সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. আজম খানসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার রাতে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান অপারেশন ডেভিল হান্টে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

জানা যায়, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য আজম খান সিটি কর্পোরেশনের ২৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। বিগত ১/১১ এর সময় সিসিকের ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন। তৎকালীন আওয়ামী লীগের মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কারাবন্দি হলে আজম খানকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

আজম খান ছাড়া অন্য গ্রেপ্তাররা হলেন নগরীর বারুতখানার বাসিন্দা ছাত্রলীগ কর্মী সাইরুল কবীর সঞ্জয়, একই এলাকার বাসিন্দা ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের ক্রীড়া সম্পাদক সানি কবীর, দক্ষিণ সুরমার তেতলি এলাকার বাসিন্দা ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছিত মকন মিয়া ও জেলা তাঁতী লীগের পাঠাগারবিষয়ক সম্পাদক ও দক্ষিণ সুরমার বানেশ্বরপুরের বাসিন্দা মো.

ময়নুল ইসলাম।

পুলিশ জানিয়েছে,  অপারেশন ডেভিল হান্টে শুধু সিলেট নগরী থেকে ৪৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আজম খ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবি থেকে ড. জাকির নায়েককে ডক্টরেট দেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের

তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের ওপর বিশ্ববরেণ্য ইসলামী বক্তা ড. জাকির নায়েককে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পক্ষ থেকে সম্মানসূচক ‘ডক্টরেট ডিগ্রি’ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী।

সোমবার (৩ নভেম্বর) এ দাবিতে ঢাবি উপ-উপাচার্যের (প্রশাসন) কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। স্মারকলিপি প্রদান শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ তথা জানান তারা।

আরো পড়ুন:

বিএনপি ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়: ডাকসু

ঢাবি শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করতে ২ কমিটি

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ড. জাকির নায়েক একজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইসলামী চিন্তাবিদ ও মানবতাবাদী সংগঠক। তিনি শুধু ইসলাম প্রচারই করেননি, বরং মানবকল্যাণে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠিত ‘ইউনাইটেড এইড’ নামের সংগঠনের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজারো শিক্ষার্থী বৃত্তি ও সহযোগিতা পাচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি বিশ্বমঞ্চে মানবতার প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।

তারা বলেন, ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকারের ষড়যন্ত্রে তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হলেও মালয়েশিয়া তাকে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে গ্রহণ করেছে। এমন একজন মানবতাবাদী ও জ্ঞানচর্চার প্রতীক ব্যক্তিত্বকে যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত করে, তাহলে তা দেশের মর্যাদাকে আরো উজ্জ্বল করবে।

এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিশেষ সমাবর্তনের মাধ্যমে ড. জাকির নায়েককে ডিগ্রি প্রদান করে দাবি জানান।

এছাড়া তারা ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি ক্রমবর্ধমান বুলিং, হ্যারাসমেন্ট ও ধর্মীয় উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জ্ঞানচর্চার স্থানে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি অশোভন আচরণ ও অনলাইন বুলিং উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। আমরা উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় জেনেছি, ইতোমধ্যেই হ্যারাসমেন্ট ও সাইবার ট্যাগিং প্রতিরোধে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এসব কমিটি দ্রুত কার্যকর করতে হবে, যাতে অপরাধীরা শাস্তির আওতায় আসে।
 

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ