রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকায় আসামি গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পুলিশের চার সদস্যসহ পাঁচজন হামলার শিকার হয়েছেন। গত বুধবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনা ঘটে। হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আহত ব্যক্তিরা হলেন মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আফজালুল হক, জসীম উদ্দীন, খোরশেদ আলম, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহেল রানা এবং পুলিশের তথ্যদাতা আল আমিন। হামলাকারীদের চাপাতির কোপে আল আমিনের হাত কেটে এবং ভেঙে গেছে। তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশের আহত সদস্যরা চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান প্রথম আলোকে বলেন, রায়েরবাজার বোট ঘাট এলাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের করা মামলার আসামি গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা হয়। এতে পুলিশসহ পাঁচজন আহত হন। পরে রাতে বোট ঘাট এলাকায় পুলিশ, র‍্যাব ও সেনাসদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেন।

ওসি আলী ইফতেখার হাসান আরও বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সবার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বোট ঘাট এলাকায় অভিযানে গেলে তাঁদের ওপরও হামলা চালানো হয়েছিল। তখন তাঁদের এক কর্মকর্তা আহত হন।

পুলিশ জানায়, পুলিশের ওপর এই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে বোট ঘাট এলাকার কিশোর গ্যাং পাটালি গ্রুপের সদস্য ল্যাংড়া হাসান, ফরহাদ ও চিকু শাকিল। তাদের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাংটির সদস্য পিচ্চি হাসান, স্বপন, শাহিন, ছোট্ট হাসান, সবিজ মুন্না, দিপু, সম্রাট, রফিক, রাকিব, রাসেলসহ ৩০ থেকে ৪০ জন হামলায় অংশ নেয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ট ঘ ট এল ক গ র প ত র কর এল ক য় সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে হঠাৎ দুদকের অভিযান

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রধান কার্যালয়ে আজ রোববার হঠাৎ অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইপিবির আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে ডলারে ঘুষ নিয়েছেন সংস্থাটির এক উপপরিচালক, এমন অভিযোগে ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোয় ‘ডলারে ঘুষ নেন ইপিবির এক কর্মকর্তা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ঘটনা তদন্ত করতে এরপর তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ইপিবি। কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা ওঠে আসে।

তবে এক বছরের বেশি সময় পার হলেও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ইপিবি। দুদক সম্প্রতি এ বিষয়ে অনুসন্ধান করার জন্য একটি দল গঠন করে এবং ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আমলে নিয়েই দুদক আজ অভিযান পরিচালনা করেছে বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের এক উপপরিচালকের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ ছিল। এ অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই দুদকের তিন সদস্যের একটি দল আমাদের কার্যালয়ে আসে। আমরা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করেছি। বিষয়টি অনুসন্ধান পর্যায়ে আছে।’

ইপিবি গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইপিবির অনুমোদন ছাড়া ১৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জামানত বাবদ ১৫০ ডলার করে নেওয়া ঠিক হয়নি।’ আরও বলা হয়, চীনের কুনমিংয়ে ২০২৩ সালের আগস্টে অনুষ্ঠিত একটি মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে জামানত নেওয়া হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া।

দুদকের সূত্রগুলো বলছে, ২০১৭ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পরিমাণের পে–অর্ডার দিয়েছেন মেলায় অংশগ্রহণকারীরা, ইপিবির এক উপপরিচালক আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এত দিন সেগুলো নিজের জিম্মায় রেখে দিয়েছিলেন। দুদক সরেজমিন ইপিবি কার্যালয়ে এসে পে-অর্ডারগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করেছে, তবে কিছু উদ্ধার হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে হঠাৎ দুদকের অভিযান