আলোচিত ঠিকাদার জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে দুদকের করা অবৈধ সম্পদ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা রায় থেকে উত্তোলন করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালত আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

আজ মামলাটি রায়ের জন্য ছিলো। তবে জি কে শামীমের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় জেরা করার আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কর্মকর্তার পুনরায় জেরার তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

গত ২২ জানুয়ারি দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ঠিক করেন। তবে ওইদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় পিছিয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়।

মামলায় জি কে শামীম কারাগারে আছেন। এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

তার মা আয়েশা আক্তার জামিনে আছেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি আয়েশা আক্তার আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। আজ আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেন তিনি। 


২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় -১ এর উপ-পরিচালক মো.

সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। 

২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলার সময় ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিকেতনের বাসা থেকে শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ভবন থেকে নগদ এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার ১০টি এফডিআর, ৩২টি ব্যাংক হিসাবের চেক বই, আটটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানানো হয় অভিযান শেষে।

গ্রেপ্তারের সময় র‌্যাব সদরদপ্তর, সচিবালয়ে ও কয়েকটি হাসপাতালের নতুন ভবনসহ অন্তত ২২টি নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি কাজ শামীমের প্রতিষ্ঠান জিকে বিল্ডার্সের হাতে ছিল। এসব প্রকল্পের ব্যয় বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৬ হাজার কোটি টাকা। পরে সেগুলোর কার্যাদেশ বাতিল হয়। জব্দ করা হয় তার ১৯৪টি ব্যাংক হিসাব।

অভিযনের পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে জি কে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করেন র‌্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান।

২০২৩ সালের ১৭ জুলাই মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় জি কে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। বাকি সাত আসামিকে (জিকে শামীমের দেহরক্ষী) ৪ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জি কে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম।

ঢাকা/মামুন/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও কিশোর গ্যাংয়ের মামলায় আসামিপক্ষে সরকারি আইনজীবীদের না দাঁড়ানোর নির্দেশ

কুমিল্লার আদালতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও কিশোর গ্যাংয়ের মামলায় আসামিপক্ষে সরকারি কোনো আইনজীবীকে না দাঁড়াতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার কুমিল্লা জেলা আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) কাইমুল হক ও সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) মো. তারেক আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ওই সিদ্ধান্তের কারণে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও কিশোর গ্যাংয়ের মামলায় আসামিপক্ষে কুমিল্লার আদালতের কোনো পিপি, জিপি, অতিরিক্ত পিপি, সহকারী পিপিসহ রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আইনজীবী জামিন আবেদন বা অন্যান্য আইনি কার্যক্রম চালাতে পারবেন না। আজ বুধবার পিপি কাইমুল হক বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন।

নির্দেশনাপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘এতদ্দ্বারা কুমিল্লা জেলার সকল সরকারি আইন কর্মকর্তা ও সরকারি কৌঁসুলিদের জানানো যাইতেছে যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী ও কিশোর গ্যাংয়ের কোনো মামলা আসামিপক্ষে পরিচালনা না করার জন্য আপনাদের অনুরোধসহকারে নির্দেশ প্রদান করা গেল।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা মহানগরের আহ্বায়ক আবু রায়হান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এমন সিদ্ধান্ত ইতিবাচক। আমরা আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দেশের সব জেলায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এ ছাড়া এমন গণমুখী সিদ্ধান্তের কারণে অপরাধপ্রবণতাও কমে আসবে বলে আমরা মনে করি। তবে সরকারি আইনজীবীদের পাশাপাশি আমরা সব সাধারণ আইনজীবীদেরও ওই দুই শ্রেণির আসামিপক্ষে না দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করব।’

পিপি কাইমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, কুমিল্লার আদালতে যাঁরা সরকারি আইন কর্মকর্তা আছেন, সবাই বসে সবার সঙ্গে আলোচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ তাঁরা জানতে পেরেছেন, বিভিন্ন সরকারি আইন কর্মকর্তা ও কৌঁসুলি এসব মামলায় আসামিদের পক্ষে দাঁড়াচ্ছেন। তাই লিখিত অনুরোধ–সংবলিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে সবাই মেনে চলেন। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। এখনো বহু মানুষ হাসপাতালে পঙ্গু হয়ে ধুঁকছে। আর কিশোর গ্যাং এখন কুমিল্লার মানুষের কাছে আতঙ্কের নাম। তাঁরা নিরাপদ কুমিল্লা চান। তাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার পাশাপাশি কিশোর গ্যাংয়ের মামলায় কুমিল্লার আদালতে আসামিপক্ষে সরকারি আইনজীবীদের না দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিক্ষার্থীর গবেষণাপত্রের অংশ অনুমতি না নিয়ে প্রকাশের অভিযোগ, শিক্ষক বলছেন ‘ভিত্তিহীন’
  • মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
  • শ্রম আদালতে ঝুলছে ২২ হাজার মামলা
  • মাওলানা রইস হত্যার বিচার দাবি জানিয়ে ১০২ নাগরিকের বিবৃতি
  • নিট রিজার্ভও ২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
  • বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও কিশোর গ্যাংয়ের মামলায় আসামিপক্ষে সরকারি আইনজীবীদের না দাঁড়ানোর নির্দেশ
  • ভিটামিনসমৃদ্ধ ভোজ্যতেল পাওয়ায় বাধা খোলা ড্রাম
  • খাল-ফসলি জমির মাটি ইটভাটায়
  • আইপিএলে আরও ম্যাচ বাড়ানোর পরিকল্পনা
  • ভিটামিনসমৃদ্ধ নিরাপদ ভোজ্যতেল প্রাপ্তির বাধা দূর করতে হবে