দেশের সম্ভাবনাময় নতুন শিল্পখাত ‘কসমেটিকস, স্কিন কেয়ার ও পার্সোনাল কেয়ার’ বিষয়ে প্রতিবেদন লিখে ‘লিলি প্রেজেন্টস মিডিয়া ফেলোশিপে’ তিন ক্যাটাগরিতে বেস্ট রিপোটিং অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন গণমাধ্যমকর্মী। 

প্রিন্ট মিডিয়া ক্যাটাগরিতে বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন দৈনিক সমকালের স্টাফ রিপোর্টার জসিম উদ্দিন বাদল, অনলাইন ক্যাটাগরিতে জাগো নিউজ ২৪ ডটকমের ডিএম নাজমুল হোসাইন এবং টেলিভিশন ক্যাটাগরিতে পেয়েছেন আরটিভির সেলিম মালিক। 

সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও পুরস্কারের চেক তুলে দেওয়া হয়। 

কসমেটিকস ও স্কিন কেয়ার শিল্প খাতের পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিন কেয়ার অ্যান্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অব বাংলাদেশ (এএসবিএমইবি) ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ডিএনসিআরপি) যৌথ আয়োজনে এই ফেলোশিপ পরিচালিত হয়। ফেলোশিপে প্রিন্ট, অনলাইন ও টেলিভিশন ক্যাটাগরিতে মোট ৩০ জন সাংবাদিক অংশ নেন।

অংশগ্রহণকারী ফেলোরা সরেজমিন তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে নিজ নিজ গণমাধ্যমে এই খাতের সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা এবং এগুলো থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএনসিআরপির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, ভেজাল ও নকল কসমেটিকস পণ্য প্রতিরোধে ভোক্তা অধিদপ্তর কাজ করছে। এ খাত নিয়ে জনসচেতনতায় এ ধরনের আরও প্রতিবেদন প্রকাশ করা দরকার। 

এএসবিএমইবির সেক্রেটারি জেনারেল জামাল উদ্দীন বলেন, এনবিআরের তথ্যমতে, এ খাত থেকে প্রায় ৩০০ কোটি রাজস্ব আয় হয়। তবে ব্যবসায়ীদের ধারণা এ আয় হাজার কোটি টাকার বেশি হবে। দেশীয় কসমেটিকস শিল্পের বিকাশে নীতি সহায়তা দরকার।

এ সময় সিনিয়র সাংবাদিক মনোয়ার হোসেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক আব্দুল জলিল ও ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদসহ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রস ক র

এছাড়াও পড়ুন:

না’গঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হতাহতদের আড়াই কোটি টাকার অনুদান ও সঞ্চয়পত্র প্রদান 

জুলাই গণঅভ্যত্থানে আহত ‘সি’ ক্যাটাগরির ২১২ জন জুলাই যোদ্ধাদের মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় প্রদত্ত আর্থিক অনুদানের চেক ও তিন শহীদ পরিবারের সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ আর্থিক অনুদানের চেক ও  সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মানিত কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, আহত জুলাই যোদ্ধা ও তাঁদের পরিবার, শহিদ পরিবারের সদস্যগণ, ছাত্র প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।

এ সময় ৪ জন শহিদ পরিবারের সদস্যের প্রত্যেককে ১০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়। পাশাপাশি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ‘সি’ ক্যাটাগরির ২১২ জন যোদ্ধাকে এককালীন ১ লাখ টাকা করে অনুদানের চেক প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বীর সন্তানরা আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায়। তাঁদের সাহসিকতা, আত্মত্যাগ ও অদম্য চেতনা আমাদের জাতি পুনর্গঠনের অনুপ্রেরণা। আমরা বিশ্বাস করি, এই যোদ্ধাদের সাহসিকতা দিয়েই গড়ে উঠবে একটি নতুন, উদ্ভাসিত বাংলাদেশ।

তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন-অগ্রগতির যাত্রায় আমরা তরুণ সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মী ও সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ কামনা করি। সম্মিলিত প্রচেষ্টাই গড়ে তুলবে একটি সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল নারায়ণগঞ্জ।

এদিকে এ অনুষ্ঠানটি শুধু অনুদান বিতরণ নয়, বরং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান জানানোর এক অনবদ্য প্রয়াস হয়ে উঠেছিল।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • না’গঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হতাহতদের আড়াই কোটি টাকার অনুদান ও সঞ্চয়পত্র প্রদান