অ্যান্টার্কটিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও খোঁজ মিলল প্লাস্টিকের
Published: 10th, February 2025 GMT
শহর বা গ্রামের পাশাপাশি পৃথিবীর সব প্রান্তেই ছড়িয়ে পড়েছে প্লাস্টিক। নানা ধরনের চেষ্টা করেও ঠেকানো যাচ্ছে না প্লাস্টিকের উপস্থিতি। সম্প্রতি অ্যান্টার্কটিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা বা মাইক্রোপ্লাস্টিকের সন্ধান পেয়েছেন ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের (বিএএস) বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, অ্যান্টার্কটিকার গভীরে বরফের মধ্যে প্রথমবারের মতো মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব মাইক্রোপ্লাস্টিক স্থানীয় কোনো উৎস থেকে এসেছে।
হিমায়িত এলাকায় মাইক্রোপ্লাস্টিকের প্রভাব বিজ্ঞানীদের কাছে এখনো অস্পষ্ট। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী কার্স্টি জোনস-উইলিয়ামস বলেন, ‘অ্যান্টার্কটিকায় প্রবেশের জন্য কঠোর নিয়মকানুন মানতে হয়। তারপরেও দূরবর্তী ও অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত এলাকায় মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণের প্রমাণ পেয়েছি আমরা। প্লাস্টিকের উপস্থিতি প্রমাণ করছে পৃথিবীর সব জায়গায় এখন প্লাস্টিকের উপস্থিতি রয়েছে।’
আরও পড়ুনঅ্যান্টার্কটিকায় বরফ আচ্ছাদিত হ্রদের নিচে জীবাণুর নতুন ইকোসিস্টেমের সন্ধান১৩ জানুয়ারি ২০২৫ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের বিজ্ঞানীরা গবেষণার জন্য অ্যান্টার্কটিকার ইউনিয়ন হিমবাহ ও শানজ হিমবাহ এলাকা থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন। এরপর ফিল্টার পেপারের মাধ্যমে নমুনাগুলো গলিয়ে স্ক্যান করেন। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি লিটার তুষারে ৭৩ থেকে ৩০৯৯টি প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণা রয়েছে। এসব কণার অধিকাংশ ৫০ মাইক্রোমিটারের চেয়ে ছোট। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী এমিলি রোল্যান্ডস বলেন, নতুন কৌশলের সাহায্যে আমরা এখন আগের তুলনায় অনেক ছোট আকারের মাইক্রোপ্লাস্টিক বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হয়েছি।
আরও পড়ুনঅ্যান্টার্কটিকার বরফের রং বদলে যাচ্ছে, কেন০৯ জানুয়ারি ২০২৫বিজ্ঞানী ক্ল্যারা মান্নো জানিয়েছেন, মানুষের পোশাকের পাশাপাশি ক্যাম্পের মধ্যে ও আশপাশে নিরাপদে পথ চিহ্নিত করার জন্য ব্যবহৃত দড়ি ও পতাকা থেকেও আসতে পারে প্লাস্টিকগুলো। অ্যান্টার্কটিকার মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণের উৎস সম্পূর্ণরূপে বোঝার জন্য আরও গবেষণা করতে হবে। এই প্লাস্টিক দূষণ কমানোর কৌশলও খুঁজে বের করতে হবে।
সূত্র: ডেইলি মেইল
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
শাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর সেমিনার
শাকসুর নির্বাচন কমিশন ঘোষণা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভর্তি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সাজেদুল করিম বলেন, “গুচ্ছ প্রক্রিয়া না থেকে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমাদের শিক্ষকরা আজ উপাচার্যের কাছে একটা স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। শিক্ষকরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকতে চায় না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এককভাবে ভর্তি পরীক্ষার নেওয়ার জন্য সামনের দিকে কাজ এগোচ্ছি। অতিদ্রুত ভর্তি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি নির্ধারণ করে প্রকাশ করা হবে।”
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শাবিপ্রবি গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে। এবারো একইভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে চিঠি পেলেও শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়।
ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী