মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এর প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারের ওপর হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল, ঢাকা (বিবিওডব্লিউসিডি)। 

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিবিওডব্লিউসিডির সভাপতি এ কে এম মাসুম বিল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা শ্রাবন স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে এ দাবি জানানো হয়।

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক এবং মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদ-এ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিযুক্ত প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার ১২ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) বিকেলে অফিস থেকে ফেরার পথে রাজধানীর বনানী এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছেন। হামলায় তার গাড়িচালকও আহত হন এবং গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল, ঢাকা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় ও হামলার সঙ্গে জড়িত সকল অপরাধীকে গ্রেপ্তার ও তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল হামলায় আহত পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছে। তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।

বুধবার সকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি টিম নগদে অভিযান চালায়। তখন নগদের প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার গণমাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিকভাবে নগদে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা পাচার ও ৬৪৫ কোটি টাকার ই-মানি সংক্রান্ত অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। দুদক টিম এ-সংক্রান্ত নথি-পত্র সংগ্রহ করেছে এবং তারা বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখবে।

এর আগে মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার নগদের সাবেক সিইওর কাছ থেকে হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা চেয়ে রাজধানীর বনানী থানায় গত ৫ সেপ্টেম্বর একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। এর আগেও তার ওপর হামলার চেষ্টা করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল, ঢাকা এ সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে অনতিবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা এবং দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাত সংস্কার-সংশ্লিষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিশেষ নিরাপত্তার জোর দাবি জানাচ্ছি।

ঢাকা/এনএফ/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অধ্যাপক ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা থাকাকালে তাঁর ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বের উল্টো যাত্রা ঘটল: অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ (তিন শূন্য) তত্ত্ব সমর্থন করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে তার উল্টো যাত্রা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তাঁর খেয়াল করা দরকার। আমরা চাই, থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’

সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেন। ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শিরোনামে যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) ও প্রথম আলো।

বৈঠকে অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের “থ্রি জিরো” (তিন শূন্য) তত্ত্ব সারা পৃথিবীতে পরিচিত। আমি এটা খুবই সমর্থন করি যে শূন্য কার্বন নিঃসরণ, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য দারিদ্র্য। কিন্তু পুরো যাত্রাটা তো হচ্ছে উল্টো দিকে। অধ্যাপক ইউনূসের একটা সুযোগ ছিল যে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থ্রি জিরো তত্ত্বের বাস্তবায়নের একটা মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে দাঁড় করানোর কিছু চেষ্টা করা। কিন্তু আমরা দেখছি, কীভাবে কার্বন নিঃসরণ আরও বাড়ে, সেটার একটা চেষ্টা চলছে। গত ১০ মাসে লক্ষাধিক বেকারত্ব বেড়েছে শুধু কারখানা বন্ধ করার কারণে আর দারিদ্র্য বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ লাখ। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তো তাঁর একটু খেয়াল করা দরকার। এতে তো আমরা খুশি না। আমরা তো চাই যে থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’

‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শীর্ষক গোলটেবিলে আলোচকদের একাংশ। সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে

সম্পর্কিত নিবন্ধ