শুরুটা সব সময় সহজ হয় না। অর্থহীন, ক্রিপ্টিক ফেইট, আর্টসেল, নেমেসিস, শিরোনামহীন—প্রায় প্রতিটি ব্যান্ডের ঝুলিতেই আছে আনন্দ–বেদনার গল্প। জনপ্রিয় এসব ব্যান্ড যাত্রা শুরু করে নব্বই থেকে শূন্য দশকে। গান দিয়ে এই সময়ে ব্যান্ডগুলোকে যেমন নিজেদের পরিচয় উপস্থাপন করতে হয়েছে, তেমনিভাবে শ্রোতা তৈরির দিকেও মনোনিবেশ করতে হয়েছে। এদিক থেকে বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাসে নব্বইয়ের দশক খুব গুরুত্বপূর্ণ।
এ ক্ষেত্রে ‘মিক্সড অ্যালবাম’–এর কথাও উল্লেখ করা জরুরি। ‘মিক্সড অ্যালবাম’ বা ‘মিশ্র অ্যালবাম’ হচ্ছে অনেকগুলো ব্যান্ডের সম্মিলিত অ্যালবাম। ওই সময়ে নিজস্ব অ্যালবাম বের করার আগে ব্যান্ডগুলো এক হয়ে ‘মিক্সড অ্যালবাম’ বের করত। এক অ্যালবামে বেশ কয়েকটি ব্যান্ডের গান পাওয়ায় শ্রোতারাও আকৃষ্ট হতেন।

আর্টসেলের প্রথম গান ‘অদেখা স্বর্গ’ও তাঁরা করেছিলেন মিক্সড অ্যালবাম ‘ছাড়পত্রে’র (২০০১) জন্য। তারপর তরুণদের মুখে মুখে ফেরা ‘তোমরা কেউ কি দিতে পারো প্রেমিকার ভালোবাসা?’ গানটিও ছিল মিক্সড অ্যালবাম ‘অনুশীলন’–এ (২০০২)।

এই গান লেখার পাশাপাশি গেয়েছেন লিংকন নিজেই.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পরাজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ইরান: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইরান পরাজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তেহরানের ‘তাৎক্ষণিকভাবে’ আলোচনায় ফিরে আসা উচিত।

সোমবার (১৬ জুন) কানানাস্কিসে জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন।

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমি বলব ইরান এই যুদ্ধে জিতছে না... এবং তাদের অবিলম্বে কথা বলা উচিত, খুব দেরি হওয়ার আগেই।”

আরো পড়ুন:

খামেনিকে আঘাতে ট্রাম্পের ভেটো: ইসরায়েলে প্রতিক্রিয়া কেমন?

ইসরায়েলি হামলার পর পুনরায় সম্প্রচার শুরু করল ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি

কানাডায় প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসার আগে ট্রাম্প সাংবাদিকদের আরো বলেন, “আমরা সবসময় ইসরায়েলকে সমর্থন করে এসেছি এবং ইসরায়েল খুব ভালো করছে।”

এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টেলিগ্রামে একটি পোস্টে বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি ‘সত্যিই কূটনীতিতে বিশ্বাস করেন ও যুদ্ধ বন্ধ করতে চান, তাহলে ‘ওয়াশিংটনের একটি ফোন কলই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে চুপ করানোর জন্য যথেষ্ট’।

তিনি বলেন, “এটি কূটনীতিতে ফিরে আসার পথ প্রশস্ত করতে পারে।”

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, “ইরান যুদ্ধ শুরু করেনি এবং আরো রক্তপাত চায় না। তবে ইরান তার ভূমি ও জনগণকে রক্ষা করার জন্য ‘সম্মানের সঙ্গে, শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত’ লড়াই করবে।”

 

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ২৪ জন নিহত এবং শত শত ইসরায়েলি আহত হয়েছে। ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২২৪ জন নিহত এবং ১,০০০ জনেরও বেশি ইরানি নাগরিক আহত হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ