দুই উপদেষ্টার সামনে কৃষক বললেন, ‘এবার হামাক ঠকান না বাহে’
Published: 9th, February 2025 GMT
ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহারের কারণে শুষ্ক মৌসুমে তিস্তায় পানি না থাকায় উত্তরাঞ্চল মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে। আবার বর্ষায় এক থেকে দেড় কিলোমিটারের তিস্তা ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার হয়ে যাচ্ছে। বর্ষায় ভারত হঠাৎ পানি ছেড়ে দেওয়ায় তিস্তাপারের বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে এমন অবস্থা চললেও সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। উল্টো তিস্তা মহাপরিকল্পনার নামে তাঁদের সঙ্গে ধোঁকাবাজি করা হয়েছে।
আজ রোববার বিকেলে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার তিস্তা রেলসেতু-সংলগ্ন এলাকায় তিস্তা নিয়ে গণশুনানিতে তিস্তাপারের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও বাসিন্দারা তাঁদের দুঃখ-দুর্দশার কথা তুলে ধরেন।
রংপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত গণশুনানিতে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
গণশুনানি উপলক্ষে রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার তিস্তাপারের কয়েক হাজার বাসিন্দা সকাল থেকে শুনানিস্থলে জড়ো হন। বেলা তিনটার দিকে দুই উপদেষ্টাসহ রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম তারিকুল ইসলাম, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ অতিথিরা মঞ্চে ওঠেন।
গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রোববার বিকেলে রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তা রেলসেতু–সংলগ্ন এলাকায়.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকার তেজগাঁওয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তেজগাঁও সাউদার্ন পাম্পের পাশে সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত খন্দকার সাইদুর রহমান (৩৮) পেশায় মার্চেন্ডাইজার ছিলেন। তাঁর বাড়ি ঢাকার পল্লবীর বাউনিয়ার আলাবদিরটেক এলাকায়। তাঁর বাবার নাম খন্দকার মোফাজ্জল হায়দার।
মৃতের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাতে সাইদুর মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে একটি ট্রাকের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মোটরসাইকেলে সাইদুরের সঙ্গে তাঁর এক সহকর্মীও ছিলেন। তবে তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মারুফ জানিয়েছেন।
আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, যে ট্রাকটি সাইদুরের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়েছিল, তা আটক করা হয়েছে, তবে এর চালক পালিয়ে গেছেন।
পরিবারের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই সাইদুরের মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা আল মারুফ।