নগদের প্রশাসকের ওপর হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি
Published: 13th, February 2025 GMT
মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এর প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারের ওপর হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল, ঢাকা (বিবিওডব্লিউসিডি)।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিবিওডব্লিউসিডির সভাপতি এ কে এম মাসুম বিল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা শ্রাবন স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে এ দাবি জানানো হয়।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক এবং মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদ-এ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিযুক্ত প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার ১২ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) বিকেলে অফিস থেকে ফেরার পথে রাজধানীর বনানী এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছেন। হামলায় তার গাড়িচালকও আহত হন এবং গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল, ঢাকা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় ও হামলার সঙ্গে জড়িত সকল অপরাধীকে গ্রেপ্তার ও তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল হামলায় আহত পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছে। তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।
বুধবার সকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি টিম নগদে অভিযান চালায়। তখন নগদের প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার গণমাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিকভাবে নগদে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা পাচার ও ৬৪৫ কোটি টাকার ই-মানি সংক্রান্ত অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। দুদক টিম এ-সংক্রান্ত নথি-পত্র সংগ্রহ করেছে এবং তারা বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখবে।
এর আগে মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার নগদের সাবেক সিইওর কাছ থেকে হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা চেয়ে রাজধানীর বনানী থানায় গত ৫ সেপ্টেম্বর একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। এর আগেও তার ওপর হামলার চেষ্টা করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল, ঢাকা এ সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে অনতিবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা এবং দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাত সংস্কার-সংশ্লিষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিশেষ নিরাপত্তার জোর দাবি জানাচ্ছি।
ঢাকা/এনএফ/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের
গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত ও শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। একই সঙ্গে তারা বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবিও জানায়।
মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুলফিকার আলী, আইনবিষয়ক সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা, নির্বাহী সদস্য আফজাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য ও বোম্বে সুইটস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রতন মিয়া প্রমুখ।
সমাবেশে নেতারা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে গার্মেন্টস উইংয়ের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ৭ জনকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এবং রিকশা শ্রমিকদের রুটি–রুজির আন্দোলনে সংহতি জানানোর অপরাধে চট্টগ্রামে রিকশা সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি আল কাদেরি জয়, মিরাজ উদ্দিন ও রোকন উদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তারা শ্রমক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমমান বাস্তবায়ন করবে।
এ সময় নেতারা শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হচ্ছে কি না, তা জানতে চান। তাঁরা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া বন্ধ না হলে, শ্রমিকের ওপর নিপীড়ন বন্ধ না হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র পরিচালনা বা বৈষম্য নিরসনের প্রতিশ্রুতি শ্রমজীবী মানুষের কাছে প্রতারণা হিসেবে পরিগণিত হবে।
মে দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ৮৫ শতাংশ শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শ্রম খাতের দুর্দশার যে ভয়ানক চিত্র ফুটে উঠেছে, তা প্রমাণ করে স্বাধীনতা–পরবতী প্রতিটি সরকার শ্রম শোষণকে তীব্র থেকে তীব্রতর করার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
এ সময় গ্রেপ্তার সব শ্রমিকের মুক্তি, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং মে দিবসের প্রকৃত চেতনায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা।