পরীমণির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন কণ্ঠশিল্পী শেখ সাদী এমন গুঞ্জন বেশ কদিন ধরেই চর্চায। এই গায়ককে নিয়ে পরীমনি তার ফেইসবুকের ওয়ালে একাধিক পোস্ট করেছেন। ফলে গুঞ্জন ধীরে ধীরে সত্যি হিসেবে ধরে নিচ্ছেন অনুরাগীরা। 
 
শেখ সাদীও পরীকে নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন একের পর এক।  যেখানে ‘পরী’র প্রতি মগ্ন হওয়ার ভাব প্রকাশ করেন সাদী। সঙ্গে সেই পোস্টে পরীর প্রতিক্রিয়াও ইঙ্গিত দেয় আরও গভীর কিছুর। দরজার আড়াল থেকে উঁকি দেয়া একটি মেয়ে পুতুলের ইমোজি জুড়ে দিয়ে মন্তব্যের ঘরে লেখেন, ‘ওহ!’ ব্যস, দুজনকে নিয়ে গুঞ্জন ডানা মেলেছে বাতাসে।

 এ ব্যাপারে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) একটি সংবাদমাধ্যমকে শেখ সাদী বলেন, তেমন সিরিয়াস কিছু ভেবে দেইনি।

এরপরও সবাই যে এত সিরিয়াসলি নেবে, তা ভাবতেও পারিনি। তবে এখন থেকে ফেসবুকে কিছু লেখার আগে অবশ্যই ভাবব। আমরা সহকর্মী, একসঙ্গে কাজের পরিকল্পনা চলছে। এর থেকে আর বেশি কিছু নয়।
ক্যাপশন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চ্যাটজিপিটির কাছে ক্যাপশন চেয়েছিলাম। সেখান থেকেই এ ধরনের একটি বাক্য পেয়েছি। তারপরই জানতে চাওয়া হয় গায়কের কাছে, চ্যাটজিপিটি কি আপনার মনের কথা বুঝে গেল? হাসতে হাসতে শেখ সাদী বলেন, বিশ্বাস করুন, চ্যাটজিপিটি বেশ স্মার্ট। কিন্তু বিষয়টি এমন নয়। তবে এটা ঠিক, প্রতিটি ছেলে চাইবে তার জীবনসঙ্গী পরীর মতো হউক।

এদিকে শেখ সাদীর এ পোস্ট নিয়ে দিনভর যখন নানা আলোচনা হচ্ছে, তখন ‘শেখ সাদী’র নাম উল্লেখ না করেই বিষয়টি স্পষ্ট করলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। এদিন রাত ৯টার দিকে ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘ওরে পরী মানে ডানাওয়ালা পরী, পরীমনি না।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ