জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক শনিবার
Published: 14th, February 2025 GMT
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনটি প্রথম বৈঠকে বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসবে।
জানা গেছে, শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিএনপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন।
প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানিয়েছেন, বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত থাকবেন এবং বক্তব্য রাখবেন।
আরো পড়ুন:
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে নজরুল ইসলাম
‘জনগণের মধ্যে আস্থা তৈরি করুন’
ইউএনও, আ.
ছয় মাস মেয়াদি এই কমিশন পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও বৈঠক করবে। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমনসহ বিভিন্ন খাতে সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণ ও সুপারিশ প্রণয়ন করবে কমিশনটি।
এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত ৬টি সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে শনিবার বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
ইতোমধ্যে সংস্কার কমিশনের দেওয়া রিপোর্টগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন-সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রিয়াজ, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।
কমিশনটি রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সংশ্লিষ্ট সংস্কারগুলোর সুপারিশ প্রণয়ন করবে। কমিশনের সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র জন ত ক ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
কিছু রাজনৈতিক দল ঐকমত্য কমিশনে গিয়ে ফাঁদে পড়েছে: জাপা মহাসচিব
কিছু রাজনৈতিক দল ঐকমত্য কমিশনে গিয়ে ফাঁদে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তবে কারা, সেটা স্পষ্ট করেননি তিনি।
আজ শনিবার বিকেলে রংপুর নগরের সেন্ট্রাল রোডে জাপা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শামীম হায়দার পাটোয়ারী এ মন্তব্য করেন।
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছু দল ইতিমধ্যে ঐকমত্য কমিশনে গিয়ে বা স্বাক্ষর করে একধরনের ফাঁদে পড়ে গেছে। কিছু রাজনৈতিক দল বলছে, ঐকমত্য কমিশন প্রতারণা করেছে। এখানে প্রতারক ও প্রতারণা শব্দটি উচ্চারিত হচ্ছে। কিন্তু আমরা তো এ রকম সংস্কার চাইনি।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ঐকমত্য তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে জাপা মহাসচিব বলেন, কমিশন ৫৬টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টি দলকে বাদ দিয়েছে। যে দলগুলো সেখানে গেছে, তাদের মধ্যে অনেকগুলো বিষয় নিয়ে মতবিরোধ আছে। এক ভাগকে ঐক্য প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, আরেক ভাগ ঐক্য প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ অংশগ্রহণ করেছে। অন্য আরেক ভাগ ঐক্য প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে পরে সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করেছে।
বর্তমান প্রশাসনিক কাঠামো বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির বলে দাবি করেছেন শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। কারণ, নির্বাচিত সরকার সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে ভোট করেছে ও নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে। এই মুহূর্তে দেশে যে প্রশাসনিক কাঠামো আছে, তার ব্যাপারে তথ্য উপদেষ্টা নিজেই বলেছেন, তাঁরা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর কথামতো প্রশাসন সাজিয়েছে, তার সঙ্গে এনসিপি আছে। এই তিন দলের বাইরে অন্য কোনো দল যদি ভোটে আসে, এই প্রশাসনিক কাঠামো সেই দলকে সুষ্ঠু ভোট হতে দেবে না।
গণভোটের দাবি নজিরবিহীন উল্লেখ করে শামামী হায়দার পাটোয়ারী বলেন, সংবিধানে এই মুহূর্তে গণভোট কোনো প্রভিশনে নেই। বর্তমানে গণভোটের যে দাবি উঠেছে, সংসদে পাস হওয়ার আগে এই দাবি বাস্তবায়ন হলে ঐকমত্য কমিশনকে সংসদের মর্যাদা দেওয়া হবে। ঐকমত্য কমিশন সার্বভৌম নয়, নির্বাচিত নয় ও সংসদ নয়। সংসদকে এড়িয়ে গিয়ে কোনো আইন পাস করা হলে তা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে।
এ সময় জাপার কো–চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ইয়াসির, রংপুর জেলার আহ্বায়ক আজমল হোসেন, সদস্যসচিব হাজী আবদুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুজ্জামানসহ জাপা ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।