সিলেটে নানা আয়োজনে বিশ্ব বেতার দিবস উদযাপন
Published: 13th, February 2025 GMT
সিলেটে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিশ্ব বেতার দিবস-২০২৫ উদযাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশ বেতার সিলেটের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকালে বেতার প্রাঙ্গণে নানা আয়োজনে বিশ্ব বেতার দিবস উদযাপন করা হয়। দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে মিরের ময়দানে বাংলাদেশ বেতার সিলেট প্রাঙ্গণে শোভাযাত্রার পর সংক্ষিপ্ত আলোচনা এবং পরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
শোভাযাত্রার আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো.
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ বেতার সিলেটের আঞ্চলিক পরিচালক আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তারিক বলেন, বাংলাদেশ বেতার প্রচার কাজে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার সংযোজন করেছে। বিদ্যমান গতানুগতিক মাধ্যমের পাশাপাশি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেও আমাদের সকল আয়োজন প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সকল আয়োজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। ফলে বেতারের শ্রোতা বৃদ্ধি পেয়েছে। জনগণকে বেতারের সঙ্গে আরও সম্পৃক্ত করতে আমরা এই ধারা অব্যাহত রাখব।
অনুষ্ঠানে মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মুকিত অপি, কবি ও বাচিক শিল্পী সালেহ আহমেদ খসরু, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ সাধারণ সম্পাদক সেলিম আওয়াল, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকার সম্পাদক মুকতাবিস উন নূর, দৈনিক সিলেটের ডাকের ক্রীড়া সম্পাদক বদরুদ্দোজা বদর, বিশিষ্ট নাট্য শিল্পী শামসুল বাসিত শেরো, আঞ্চলিক প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামাল হোসেন ও উপ-বার্তা নিয়ন্ত্রক সঞ্জয় সরকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। আলোচনা শেষে শোভাযাত্রাটি বেতার প্রাঙ্গণ থেকে যাত্রা শুরু করে পুলিশ লাইন মোড় হয়ে ফের বেতার প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প র ঙ গণ
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।