দোয়া কুনুত: বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, ফজিলত ও পড়ার নিয়ম
Published: 12th, February 2025 GMT
এশার নামাজের পর থেকে শেষ রাতের আগপর্যন্ত যেকোনো সময় বিতর নামাজ পড়া যায়। বিতরের নামাজ পড়ার সময় তৃতীয় বা শেষ রাকাতে রুকুতে যাওয়ার আগে দোয়া কুনুত পড়তে হয়। দোয়া কুনুতে রয়েছে গভীর রাতে আল্লাহর সঙ্গে বান্দার একান্ত আলাপ। এ দোয়ার ফলে আল্লাহ বান্দার প্রতি খুশি হয়ে যান। বান্দার চাওয়া-পাওয়া পরিপূর্ণ করে দেন। দুনিয়ার সব বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি দেন।
রাসুল (সা.
কুনুত শব্দ দিয়ে নীরবতা, সালাত, কিয়াম, ইবাদত ইত্যাদি বোঝায়। কুনুতের উদ্দেশ্য হলো নামাজে দাঁড়ানো অবস্থায় আল্লাহর কাছে দোয়া করা। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে সুরা-কিরাত, দরুদ, তাশাহুদ, দোয়া মাসুরাসহ বিভিন্ন দোয়া পড়া হয়। নামাজে এসব পড়া আবশ্যক। এমন দোয়ার মতো আরেকটি আমল হলো দোয়া কুনুত।
দোয়া কুনুত বাংলা উচ্চারণ:আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতায়িনুকা ওয়া নাসতাগ ফিরুকা, ওয়ানুমিনু বিকা ওয়া নাতাওয়াক্কালু আলাইকা ওয়া নুছনি আলাইকাল খাইর। ওয়া নাসকুরুকা ওয়ালা নাক ফুরুকা, ওয়ানাখলাউ উয়ানাত রুকু মাইয়্যাফযুরুকা। আল্লাহুম্মা ইয়্যাকানা’ বুদু ওয়ালাকা নুছল্লি, ওয়ানাস জুদু ওয়া ইলাইকা নাসয়া; ওয়া নাহফিদু ওয়া নারজু রাহমাতাকা, ওয়া নাখশা আজাবাকা; ইন্না আজাবাকা বিলকুফফারি মুলহিক।
দোয়া কুনুতের অর্থ:হে আল্লাহ! আমরা তোমারই সাহায্য চাই। তোমারই কাছে ক্ষমা চাই, তোমারই প্রতি ইমান রাখি, তোমারই ওপর ভরসা করি এবং সব মঙ্গল তোমারই দিকে ন্যস্ত করি। আমরা তোমার কৃতজ্ঞ হয়ে চলি, অকৃতজ্ঞ হই না। হে আল্লাহ! আমরা তোমারই দাসত্ব করি, তোমারই জন্য নামাজ পড়ি এবং তোমাকেই সিজদাহ করি। আমরা তোমারই দিকে দৌড়াই ও এগিয়ে চলি। আমরা তোমারই রহমত আশা করি এবং তোমার আজাবকে ভয় করি। আর তোমার আজাব তো কাফেরদের জন্যই নির্ধারিত।
আরও পড়ুনইয়াজুজ–মাজুজের আশ্চর্য কাহিনি ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩দোয়া কুনুতের ফজিলতএই দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে গুরুত্বপূর্ণ আবেদনগুলো তুলে ধরা হয়।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আমি একরাতে নবী (সা.) কাছে ছিলাম। তিনি শয্যাত্যাগ করলেন এবং দুই রাকাত নামাজ পড়লেন। এরপর উঠে বিতর পড়লেন। প্রথম রাকাতে ফাতিহার পর সুরা আলা পাঠ করলেন। এরপর রুকু ও সেজদা করলেন। দ্বিতীয় রাকাতে ফাতিহা ও কাফিরুন পাঠ করলেন এবং রুকু-সেজদা করলেন। তৃতীয় রাকাতে ফাতিহা ও ইখলাস পাঠ করলেন। এরপর রুকুর আগে কুনুত পড়লেন।’ (কিতাবুল হুজ্জাহ ১/২০১; নাসবুর রায়াহ : ২/১২৪)
দোয়া কুনুত পড়ার নিয়মদোয়া কুনুত বিতর নামাজের তৃতীয় রাকাতে সুরা ফাতিহার সঙ্গে সুরা মেলানোর পর পাঠ করতে হয়।
আরও পড়ুনদোয়া কুনুত: বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, ফজিলত ও পড়ার নিয়ম০১ জানুয়ারি ২০২৪উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মজাদার ডেজার্ট রেভানির রেসিপি
রেভানি তৈরি করতে পেরোতে হবে ৩টি ধাপ।
শিরাউপকরণ: পানি দেড় কাপ, চিনি ১ কাপ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, গোলাপজল ও লেবুর খোসা কোরানো সামান্য।
প্রণালি: একটি পাত্রে চিনি ও পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে ফুটতে দিন। চিনি গলে গেলে ৫-৭ মিনিট নাড়ুন। লেবুর রস ও খোসা দিন। নামিয়ে শিরা ছেঁকে এক পাশে রেখে দিন।
ক্রিমউপকরণ: দুধ ১ কেজি, কর্নফ্লাওয়ার সিকি কাপ, চিনি ৩ টেবিল চামচ, কমলার খোসা কোরানো (জেস্ট) ১ চা–চামচ, ক্রিম ১ কৌটা, মাখন কিউব কয়েকটি।
প্রণালি: একটি পাত্রে সব উপকরণ একত্রে মিশিয়ে চুলায় বসান। দ্রুত নাড়তে থাকুন। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে তাতে মাখনের কিউবগুলো দিয়ে দ্রুত মেশাতে থাকুন। ঠান্ডা
না হওয়া পর্যন্ত ঘন ঘন নাড়তে হবে।
উপকরণ: সুজি দেড় কাপ, ময়দা ২ টেবিল চামচ, চিনি আধা কাপ, লবণ সামান্য, বেকিং পাউডার ১ টেবিল চামচ, গলানো মাখন ১ কাপ, কোরানো নারকেল আধা কাপ, ডিম ৩টি, টক দই আধা কাপ, দুধ পৌনে এক কাপ।
প্রণালি: বাসবুসার জন্য একটি পাত্রে ডিম ও চিনি ভালোভাবে বিট করুন। বিট করতে করতে ফোম হলে এতে মাখন ও দই মিশিয়ে আবার বিট করুন। সুজি, ময়দা, বেকিং পাউডার ও কমলার খোসা যোগ করে হালকা হাতে মিশিয়ে নিন। একটি বাটার মাখানো বেকিং ট্রেতে অর্ধেক ব্যাটার ঢেলে ১৮০ ডিগ্রি তাপে ২০–২২ মিনিট বেক করুন।
বাসবুসা সম্পূর্ণ ঠান্ডা হলে একটা মোটা কাবাব কাঠি দিয়ে ছিদ্র করে নিন। এবার আস্তে আস্তে অর্ধেক শিরা ঢেলে দিন, যেন তা ভালোভাবে শুষে নিতে পারে। এবার তৈরি করে রাখা ক্রিম ঢেলে দিন সমান করে। এই ক্রিমের ওপর বাকি অর্ধেকটা ব্যাটার ঢেলে দিন সমান করে। এরপর আবার ওভেনে একই তাপে ২০–২২ মিনিট বেক করুন। বেকিং শেষে ওভেনের তাপমাত্রা কিছুটা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত রেখে দিন। বের করে আগের মতো একইভাবে বাকি শিরাটুকু ঢেলে দিয়ে রেভানি ২ ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর টুকরা টুকরা করে কেটে পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুনচিকেন বটি মাসালার রেসিপি২ ঘণ্টা আগে