জুতা না পরায় ছাত্রীকে পিটুনি প্রধান শিক্ষকের, হাসপাতালে ভর্তি
Published: 5th, February 2025 GMT
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় জুতা পরে বিদ্যালয়ে না যাওয়ায় লক্ষ্মীপাশা আদর্শ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বেত দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছেন প্রধান শিক্ষক এস এম মুরাদুজ্জামান। এতে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার ছাত্রী হাবিবা খান মিষ্টি উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের গিলাতলা গ্রামের মনিরুজ্জামান খান সেন্টুর মেয়ে। এ ঘটনায় মিষ্টির বাবা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপাশা আদর্শ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম মুরাদুজ্জামান মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার সময় বিদ্যালয়ের মাঠে খোলা মঞ্চের ওপর ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে হাবিবাকে বেত দিয়ে বেধড়ক পেটান। পরে বাড়িতে যাওয়ার পর প্রচণ্ড জ্বর অনুভূত হয় মিষ্টির। মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে আজ বুধবার লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন বাবা।
মিষ্টির বাবা মনিরুজ্জামান খান সেন্টু বলেন, ‘আমার মেয়ে রোজা রাখার কারণে শারীরিকভাবে একটু অসুস্থবোধ করছিল। তাই জুতা না পরে স্কুলে যায় সে। এ কারণে প্রধান শিক্ষক এসএম মুরাদুজ্জামান আমার মেয়েকে বেত দিয়ে পিটিয়েছেন। সামান্য বিষয়ে কেন এমন করে পেটানো হলো? আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই। এ ঘটনায় আমি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ.
লক্ষ্মীপাশা আদর্শ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম মুরাদুজ্জামান বলেন, ‘ছেলে-মেয়েদের একেবারে ছেড়ে দিলে হয় না। একটু শাসন করতে হয়। তাই শাসন করতে গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ. হামিদ ভূঁইয়া বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বাড্ডায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত ব্যবসায়ীর মৃত্যু
রাজধানীর বাড্ডায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ রোববার বেলা সোয়া ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তবে এ ঘটনায় এখনো থানায় মামলা হয়নি।
আনোয়ারের স্বজনদের অভিযোগ, গত ৮ মে রাত আনুমানিক ১১টার দিকে বাড্ডার ভূঁইয়াবাড়ি টেকপাড়া এলাকায় নুরা পাগলা, শুটার সালাউদ্দিন, মাহিন, ইউসুফ, নয়নসহ কয়েকজন আনোয়ারকে পথরোধ করে মারধর করেন এবং পেটে গুলি করেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করে তাঁকে একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবশেষে ১২ জুন আবার তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মারা যান তিনি।
আনোয়ারের খালাতো ভাই আবদুল জব্বার বলেন, আনোয়ার আগে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। পরে তিনি নির্মাণসামগ্রীর ঠিকাদারি শুরু করেন। সব সময় তাঁর সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকা থাকত।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গুলির ঘটনার পর আনোয়ারের পরিবারকে মামলা করতে বলেছিলেন। তখন তাঁরা মামলা করেননি। মারা যাওয়ার পর এখন মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত আনোয়ার হোসেনের গ্রামের বাড়ি বরিশালের হিজলা উপজেলায়। তিনি পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর বাড্ডার আনন্দনগর এলাকায় থাকতেন।