সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহইয়াকে আটক করে পুলিশে দিলেন ছাত্র–জনতা
Published: 13th, February 2025 GMT
সিলেট-২ (বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর) আসনের জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরীসহ পাঁচজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা জোনের সহকারী কমিশনার সাদ্দাম হোসাইন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ইয়াহইয়া চৌধুরীকে উত্তরা পশ্চিম থানায় আটক রাখা হয়েছে। তাঁর বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
ছাত্র-জনতার ওপর গুলি ছুড়ে হত্যার অভিযোগে গত ১২ নভেম্বর ইয়াহইয়া চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। প্রায় এক মাস পর জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি।
ইয়াহইয়া চৌধুরী ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সিলেট-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসনটিতে নিজেদের প্রার্থী দেয়নি। ওই নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। পরে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ওই আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিলেও নির্বাচিত হতে পারেননি ইয়াহইয়া। ওই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খান।
আরও পড়ুনসিলেটের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার১২ নভেম্বর ২০২৪.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।
সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।
জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।
তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।
এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ রিকোভারীবৃন্দ।