জার্মানিতে নির্বাচন: কারা আসছে ক্ষমতায়
Published: 15th, February 2025 GMT
জোট বেঁধে সরকার পরিচালনা জার্মানির পুরোনো রেওয়াজ। বহু বছর ধরে জার্মানিতে এভাবেই সরকার গঠিত হচ্ছে। তবে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই জোট ভেঙে যাওয়ার বা দক্ষিণপন্থী নিয়ে জোট গঠনের রেওয়াজ নেই বললেই চলে।
পার্লামেন্ট নির্বাচনে কোনো দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার কারণেই দুই বা ততোধিক দলের অংশীদারের ভিত্তিতে জোট সরকার গঠিত হয়। জোটবদ্ধ দলগুলো নিজেদের মধ্য আলোচনার ভিত্তিতে জোট চুক্তি সম্পাদন বা লিপিবদ্ধ করে সরকার গঠন করে।
গত বছর নভেম্বর মাসে জার্মানিতে ক্ষমতাসীন তিনদলীয় জোটের ঐক্য ভেঙে যাওয়ার পর আবার নতুন করে জাতীয় নির্বাচনের দিন ঠিক করা হয়। এবারের আসন্ন ২১তম সাধারণ নির্বাচন হতে যাচ্ছে ২৩ ফেব্রুয়ারি। জার্মানিতে সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর।
২০২১ সালে নির্বাচনের পর তিনটি দল জোট বেঁধে ক্ষমতায় আসে। জার্মানির সবচেয়ে প্রাচীন সামাজিক গণতান্ত্রিক দল, পরিবেশবাদী সবুজ বা গ্রিন পার্টি এবং ফ্রি লিবারেল দল বা এফডিপি। জোটবদ্ধ তিনটি দলের রাজনৈতিক মতাদর্শ এক না হলেও সরকার চালাতে বেশ কিছু বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ মতামতের ওপর ভিত্তি করে জোটবদ্ধ সরকারের রচিত হয়েছিল।
দুর্ভাগ্য, করোনা মহামারি, ইউক্রেনের যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক সংকটের কবলে পড়ে প্রথম থেকেই এই জোট সরকার স্বস্তিতে থাকতে পারেনি। কারণ, করোনাকালে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ, জ্বালানি খাতে বাড়তি খরচ।
নির্বাচনের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মোতাবেক জলবায়ুবান্ধব অর্থনীতি গড়া, জার্মানির অন্যতম রপ্তানি খাত মোটরযানশিল্পে মন্দা, এসব নিয়ে জোটবদ্ধ সরকার প্রথম থেকেই সংকটে পড়ে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে শুধু ২০২৪ সালে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার জন্য জার্মান সরকারকে প্রায় ৭ দশমিক ১ বিলিয়ন ইউরো ব্যয় করতে হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহসংগঠন ইউরোপিয়ান পিস ফ্যাসিলিটিসের (ইপিএফ) তহবিল ইইউ সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে পরিশোধ করতে হয়। এই ব্যয় মূলত ইউক্রেনে নানা ধরনের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় করতে খরচ হয়। এই ব্যয়ের বাইরে রয়েছে ন্যাটোভুক্ত দেশের সদস্য হওয়ার কারণে বাড়তি ব্যয়ের হিসাব।
উল্লেখ্য, জার্মান সরকার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে প্রতিরক্ষা খাতে স্বল্প ব্যয়ের নীতি অনুসরণ করে আসছিল। সাম্প্রতিক কালের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ইউরোপের মাটিতে ন্যাটো সামরিক জোটের বিস্তৃতি করার মার্কিন লিপ্সার কারণে প্রতিরক্ষা খাতে জার্মানির ব্যয় হঠাৎ করেই বেড়ে যায়।
জার্মানির জোটবদ্ধ সরকার এর আগে বেশ কয়েকটি সংকটের সম্মুখীন হলেও গত বছর নভেম্বর মাসে বাজেট বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে ভাঙনের মুখে পড়ে। বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো নিয়ে সংকট আরও প্রবল হয়, তার কারণ ২০২৪ সালের ঘাটতি বাজেটের বিশাল ব্যবধান। বিষয়গুলো অনেক আগেই অনুমোদিত হওয়া উচিত ছিল। যেমন সঞ্চয়, নতুন ঋণ নেওয়া, মৌলিক আইনে অন্তর্ভুক্ত ঋণের বিরতি স্থগিত করা প্রভৃতি। বিষয়গুলো নিয়ে জোটের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়।
নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে জার্মান সুপ্রিম কোর্ট বা ফেডারেল সাংবিধানিক আদালত জোট সরকারের আর্থিক নীতির কিছু অংশ বাতিল করে দেয়। বাজেট প্রণয়নে সংকটে জোটের শরিক দল ফ্রি লিবারেল দলটি বের হয়ে যায়। ক্ষমতাসীন জোট সরকারের এই সংকটের মুখে এই বছর আগস্ট মাসের পরিবর্তে দ্রুত ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হয়।
গত সপ্তাহে সাবেক চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, তাঁর দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন কর্তৃক জার্মান সংসদে এ ধরনের প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি অলটারনেটিভ ফর ডয়েচল্যান্ডের মতো দলটির কাছ থেকে সহায়তা নিয়ে এ ধরনের প্রস্তাব পাসের জন্য দলটির বর্তমান নেতা ফ্রেডরিক মের্ৎসের কঠোর সমালোচনা করেন।অর্থনৈতিক ও সামাজিক নানা সংকটের মুখে বাড়তি সমস্যা যুক্ত হয় জার্মানিতে কট্টরবাদী জার্মানির জন্য বিকল্প দ্য এএফডি দলটির হীন কার্যকলাপ। অভিবাসী, শরণার্থী ও ইসলামবিদ্বেষী নব্য নাৎসিবাদী দলটি জনতুষ্টিবাদী মিথ্যা জনপ্রিয় স্লোগানকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ফায়দা গ্রহণ করে। এই সবকিছু মিলিয়ে বর্তমান জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের দল সামাজিক গণতান্ত্রিক দলকে বেকায়দায় ফেলে দেয়।
নির্বাচনের প্রায় দুই সপ্তাহ আগে নানা জরিপে দেখা যাচ্ছে, ক্ষমতাসীন জোট সরকারের বড় দল সামাজিক গণতান্ত্রিক দলটি চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। পরিসংখানে প্রথমে রয়েছে ক্রিশ্চিয়ান গণতান্ত্রিক ইউনিয়ন দল, তারপরই রয়েছে কট্টরবাদী জার্মানির জন্য বিকল্প দলটি, এরপর রয়েছে সামাজিক গণতান্ত্রিক দল ও পরিবেশবাদী সবুজ দল।
আসন্ন নির্বাচনী জরিপে প্রথমে থেকেই ক্রিশ্চিয়ান গণতান্ত্রিক ইউনিয়ন দলটির নেতা সম্ভাব্য আগামী চ্যান্সেলর, ফ্রেডরিক মের্ৎস গত ২৯ জানুয়ারি জার্মান পার্লামেন্টে অভিবাসন নীতিবিরোধী পরিকল্পনার প্রস্তাব করেন। আর এই প্রস্তাব সংসদে পাস করার জন্য সহায়তা করে জার্মানির কট্টর রক্ষণশীল অভিবাসীবিরোধী অলটারনেটিভ ফর ডয়েচল্যান্ড দল দলটি। যদিও প্রস্তাবটি গত ৩১ জানুয়ারি পার্লামেন্ট অভিবাসীবিষয়ক খসড়া আইনটি শেষ পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট না পেয়ে বাতিল হয়ে যায়।
এ ঘটনার পর থেকেই জার্মানিজুড়ে জার্মানির কট্টর রক্ষণশীল অভিবাসীবিরোধী অলটারনেটিভ ফর ডয়েচল্যান্ড দলটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে। নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে জার্মানির বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করছেন। বিক্ষোভকারীরা জার্মানির গণতান্ত্রিক দলগুলোকে নব্য নাৎসিদের দল জার্মানির জন্য বিকল্প দলটির সঙ্গে সহযোগিতা না করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত সপ্তাহে সাবেক চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, তাঁর দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন কর্তৃক জার্মান সংসদে এ ধরনের প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি অলটারনেটিভ ফর ডয়েচল্যান্ডের মতো দলটির কাছ থেকে সহায়তা নিয়ে এ ধরনের প্রস্তাব পাসের জন্য দলটির বর্তমান নেতা ফ্রেডরিক মের্ৎসের কঠোর সমালোচনা করেন।
আসন্ন নির্বাচনসংক্রান্ত জরিপে ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন দলটির পরেই অলটারনেটিভ ফর ডয়েচল্যান্ড দলটি দ্বিতীয় শক্তিশালী দল হিসেবে দেখা যাচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানিতে এ ধরনের একটি নব্য নাৎসি দলের দ্বিতীয় শক্তিশালী দল হিসেবে উঠে আসার বিষয়টি সবাইকে ভাবাচ্ছে।
জার্মানির রাজনীতিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ–পরবর্তী কোনো নাৎসি দল এতটা জনপ্রিয়তা পায়নি বা কট্টরবাদী কোনো নাৎসি দলকে নিয়ে জোটবদ্ধ সরকার গঠিত হয়নি। এ বছর জার্মানির নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় ও তার বিদ্বেষপ্রসূত অভিবাসী রাজনীতি জার্মানিতে অনেকটাই সুযোগ করে দিচ্ছে। ট্রাম্পের আরেক সহযোগী ইলন মাস্ক অভিবাসী বিষয়ে ইউরোপীয় কট্টরবাদী দলগুলোকে উসকে দিচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রে নিজে একজন অভিবাসী হয়েও অর্থ বিত্তের অহংকারে অভিবাসীবিরোধী অপরাজনীতি করছে।
সম্প্রতি ইলন মাস্ক তাঁর বিশ্বব্যাপী কট্টর ডানপন্থা রাজনীতি উসকে দেওয়ার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে জার্মানিতেও হস্তক্ষেপ করেছেন। তিনি জার্মানির কট্টর ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি দলটির প্রকাশ্য সমর্থক হয়েছেন। ডিসেম্বরের শেষ দিকে একটি জার্মানি পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি অলটারনেটিভ ফর জার্মানি দলটিকে জার্মানির ‘শেষ আশার আলো’ বলে উল্লেখ করেন। সেই লেখায় তিনি বলেছেন, অভিবাসন সীমিত করার মাধ্যমে দলটি দেশকে নিরাপদ রাখতে ও জার্মান সংস্কৃতি রক্ষা করতে পারবে।
গত জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে মাস্ক ভিডিও লিংকের মাধ্যমে জার্মানির হালে শহরে অলটারনেটিভ ফর জার্মানি দলটির নির্বাচনী সমাবেশে বক্তৃতা দেন। সেখানেও তিনি দলটিকে জার্মানির ভবিষ্যতের ‘সর্বশেষ আশা’ বলে অভিহিত করেন।
আসন্ন ২৩ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে সর্বশেষ জরিপে অনুযায়ী, ক্রিশ্চিয়ান গণতান্ত্রিক ইউনিয়ন দলটির নেতা ফ্রেডরিক মের্ৎসকে সম্ভাব্য চ্যান্সেলর হিসেবে দেখানো হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে সরকার গঠন করতে সামাজিক গণতান্ত্রিক দল বা পরিবেশবাদী গ্রিন পার্টির সঙ্গে জোট বাঁধতে হবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মন্তব্য করছে।
সরাফ আহমেদ প্রথম আলোর জার্মানি প্রতিনিধি
[email protected]
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ ট সরক র ইউক র ন সরক র র র জন য র জন ত দলট র ক ষমত ইউর প আসন ন প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে দুই ট্রেনের সময় বদলে যাচ্ছে
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলা সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে নতুন করে নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নতুন সময়সূচি আগামী ১০ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস (৮২১ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি এখন সকাল সোয়া ৬টায় চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায়। নতুন সূচি অনুযায়ী, পরীক্ষামূলকভাবে এ ট্রেন চলাচল করবে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে।
আর কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী প্রবাল এক্সপ্রেস (৮২২ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি কক্সবাজার স্টেশন ছাড়বে সকাল ১০টায়। এখন এ ট্রেন ছাড়ে ১০টা ২০ মিনিটে। গত মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলরত সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেসের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের উপপ্রধান পরিচালন কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান।
রেলওয়ের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকীকের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের চাহিদা ও সময়ানুবর্তিতা রক্ষায় সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনার জন্য কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রামমুখী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে এখন দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলাচল করে আরও দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন।
কক্সবাজার রেললাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর। প্রথমে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে আন্তনগর বিরতিহীন ট্রেন দেওয়া হয়। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে চলাচল শুরু করে পর্যটক এক্সপ্রেস। এটাও দেওয়া হয় ঢাকা থেকে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন না দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
গত বছরের ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই ট্রেন। এরপর ইঞ্জিন ও কোচের সংকটের কথা বলে গত বছরের ৩০ মে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে সেই অবস্থান থেকে সরে আসে রেলওয়ে। গত বছরের ১২ জুন থেকে আবার চালু হয় ট্রেন। আর নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হয় চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।
সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রী ওঠানামার জন্য ষোলশহর, জানালী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা ও রামু স্টেশনে থামবে।
আর প্রবাল এক্সপ্রেস যাত্রাপথে থামবে ষোলশহর, গোমদণ্ডী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলহাজারা, ইসলামাবাদ ও রামু স্টেশনে।