ডিএসইতে এক সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে ৯ হাজার কোটি টাকা
Published: 7th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
দেশের পুঁজিবাজারে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসেই ঊর্দ্ধমূখীতার দেখা মিলেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে এ সপ্তাহে বেশিরভাগ কোম্পানীর শেয়ার ও ইউনিটের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বৃদ্ধির ফলে বেড়েছে মূল্যসূচক। একই সাথে বেড়েছে বাজার মূলধন।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ২৬৫ টি প্রতিষ্ঠানের। দর কমেছে ১০৩ টি প্রতিষ্ঠানের। আর ২৭ টি প্রতিষ্ঠানের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর বাড়ায় বেড়েছে বাজার মূলধন। সপ্তাহের লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ বাজার মূলধন বেড়েছে ৯ হাজার ১০৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা বা ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
বাজার মূলধন বাড়ার পাশাপাশি মূল্যসূচক ডিএসইক্স গত সপ্তাহের চেয়ে ৬৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১৭৯ তে। ডিএস৩০ সূচকে ৯ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ১৯১২ পয়েন্ট। আর শরিয়াহ্ সূচক ডিএসইএস ১৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৪৭ পয়েন্ট।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪২৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৩৩৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ গড় লেনদেন আগের সপ্তাহের থেকে ২৫ শতাংশ বেড়েছে।
সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে বড় ভূমিকা রাখে বিচ হ্যাচারী। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ১৬ কোটি ১০ লাখ টাকার। যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। গ্রমীনফোনের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ১১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার। আরেক প্রতিষ্ঠান সিটি ব্যাংকের গড় লেনদেনর পরিমাণ ছিল ৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।
এনজে
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ব জ র ম লধন
এছাড়াও পড়ুন:
ডিএসইতে ৭৫ শতাংশ শেয়ার-মিউচুয়াল ফান্ডের দরপতন
চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (৩ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের বড় পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। লেনদেনে শেষে ডিএসইতে এ দিন ৩০০টি বা ৭৫.৩৮ শতাংশের বেশি শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দরপতন হয়েছে।
এ দিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসইতে লেনদেন কমলেও সিএসইতে কিছুটা বেড়েছে। তবে উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
আরো পড়ুন:
৭ কোটি টাকা সংগ্রহে লিও আইসিটি ক্যাবলসের কিউআইও’র আবেদন
বিএসইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে আইসিএসবির প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। সোমবার সকাল থেকেই ডিএসইএক্স সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেনের শুরু হয়। লেনদেনের শেষ হওয়ার আগমুহূর্ত পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল। তবে গত কয়েক মাসের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন অনেক কমে গেছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৫৪.৮৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৬১ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১২.৩৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৬৬ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ২১.৯৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৬০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৯৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৪৫টি কোম্পানির, কমেছে ৩০০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৩টির।
ডিএসইতে মোট ৫১৮ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৪৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৪৯.৫৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৭৭৬ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮৭.৯৭ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ২২৫ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ২.১৬ পয়েন্ট কমে ৮৯৬ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৪.২৫ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৬৬৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ১৯৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৪২টি কোম্পানির, কমেছে ১২৬টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৫টির।
সিএসইতে ২৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি/বকুল