এবার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জিতলেন যারা
Published: 3rd, February 2025 GMT
বিশ্ব সংগীতাঙ্গনের অন্যতম সম্মানসূচক পুরস্কার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডস। ৬৭তম আসরে ৯৪টি বিভাগে গ্র্যামির মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়েছিল। গতকাল রাতে (বাংলাদেশ সময় ৩ ফেব্রুয়ারি) লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্রিপ্টোডটকম অ্যারেনায় বসেছিল এই আসরের অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান।
গ্র্যামি মনোনয়নে রেকর্ড গড়েন বিয়ন্সে। সর্বোচ্চ ১১টি মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি। তাই সবার চোখ ছিল গায়িকার দিকেই। কিন্তু মূল পুরস্কার অনুষ্ঠানে বিয়ন্সেকে ছাড়িয়ে যান কেনড্রিক লামার। তাতে অবশ্য, বিয়ন্সের রেকর্ড আটকায়নি। চলুন জেনে নিই, উল্লেখযোগ্য বিভাগে কারা পেলেন এবারের পুরস্কার—
যারা পেলেন:
অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার: কাউবয় কার্টার (বিয়ন্সে)
রেকর্ড অব দ্য ইয়ার: নট লাইক আস (কেন্ড্রিক লামার)
সং অব দ্য ইয়ার: নট লাইক আস (কেন্ড্রিক লামার)
বেস্ট পপ সলো পারফরম্যান্স: সাবরিনা কার্পেন্টার (এসপ্রেসো)
বেস্ট পপ গ্রুপ পারফরম্যান্স: লেডি গাগা ও ব্রুনো মার্স (ডাই উইথ আ স্মাইল)
বেস্ট পপ ভোকাল অ্যালবাম: শর্ট অ্যান্ড সুইট (সাবরিনা কার্পেন্টার)
বেস্ট নিউ আর্টিস্ট: চ্যাপেল রোয়ান
বেস্ট ড্যান্স: জাস্টিস অ্যান্ড টেম ইমপালা (নেভেরেন্ডার)
বেস্ট পপ ড্যান্স রেকর্ডিং: ফোন ডাচ (চার্লি এক্সসিএক্স)
বেস্ট ড্যান্স/ইলেকট্রনিক মিউজিক অ্যালবাম: ব্রাট (চার্লি এক্সসিএক্স)বেস্ট রক পারফরম্যান্স: দ্য বিটলস (নাউ অ্যান্ড দেন)
বেস্ট মেটাল পারফরম্যান্স: গোজিরা, মারিনা ভিত্তই, ভিক্টর লে মাসনে (মিয়া কুলপা)
বেস্ট রক সং: সেন্ট ভিনসেন্ট (ব্রোকেন ম্যান)
বেস্ট রক অ্যালবাম: দ্য রোলিং স্টোনস (হ্যাকনি ডায়মন্ডস)বেস্ট র্যাপ পারফরম্যান্স: কেন্ড্রিক লামার (নট লাইক আস)
বেস্ট র্যাপ অ্যালবাম: অ্যালিগেটর বাইট নেভার হিল (দোয়েচি)
বেস্ট মেলডিক র্যাপ পারফরম্যান্স: র্যাপসোডি অ্যান্ড এরিকা বাদু (৩:এএম)বেস্ট কান্ট্রি সং: ক্যাসি মাসগ্রেভস (আর্কিটেক্ট)
বেস্ট কান্ট্রি অ্যালবাম: কাউবয় কার্টার (বিয়ন্সে)
বেস্ট মিউজিক ভিডিও: নট লাইক আস (কেন্ড্রিক লামার)
বেস্ট মিউজিক ফিল্ম: আমেরিকান সিম্ফনি
তথ্যসূত্র: সিএনএন, বিবিসি, এবিসি নিউজ
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রফরম য ন স র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
‘সে শুধু নিজের রেকর্ডের জন্য খেলে, দলের জন্য নয়’
এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে আল-নাসর। তবে মাঠের ফলাফলের চেয়েও এখন আলোচনায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর প্রতিক্রিয়া। ম্যাচ শেষে তার ‘বিষণ্ণ ও নাটকীয়’ আচরণ উপহাস হিসেবে দেখছেন ফুটবলপ্রেমীরা।
বুধবার রাতে জেদ্দার আলিনমা স্টেডিয়ামে জাপানি ক্লাব কাওয়াসাকি ফ্রন্টেলের বিপক্ষে ৩-২ গোলে হারে সৌদি ক্লাব আল-নাসর। এই পরাজয়ে রোনালদোর দলের সামনে চলতি মৌসুমে আর কোনো ট্রফি জয়ের সুযোগ থাকল না। সেমিফাইনালের ম্যাচটিতে রোনালদো একটি সুবর্ণ সুযোগও নষ্ট করে। প্রতিপক্ষ দলের গোলরক্ষককে কাটিয়ে গেলেও শেষ মুহূর্তে বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন পর্তুগিজ মহাতারকা। সমর্থকদের মতে, রোনালদোর গোল মিস করাটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
ম্যাচ শেষে হতাশ রোনালদোকে দেখা যায় মাঠের কেন্দ্রবিন্দুতে দাঁড়িয়ে নিজে নিজে কথা বলতে ও আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছুটা নাটকীয় ভঙ্গিতে হাত নেড়েছেন। তার এই অদ্ভুত আচরণ নিয়েই এখন সরগরম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
একজন টুইটারে লিখেছেন, ‘রোনালদোর জন্য ‘ফুটবলকে ছেড়ে দাও, তার আগেই যে ফুটবল তোমাকে ছাড়বে’—এই কথাটা একেবারে যথার্থ।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘এই লোকটা এখন আর মজার না… শুধু অহঙ্কারে ভরা।’
তৃতীয় একজন মন্তব্য করেছেন, ‘মেসির বিশ্বকাপ জয় মানসিকভাবে শেষ করে দিয়েছে রোনালদোকে।’ অন্য একজন কটাক্ষ করে বলেন, ‘ক্যামেরার জন্য এমন মরিয়া চেষ্টাও এক রকম প্রশংসার দাবি রাখে—যদি না সেটা এত করুণ হতো।’
অনেকে আবার রোনালদোর স্বার্থপরতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন, ‘সে শুধু নিজের রেকর্ডের জন্য খেলে, দলের জন্য নয়।’
তবে এত সমালোচনার পরও অবসরের কোনো ইঙ্গিত দেননি রোনালদো। বরং সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে দলের প্রতি নিজের গর্বের কথা জানান তিনি। রোনালদো লেখেন, ‘সবসময় স্বপ্ন পূরণ হয় না। তবে আমি গর্বিত আমাদের পারফরম্যান্স নিয়ে। যারা আমাদের পাশে থেকেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আপনাদের সমর্থন আমাদের অনেক কিছু বলে।’
এদিকে ম্যাচ শেষে আল-নাসরের কোচ স্তেফানো পিওলি দলের পারফরম্যান্সে ক্ষোভ ঝাড়েন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কৌশলে সমস্যা ছিল, দ্বিতীয়ার্ধে ঝুঁকি নিয়েছিলাম। তবে যে পারফরম্যান্স হয়েছে, তা হতাশাজনক। প্রতিপক্ষ আমাদের চমকে দেয়নি, বরং নিজেদের দুর্বলতাই বড় ধাক্কা দিয়েছে।’
এই হারে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে পড়েছে আল-নাসর, আর প্রশ্নটা থেকে গেছে—রোনালদো আসলে কোথায় গিয়ে থামবেন?