জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে আগত ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানানো ছাত্রদলের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। 

আজ সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নাম সংবলিত ‘ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন’ টানানো ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ আনে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এর প্রতিবাদে বিকেল ৪টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ওই হলে অবস্থান নিয়ে পুনরায় ব্যানারটি টানিয়ে দেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। 

ছাত্রদল সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের ১১টি আবাসিক হলে তারা ব্যানার টানিয়েছেন। শেখ রাসেল হলে ছাত্রদলের টানানো ব্যানার ওই হলের এক শিক্ষার্থী ছিঁড়ে ফেলেছেন বলে জানান শাখা ছাত্রদল নেতারা। ওই শিক্ষার্থী নাম শাকিল আলী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহত যোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণ ও শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন বিষয়ক সেলের সদস্য।  

অভিযোগের বিষয়ে শাকিল আলী বলেন, ‘ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগকে বিতাড়নের পর আমরা হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম চলতে দেওয়া হবে না। এ কারণেই আমি ও কয়েকজন শিক্ষার্থী মিলে ছাত্রদলের ব্যানারটি খুলে রেখেছিলাম। যে দলই হোক না কেন, হলের অভ্যন্তরে আমরা কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম চলতে দেব না।’ 

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সব রাজনৈতিক দলের সহাবস্থানে বিশ্বাসী। যারা ছাত্রদলের ব্যানার ছিঁড়েছে তারা গর্হিত কাজ করেছেন। এ ব্যাপারে আমরা হল প্রভোস্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।’ 

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, ‘ব্যানার ছিঁড়ার কাজটি উচিৎ হয়নি। আমি ছাত্রদল নেতাদের উত্তেজিত না হয়ে হল প্রভোস্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। লিখিত অভিযোগের পর আমরা ব্যবস্থা নেব।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল ছ ত রদল র ব য ন র ছ ত রদল র ন

এছাড়াও পড়ুন:

এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো: আনু মুহাম্মদ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো। আইএমএফের প্রভাবে বাজেটে স্থানীয় শিল্পে ভ্যাট অব্যাহতি হ্রাস পেয়েছে। ট্রাম্প সাহেবকে খুশি করার চেষ্টা ছিলো এই বাজেটে। 

আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি আয়োজিত ‘বাজেট: দেড় দশকের অভিজ্ঞতা ও অর্থনীতির গতিপথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

আনু মুহাম্মদ বলেন, বাজেটে আয়ের জন্য ভ্যাট ট্যাক্স বাড়ানোর কথা বলা হয়। কিন্তু মার্কিন কোম্পানির কাছে আমাদের যে ক্ষতিপূরণ তা আদায় করতে হবে। মাগুরছড়া ও টেংরাটিলায় গ্যাস বিস্ফোরণে সম্পদ ও প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংসে যে ক্ষতি হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ আদায়ের কোন সরকারই চেষ্টা করেনি। এই ক্ষতিপূরণ আদায় অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ডিপি ওয়ার্লডের কাছে ছেড়ে দেওয়া তো শেখ হাসিনার প্রকল্প ছিল। ড. ইউনুস কেন তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাইছেন? 

গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য আনু মুহাম্মদ বলেন, গণঅভ্যুত্থানে পরিবর্তনের যে আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করা হয়েছে, বর্তমান সরকারের বাজেটে সেই পরিবর্তনের সূচনা ঘটানোর কথা নেই। সম্পদ সংখ্যাগরিষ্ট জনগণের কাছ থেকে গিয়ে কিছু মানুষের কাছে পুঞ্জীভূত হয়। এবারের বাজেটেও সেই প্রবণতা দেখা গেছে।

তিনি আরও বলেন, এবারের বাজেটে প্রতারণা ও অস্বচ্ছতার যে চিত্র ফুটে উঠেছে, সেটা অব্যাহত থাকুক আমরা চাই না। আগামী ২২ জুন বাজেট অনুমোদনের আগে এর ত্রুটিগুলো দূর করতে হবে। বাজেটে জাতীয় সক্ষমতা সৃষ্টির ন্যূনতম উদ্যোগ নিতে হবে।

সভায় আইইউবিএটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ার ড. গোলাম রসুল বলেন, সত্যিকার অর্থে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য এই বাজেটে তেমন কিছু নেই। কৃষিক্ষেত্রে বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে। কৃষিকে আমরা নানাভাবে আন্ডার ভ্যালু করে দিচ্ছি। স্বাস্থ্যখাতে এবার জনপ্রতি বাজেট বেড়েছে ২২ টাকা।

ট্রাম্পের পালটা শুল্ক বিষয়ে আনু মুহাম্মদ বলেন, সরকার বুঝেও না বুঝার ভান করছে। এটা আমাদের বিশাল বিপদে ফেলবে। 
সভায় আরও বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহা মির্জা,  চিকিৎসক ডা. হারুণ অর রশীদ, লেখক-গবেষক প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা ও মাহতাব উদ্দীন আহমেদ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৫ আসামিকে বাদ দিতে হলফনামা, বাদী কৃষক দল নেতাকে শোকজ
  • এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো: আনু মুহাম্মদ