শ্রীনগরে নিখোঁজের ১০ দিন পর ডোবা থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
Published: 11th, February 2025 GMT
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার একটি ডোবার কচুরিপানার ভেতর থেকে শামসুল হাওলাদার নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ব্রাহ্মণখোলা গ্রামের মজিদ খানের বাড়ির পাশের পুকুর পাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শামসুল হাওলাদার (৪০) জেলার সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল গ্রামের মনু হাওলাদারের ছেলে। তিনি দিনমজুর ছিলেন। গত ৩১ জানুয়ারি নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি। নিখোঁজের ঘটনায় ৩ ফেব্রুয়ারি সিরাজদিখান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিল তাঁর পরিবার।
সিরাজদিখান সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমরান খান বলেন, ‘নিখোঁজের বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছিলাম। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নিখোঁজ ব্যক্তির মুঠোফোনের তথ্য ধরে এক নারীসহ দুজনকে আটক করি। পরে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে শামসুল হাওলাদারকে হত্যা ও লাশ গুমের কথা জানতে পারি। আটক ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে শ্রীনগর ও সিরাজদিখান থানা-পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ডোবার কচুরিপানার নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করে।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রকৃত ঘটনা জানতে পুলিশ অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এ ঘটনার সঙ্গে আরও যাঁরা জড়িত, তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?