম্যান্স নিয়ে। যারা আমাদের পাশে থেকেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আপনাদের সমর্থন আমাদের অনেক কিছু বলে।’
এদিকে ম্যাচ শেষে আল-নাসরের কোচ স্তেফানো পিওলি দলের পারফরম্যান্সে ক্ষোভ ঝাড়েন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কৌশলে সমস্যা ছিল, দ্বিতীয়ার্ধে ঝুঁকি নিয়েছিলাম। তবে যে পারফরম্যান্স হয়েছে, তা হতাশাজনক। প্রতিপক্ষ আমাদের চমকে দেয়নি, বরং নিজেদের দুর্বলতাই বড় ধাক্কা দিয়েছে।’
এই হারে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে পড়েছে আল-নাসর, আর প্রশ্নটা থেকে গেছে—রোনালদো আসলে কোথায় গিয়ে থামবেন?