বাদ যাচ্ছে ১৬ লাখ মৃত ভোটার, সুযোগ নেই কারচুপির: ইসি আনোয়ারুল
Published: 10th, February 2025 GMT
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, কমিশনের কাছে ভালো নির্বাচন না করার কোনো বিকল্প নেই। এবার প্রথমবারের মতো ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ছে প্রায় ১৬ লাখ মৃত ভোটার। এতে কোন কারচুপির সুযোগ নেই।
সোমবার সন্ধ্যায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ ২০২৫ উপলক্ষে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক কক্ষে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে যাতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, সেই লক্ষ্যেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতের ভিত্তিতে আমরা একটি ভালো নির্বাচন চাই। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন এগিয়ে যাচ্ছে। তবে সংস্কারের বিষয়টি নিয়ে কাজ হচ্ছে।’
নির্বাচনী আসন নিয়ে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মানিকগঞ্জে একটি সংসদীয় নির্বাচনী আসন কমানো হয়েছে। আসন পুনরুদ্ধারে অনেকগুলো আবেদন নির্বাচন কমিশনের কাছে এসেছে। এ বিষয়টি দেখা হবে।
নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে পর্যালোচনা করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ভালো একটা নির্বাচন এবং অতীতের গ্লানি মুছে ফেলতে কী কী করণীয় প্রয়োজন, তা আমরা এক্সারসাইজ করে রেখেছি। সংস্কার প্রতিবেদন অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব এবং সেই অনুযায়ী কাজ করব।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক