তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন ২ উপদেষ্টা
Published: 9th, February 2025 GMT
তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন ও মহাপরিকল্পনার দাবিতে হাজারো মানুষ প্ল্যাকার্ড, ব্যানার হাতে নিয়ে অংশ নিয়েছেন গণশুনানিতে। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রংপুরের কাউনিয়া রেলব্রিজ সংলগ্ন তিস্তার পূর্ব পাড়ে আয়োজিত শুনানিতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। দুই উপদেষ্টা তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, “বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের দুর্বল পররাষ্ট্র নীতির কারণে তিস্তা চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি। এবার ভারতের সঙ্গে চুক্তি বাস্তবায়নে শক্ত কূটনৈতিক তৎপরতা নেওয়া হবে।”
তিনি আরো বলেন, “তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে একটি খসড়া নিয়ে বাংলাদেশ ২০১১ সাল থেকে ঘুরে বেড়িয়েছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ দাবি আদায় তো করতে পারেনি, অধিকার আদায়ের কথাও বলতে পারেনি, তারা শুধু ভারতের সঙ্গে ছবি তুলেছে। তিস্তার অধিকার আদায়ে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে আওয়ামী লীগ।”
আরো পড়ুন:
আবু সাঈদ হত্যা: রিমান্ড শেষে ২ আসামি কারাগারে
রংপুরে ইফতারে পছন্দের তালিকায় ‘রুহ আফজা মাস্কাট শাহী হালুয়া’
“অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মাথা উঁচু করে এবার অধিকার আদায় করবে। তিস্তা ইস্যুতে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আইনের চাপ প্রয়োগ করা হবে। যতটা সম্ভব উন্নয়ন এবং তিস্তা পাড়ের মানুষের চাওয়া পূরণ করব। তিস্তা সংকট চিরতরে নিরসন করা হবে” যোগ করেন তিনি।
তিস্তা পাড়ের মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা তুলে ধরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “নদী ভাঙন, বন্যা ও খরার কারণে এখানকার মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। আপাতত তিস্তার ৪৫ কিলোমিটার এলাকা বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে মহাপরিকল্পনার চূড়ান্ত রূপরেখা নির্ভর করবে স্থানীয়দের চাহিদার ওপর।”
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
তিনি বলেন, “চলতি বছরের ডিসেম্বরের দিকে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে। তবে, তার আগে চায়না পাওয়ার প্রকল্প ও পানি উন্নয়ন বোর্ড যৌথভাবে সরেজমিন পরিদর্শন করবে। তারা স্থানীয় ভুক্তভোগীদের মতামত মূল্যায়ন করবেন। এর ভিত্তিতে রূপরেখা চূড়ান্ত হবে।”
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “দেশীয় পরিকল্পনার অংশ হিসেবে টেন্ডারের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন কবলিত ৪৫ কিলোমিটার চিহ্নিত করবে। ভাঙন রোধে জিওব্যাগ ও ব্লক দিয়ে কাজ শুরু করা হবে। যার ফলে আগামী বন্যায় ভাঙন থেকে নদী পাড়ের মানুষ কিছুটা হলেও রেহাই পাবেন বলে আশা করছি।”
গণশুনানিতে উপস্থিত হয়ে উম্মুক্ত আলোচনায় তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা জানান, বছরের পর বছর তারা ভয়াবহ বন্যা, নদী ভাঙন ও পানি সংকটে বিপর্যস্ত। বর্ষাকালে ভারত একতরফাভাবে পানি ছেড়ে দেয়, আর শুষ্ক মৌসুমে পানি প্রত্যাহার করে নেয় ফলে চাষাবাদ ও জীবিকা চরম হুমকির মুখে পড়ে। তারা দ্রুত তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন ও দীর্ঘমেয়াদী মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান।
এর আগে, গণশুনানিতে অংশ নিতে তিস্তা রেল ব্রিজের নিচে দুপুর থেকেই জড়ো হতে থাকেন উত্তরের নদী পাড়ের চার জেলার মানুষ। গণশুনানি বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলে।
ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট সরক র র গণশ ন ন উপদ ষ ট র জওয় ন
এছাড়াও পড়ুন:
কনসার্টের জন্য কত পারিশ্রমিক নেন অরিজিৎ
তাঁর সংগীতের সফর শুরু হয়েছিল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থেকে। আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে অরিজিৎ সিং ভারতের অন্যতম আলোচিত শিল্পী। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কনসার্টে গাওয়ার জন্য বেশি পারিশ্রমিক নেন। আসলে কত পারিশ্রমিক নেন গায়ক?
সম্প্রতি সুরকার মন্টি শর্মা পিংকভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন অরিজিতের পারিশ্রমিক নিয়ে। তিনি বলেন, ‘একটা সময় পরে অনেক কিছুর বিবর্তন হয়েছে। আগে গোটা একটা গান আমরা দুই লাখ রুপিতে শেষ করতাম। এর মধ্যে গোটা অর্কেস্ট্রা, ৪০ জন বেহালা বাদক, আরও অনেক কিছু থাকত। তারপর ধীরে ধীরে গানপ্রতি নিজের জন্য ৩৫ হাজার রুপি নিতে থাকলাম।’
এরপরই অরিজিতের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। মন্টি বলেন, ‘অরিজিৎ যখন আসত, তখন টানা ছয় ঘণ্টা আমার সঙ্গে একটা গান নিয়ে বসত। এখন ও একটি অনুষ্ঠানের জন্য দুই কোটি রুপি নেয়। তাই ওকে নিয়ে অনুষ্ঠান করতে হলে দুই কোটিই দিতে হবে। আগে তো মানুষ বেতারে ও টিভিতেও গান শুনত। কিন্তু এখন তাদের কাছে ইউটিউব আছে। এখন গান শোনার মাধ্যম অনেক বড়। তাই অর্থের পরিমাণও এখন বেড়েছে। তাই এখন যদি ১৫-২০ লাখ টাকা দিয়ে একটা গান করি, তা হলে ৯০ শতাংশ স্বত্ব কিনে নেয় অডিও সংস্থা। এই অডিও সংস্থাগুলো এখন আয় করছে।’
আরও পড়ুনযার গানে মুগ্ধ অরিজিৎ সিং, কে এই এনজেল নূর? ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫