ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিজুড়ে ‘বহুভাষিক উৎসব’ করবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেশের সব জাতিগোষ্ঠীর ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বহুভাষিক উৎসব করছি। পাহাড়ে কিংবা সমতলে আমাদের দেশে যত জাতিগোষ্ঠী আছে, সবার ভাষাকে উপস্থাপন করব।’

আরও পড়ুনসবাই মিলে কাজ করলেই সম্ভব: সৈয়দ জামিল আহমেদ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

উল্লেখযোগ্য আয়োজনের মধ্যে রয়েছে—

১০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে ভক্তিমূলক সংগীতসন্ধ্যা; বান্দরবানে পার্বত্য সম্প্রীতি উৎসব।
১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ও নীলফামারীতে ‘সাধু মেলা’।

১৫ ফেব্রুয়ারি শেরপুরে কোচ, হোদি ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর সম্প্রীতি সমারোহ।
১৬ ফেব্রুয়ারি জামালপুরে ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবিষয়ক লেকচার ওয়ার্কশপ।

২০ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী ও বরিশালে নাট্যোৎসব; নারায়ণগঞ্জ, জামালপুর, গোপালগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, খুলনা, যশোর, দিনাজপুর, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বরগুনা ও সিলেটে ‘বহুভাষিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী’।

২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঢাকায় ‘পাহাড়ের ছবি, পাহাড়ের চলচ্চিত্র’ শীর্ষক আয়োজন। কক্সবাজারে জাতিগোষ্ঠী বিচ কার্নিভ্যাল, এটি চলবে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

২৮ ফেব্রুয়ারি সিলেটে খাসিয়া ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর সম্প্রীতি সমারোহের আয়োজন করবে শিল্পকলা একাডেমির ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সেল।

আরও পড়ুনশিল্পকলা একাডেমি আইন সংস্কারের উদ্যোগ০৪ অক্টোবর ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

রাজধানীর বাংলা মোটরের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে শিশুসাহিত্যিক অমিত কুমার কুণ্ডুর শিশুতোষ ছড়ার বই ‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা উৎসব হয়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিল বইটির প্রকাশনা সংস্থা পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড।

শিক্ষাবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন সাহিত্যিক রফিকুর রশীদ। এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক ও সাংবাদিক দন্ত্যস রওশন, লোকসংস্কৃতিবিদ তপন বাগচী, শিশুসাহিত্যিক সঙ্গীতা ইমাম, কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার। অনুষ্ঠানে বক্তারা বইটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

আরো পড়ুন:

নদী স্মৃতিনির্ভর সংকলন গ্রন্থ ‘আমার নদী’ প্রকাশিত 

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

প্রধান অতিথির আলোচনায় রফিকুর রশীদ বলেন, “১২৪টি ফলের ওপর লেখা এই বইয়ের ছড়াগুলো কেবল পাঠকের রসাস্বাদনই করাবে না, শিশু শিক্ষামূলক এই ছড়াগুলো রসোত্তীর্ণও বটে।”

তিনি দেশের প্রকাশকদের অংশগ্রহণের ওপর জোর দিয়ে বলেন,“প্রকাশকদের বেশি বেশি এরকম প্রকাশনা উৎসব আয়োজন করা উচিত।”

বইটির ব্যতিক্রমী আকৃতির দিকে ইঙ্গিত করে দন্ত্যস রওশন বলেন, “পাঠক তৈরির প্রয়াসেই পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স এমন ক্ষুদ্রাকৃতির ও নতুন নতুন সাইজের বইয়ের ধারণা বাজারে আনছে। এটা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।”

শিক্ষাবিদ সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, “শিক্ষার দুটো দিক রয়েছ।একটি হলো ট্রাডিশনাল, যা আমরা পড়েছি, আপনারাও পড়েন। আরেকটি  হলো জাঁ জ্যাক রুশোর পদ্ধতি। তিনি বলেছে, প্রকৃতির সঙ্গে শেখা।রবীন্দ্রনাথ যা বিশ্বভারতীর মাধ্যমে করিয়ে দেখিয়েছেন।অমিত কুমার কুণ্ডুর ছড়ার বইটি সে রকমই।এর মাধ্যমে প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করবে শিশুরা ও ওরা শিখবে। এরকম বই প্রকাশ করার জন্য প্রকাশকে ধন্যবাদ। আমাদের প্রকাশকদের এ ধরনের বই বেশি বেশি করতে হবে।”

কাঁচামিঠে ফলের ছড়া বইটির পাতায় পাতায় দেশি-বিদেশি বিচিত্র ফলের পরিচয়, পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা নান্দনিক অলংকরণে ছন্দে-ছড়ায় তুলে ধরা হয়েছে। বইটি থেকে ছড়া আবৃত্তি করে বাচিক শিল্পী জান্নাতুল ফেরদৌস মুক্তা।

অনুষ্ঠান শেষে ছিল মৌসুমী ফল দিয়ে অতিথিদের অ্যাপায়নের ব্যবস্থা।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চুয়েটে দিনভর তারুণ্যের ‘তর্ক-যুদ্ধ’
  • ‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
  • জুলাইয়ের ১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় উৎসব
  • ১৬ কোটি টাকায় সারা দেশে ফুটবলের তিন টুর্নামেন্ট
  • দুদিনের সফরে কলকাতায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
  • ভৌতিক গল্প নিয়ে কানাডায় নুহাশ
  • তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন