আমি অন্যায় করি না, আর কাউকে অন্যায় করতে দিব না বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালী-২ আসনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। 

মঙ্গলবার পটুয়াখালীর বাউফলের ধানদী কামিল মাদ্রাসা ময়দানে এক বিশাল তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ মাহফিলে বলেন, আমাদের তরুণ যুবকরা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে জীবন দিতে পারে তাহলে আমরা কেন, সমাজের গুটিকয়েক চাঁদাবাজ, সুদখোর, ঘুসখোর, দুর্নীতিবাজদের রুখে দিতে জীবন দিতে পারব না। আমি অন্যায় করি না, অন্যায়কে প্রশ্রয় দিব না।  

তিনি বলেন, আমাদের দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কোনো মেম্বর, চেয়ারম্যান কিংবা অন্যকোন জনপ্রতিনিধি কাউকে কিছু দেওয়ার চেয়ে খেয়েছে বেশি। ওরা কেবল আমাদের হকই খায়নি আল্লাহর হকও নষ্ট করেছে। আগামী দিনে আমাদের বাউফলের ইমাম হবেন একজন আল্লাহ ভীরু। যিনি হবেন একদিকে মসজিদের ইমাম, জানাজার নামাজের ইমাম একই সঙ্গে বাউফলেরও ইমাম।

ড.

শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, রাসুলে করিম (সা.)-এর আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে শেষ জামানা শুরু হয়ে গেছে। ইসলামের ভিত্তিতে আমাদের জীবন এবং রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে। একমাত্র জীবন বিধানের নামই হচ্ছে আল কুরআন।

ধানদী শিশু সদন নূরানি ও হাফেজি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব মো. হারুন আর রশিদের সভাপতিত্বে মাহফিলের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জৈনপুরী গদিনশিন পীর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা ওসামা আহমেদ সিদ্দিকী। মুফাসিরে কুরআন ও ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা শায়েখ জামাল উদ্দিন, জৈনপুরী পীর হযরত মাওলানা নাবিল আহমাদ সিদ্দিকী, জৈনপুরী পীর হযরত মাওলানা আহমদ হামজা সিদ্দিকী, তাফসিরকারক হাফেজ মাওলানা মুফতি জাকির হোসাইন প্রমুখ মাহফিলে তাফসির পেশ করেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক

গাজীপুরের শ্রীপুরে অধিক বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৬ জুন) সকালে ওই নারী শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

রবিবার (১৫ জুন) সকালে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ।

ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী মো. লিটন (৩৫) তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন বুথে দায়িত্ব পালন করতেন। 

লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। বর্তমানে তিনি মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি করতেন।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এটিএম বুথে টাকা তোলার সূত্র ধরে এই নারী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় লিটনের। একপর্যায়ে লিটন ভুক্তভোগীকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রবিবার সকালে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে ডেকে আনেন। সকাল ৬টার দিকে বুথে গেলে লিটন তাকে ভেতরে একটি ছোট কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং জানান যে, নতুন চাকরির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তার সাক্ষাৎকার নেবেন।

ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ে চাকরির বিষয়ে খোঁজ নিলে লিটন জানান, চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক আছে। তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। এরপর আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে লিটন কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে মেয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।

ঘটনার বিষয়ে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের সুপারভাইজার মো. হানিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত লিটন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরো জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।

ঢাকা/রফিক/টিপু  

সম্পর্কিত নিবন্ধ