ডিগ্রি পরীক্ষায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিট পাবেন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা
Published: 5th, February 2025 GMT
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষার অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় পাবেন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রালপলসি) পরীক্ষার্থী থাকলে শর্ত সাপেক্ষে তাঁরা অতিরিক্ত ৩০ মিনিট প্রাপ্য হবেন।
আরও পড়ুনব্রুনেই ওআইসি শিক্ষার্থীদের দেবে বৃত্তি, আবেদনের সময় বৃদ্ধি ১১ দিন০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় পেতে প্রতিবন্ধী দাবীদার শিক্ষার্থীদের সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট থাকতে হবে। পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে দুই দিন আগে অধ্যক্ষ/ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রতিবন্ধীদের তথ্য (প্রবেশপত্র ও প্রতিবন্ধী সনদের কপি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক/সংশ্লিষ্ট উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর প্রেরণ করবেন। প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র পৃথকভাবে সীলগালা করে উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স প্রথম বর্ষ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর-১৭০৪ এই ঠিকানায় পাঠাতে হবে বলা হয়েছে। প্যাকেটের ওপর প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র লাল কালিতে লিখতে হবে মর্মেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনটেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি পরীক্ষা, সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে আসন বৃদ্ধিসহ যে যে পরিবর্তন এল০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুনরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাথমিক আবেদন শেষ ৫ ফেব্রুয়ারি, ইউনিট প্রতি সুযোগ ৯২ হাজার২২ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ক ত ৩০ ম ন ট পর ক ষ র
এছাড়াও পড়ুন:
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে হঠাৎ দুদকের অভিযান
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রধান কার্যালয়ে আজ রোববার হঠাৎ অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইপিবির আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে ডলারে ঘুষ নিয়েছেন সংস্থাটির এক উপপরিচালক, এমন অভিযোগে ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোয় ‘ডলারে ঘুষ নেন ইপিবির এক কর্মকর্তা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ঘটনা তদন্ত করতে এরপর তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ইপিবি। কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা ওঠে আসে।
তবে এক বছরের বেশি সময় পার হলেও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ইপিবি। দুদক সম্প্রতি এ বিষয়ে অনুসন্ধান করার জন্য একটি দল গঠন করে এবং ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আমলে নিয়েই দুদক আজ অভিযান পরিচালনা করেছে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের এক উপপরিচালকের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ ছিল। এ অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই দুদকের তিন সদস্যের একটি দল আমাদের কার্যালয়ে আসে। আমরা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করেছি। বিষয়টি অনুসন্ধান পর্যায়ে আছে।’
ইপিবি গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইপিবির অনুমোদন ছাড়া ১৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জামানত বাবদ ১৫০ ডলার করে নেওয়া ঠিক হয়নি।’ আরও বলা হয়, চীনের কুনমিংয়ে ২০২৩ সালের আগস্টে অনুষ্ঠিত একটি মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে জামানত নেওয়া হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া।
দুদকের সূত্রগুলো বলছে, ২০১৭ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পরিমাণের পে–অর্ডার দিয়েছেন মেলায় অংশগ্রহণকারীরা, ইপিবির এক উপপরিচালক আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এত দিন সেগুলো নিজের জিম্মায় রেখে দিয়েছিলেন। দুদক সরেজমিন ইপিবি কার্যালয়ে এসে পে-অর্ডারগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করেছে, তবে কিছু উদ্ধার হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।