অন্যায় করি না, কাউকে করতে দিব না: ড. শফিকুল ইসলাম
Published: 12th, February 2025 GMT
আমি অন্যায় করি না, আর কাউকে অন্যায় করতে দিব না বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালী-২ আসনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
মঙ্গলবার পটুয়াখালীর বাউফলের ধানদী কামিল মাদ্রাসা ময়দানে এক বিশাল তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ মাহফিলে বলেন, আমাদের তরুণ যুবকরা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে জীবন দিতে পারে তাহলে আমরা কেন, সমাজের গুটিকয়েক চাঁদাবাজ, সুদখোর, ঘুসখোর, দুর্নীতিবাজদের রুখে দিতে জীবন দিতে পারব না। আমি অন্যায় করি না, অন্যায়কে প্রশ্রয় দিব না।
তিনি বলেন, আমাদের দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কোনো মেম্বর, চেয়ারম্যান কিংবা অন্যকোন জনপ্রতিনিধি কাউকে কিছু দেওয়ার চেয়ে খেয়েছে বেশি। ওরা কেবল আমাদের হকই খায়নি আল্লাহর হকও নষ্ট করেছে। আগামী দিনে আমাদের বাউফলের ইমাম হবেন একজন আল্লাহ ভীরু। যিনি হবেন একদিকে মসজিদের ইমাম, জানাজার নামাজের ইমাম একই সঙ্গে বাউফলেরও ইমাম।
ড.
ধানদী শিশু সদন নূরানি ও হাফেজি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব মো. হারুন আর রশিদের সভাপতিত্বে মাহফিলের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জৈনপুরী গদিনশিন পীর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা ওসামা আহমেদ সিদ্দিকী। মুফাসিরে কুরআন ও ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা শায়েখ জামাল উদ্দিন, জৈনপুরী পীর হযরত মাওলানা নাবিল আহমাদ সিদ্দিকী, জৈনপুরী পীর হযরত মাওলানা আহমদ হামজা সিদ্দিকী, তাফসিরকারক হাফেজ মাওলানা মুফতি জাকির হোসাইন প্রমুখ মাহফিলে তাফসির পেশ করেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
ইবিতে ছুটি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত সেই মোজাম্মেল
হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তিকারী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাব-রেজিস্ট্রার মোজাম্মেল হক পলাতক রয়েছেন। তিনি কোনো ধরনের ছুটি না নিয়ে কর্সস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।
এর আগে, হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির বিষয়টি সামনে এলে ওই কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ঝিনাইদহ জেলা ইমাম পরিষদ।
শিক্ষার্থীরা বলেন, মোজাম্মেল হক দীর্ঘদিন থেকে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নারীলোভী বলে কটুক্তি করে আসছিলেন। অথচ মহান আল্লাহ স্বয়ং মহানবী (স.) এর চরিত্রের সনদ দিয়েছেন। সমস্ত পৃথিবীর রহমত স্বরূপ তাকে প্রেরণ করা হয়েছে। তার এ হীন কাজের জন্য আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আরো পড়ুন:
রাসূল (সা.)-কে নিয়ে কটুক্তিকারী ইবি কর্মকর্তার বহিষ্কার দাবি
নারী কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাহার দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের
শিক্ষার্থীরা মনে করেন, সারা দেশের মানুষকে আলোর পথ দেখাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি জায়গায় এবং আল হাদিস বিভাগের কর্মকর্তার রাসূলের শানে এ ধরনের বেয়াদবি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই প্রশাসনের কাছে এই কর্মকর্তার বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।
ঝিনাইদহ ইমাম পরিষদের স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, মোজাম্মেল হক নামের এক ব্যক্তি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে নারীলোভী ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার পাশাপাশি ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চরম কটূক্তি ও অশালীন মন্তব্য করেছে যা দেশের কোটি কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত হেনেছে। এমন ঘৃণ্য ও উসকানিমূলক বক্তব্য শুধু ধর্মীয় সহনশীলতা নষ্ট করে না, বরং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করে সমাজে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করতে পারে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, “এ ঘটনায় আগেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটি এখন জাতীয় ইস্যু হয়ে গেছে। তবে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক বিভাগে আসছে না। এ বিষয়ে আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে মিটিং আছে। সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হকের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
মহানবী (সা.)-কে কটুক্তিকারী মোজাম্মেল হক ঝিনাইদের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ভুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মহানবী (সা.)-কে নারীলোভী বলে কটুক্তি করার অভিযোগে গ্রামবাসী তাকে গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখেন এবং পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে মৌখিক মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী