সিদ্ধিরগঞ্জে চুনা কারখানার গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন ও সিলগালা
Published: 12th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মিটারের উপর নকল সীল দেওয়ার অভিযোগে চুনা কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সিলগালা করেছে নারায়ণগঞ্জ তিতাস কর্তৃপক্ষ।
চুনা কারখানাগুলো হলো হাজী হযরত মিয়ার মালিকানাধীন আরাফাত লাইমস, সুরমা লাইসম ও আব্দুল হাই মেম্বার এর মালিকানাধীন মেঘনা লাইমস। বুধবার সকাল ১২ টার সময় নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাসের একটি অভিযানিক দল উক্ত কারখানাগুলোতে অভিযান চালায়।
মিটারের উপর নকল সীল পাওয়ায় তিতাস কর্মকর্তারা গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার খুলে নিয়ে যায় এবং মেঘনা লাইনস নামক একটি চুনা কারখানা সিলগালা করে।
এলাকাবাসী জানায়, আবাসিক এলাকায় ১৬ টির মত চুনা কারখানা রয়েছে। চুনা কারখানার ট্রেড লাইসেন্স ও পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকলেও রহস্যজনক কারণে তারা বছরের পর বছর ব্যবসা করে যাচ্ছে।
শুধু তাই নয় সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি ও গ্যাস চুরি করে রাতারাতি হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তারা। তারা টেম্পারিং এর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার গ্যাস চুরি করছে।
উক্ত চুনা কারখানার মালিকরা একসময় নুন আনতে পান্তা ফুরাতো। চুনা কারখানা দিয়ে রাতারাতি হাজার কোটি টাকার মালিক তারা। নামে-বে নামে করেছেন কোটি কোটি টাকার সম্পদ।
টাকা দিয়ে তিতাস গ্যাস কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে আবারও গ্যাস চুরির মাধ্যমে ব্যবসা চালিয়ে যাবেন বলে মনে করেন সিদ্ধিরগঞ্জবাসী।
তাদের অর্থ সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য এলাকাবাসী অনুরোধ জানান দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের কাছে।
উক্ত বিষয়ে জানতে আরাফাত লাইমসের মালিক হাজী হযরত মিয়া মুঠোফোনে বলেন, আমি দূরে আছি, এসব বিষয়ে আমি জানিনা হলে ফোন কেটে দেন। মেঘনা লাইমসের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা করা সম্ভব হয়নি।
নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস সূত্রে জানা যায়, হাজী হজরত মিয়ার মালিকানাধীন আরাফাত লাইমস চুনা কারখানায় ও সুরমা লাইমসে অভিযান চালিয়ে মিটারের উপর নকল সিল পাওয়ায় তাৎক্ষণিক ভাবে গ্যাস সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং মেঘনা লাইমসটি সিলগালা করা হয়। উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে বড় অংকের জরিমানা করা হবে জানায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ল ইমস
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে ঢাকা লুব অয়েল কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
রূপগঞ্জে ঢাকা লুব অয়েল লিমিটেড নামে একটি কারাখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ও বৈদ্যুতিক মিটার খুলে ফেলেছে পরিবেশ অধিদপ্তর, নারায়ণগঞ্জ।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) উপজেলার বানিয়াদি, মাসুমাবাদ এলাকায় দূষণকারী কারখানা ও প্রকল্পের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে ওই কারখানা বন্ধ করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর, মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইং এর বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী সচিব জনাব ফয়জুন্নেছা আক্তার এর নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ, পল্লী বিদ্যুৎ রূপগঞ্জ এবং পরিবেশ অধিদপ্তর, নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা সমম্বয়ে গঠিত একটি টীম কর্তৃক অবৈধ কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর, নারায়ণগঞ্জের উপপরিচালক এ. এইচ. এম রাসেদ জানান, নারায়ণগঞ্জে দূষণকারী কারখানা ও প্রকল্পের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।