জি কে শামীমের দুর্নীতি মামলার রায় আজ
Published: 17th, February 2025 GMT
আলোচিত ঠিকাদার জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে দুদকের করা অবৈধ সম্পদ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় রায় আজ।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন।
গত ২২ জানুয়ারি দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ঠিক করেন। তবে ওইদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় পিছিয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়।
মামলায় জি কে শামীম কারাগারে আছেন। তার মা আয়েশা আক্তার পলাতক রয়েছেন।
২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় -১ এর উপ-পরিচালক মো.
২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলার সময় ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিকেতনের বাসা থেকে শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ভবন থেকে নগদ এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার ১০টি এফডিআর, ৩২টি ব্যাংক হিসাবের চেক বই, আটটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানানো হয় অভিযান শেষে।
গ্রেপ্তারের সময় র্যাব সদরদপ্তর, সচিবালয়ে ও কয়েকটি হাসপাতালের নতুন ভবনসহ অন্তত ২২টি নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি কাজ শামীমের প্রতিষ্ঠান জিকে বিল্ডার্সের হাতে ছিল। এসব প্রকল্পের ব্যয় বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৬ হাজার কোটি টাকা। পরে সেগুলোর কার্যাদেশ বাতিল হয়। জব্দ করা হয় তার ১৯৪টি ব্যাংক হিসাব।
অভিযনের পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে জি কে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করেন র্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান।
২০২৩ সালের ১৭ জুলাই মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় জি কে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। বাকি সাত আসামিকে (জিকে শামীমের দেহরক্ষী) ৪ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জি কে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম।
ঢাকা/মামুন/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল সদস্য মনোনয়নে বিএসইসির কমিটি
পুঁজিবাজারে নতুন শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল (এসএসি) গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
এ লক্ষ্যে শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল সদস্য মনোনয়নের জন্য ১০ সদস্যের একটি মনোনয়ন (নমিনেশন) কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত কমিটিকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কাউন্সিলের জন্য সম্ভাব্য সদস্যদের একটি নামের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
এর ফলে, আগের ৯ সদস্যের শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল বাতিল হতে যাচ্ছে।
আরো পড়ুন:
মামুন এগ্রোর ইজিএম: নাম বদলসহ মূল বোর্ডে তালিকাভুক্তির সিদ্ধান্ত
এপিএসসিএল নন-কনভার্টেবল বন্ডের কুপন রেট ঘোষণা
গত ৪ জুন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশিদ মাকসুদ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।
গঠিত মনোনয়ন কমিটির আহ্বায়ক হলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন: বিএসইসির কমিশনার (আইন); উপাচার্য, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রফেসর বা সমকক্ষ পদমর্যাদার মনোনীত প্রতিনিধি; মহাসচিব, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া কর্তৃক শাইখুল হাদীস বা প্রধান মুফতি বা সমকক্ষ পদমর্যাদার মনোনীত প্রতিনিধি; চেয়ারম্যান, ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রফেসর বা সমকক্ষ পদমর্যাদার মনোনীত প্রতিনিধি; মহাপরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক পরিচালক পদমর্যাদার মনোনীত প্রতিনিধি; ডিন, থিওলোজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া কর্তৃক প্রফেসর বা সমকক্ষ পদমর্যাদার মনোনীত প্রতিনিধি; খতিব, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ বা তাঁর মনোনীত প্রতিনিধি; চেয়ারম্যান, সেন্ট্রাল শরীয়াহ বোর্ড ফর ইসলামিক ব্যাংকস অব বাংলাদেশ বা তার মনোনীত প্রতিনিধি এবং আহ্বায়ক, শরীয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল সেক্রেটারিয়েট, বিএসইসি (সদস্য সচিব)।
বিএসইসির আদেশ
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (সিকিউরিটিজ মার্কেট শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল) রুলস, ২০২২’-এর বিধি ৩ অনুযায়ী শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল গঠনের লক্ষ্যে বিধি ৪ ও ৫-এ বর্ণিত শরিয়াহ স্কলার এবং এক্সপার্ট সদস্যদের যোগ্যতা ও অযোগ্যতার শর্ত বিবেচনা করে শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের (এসএসি) সদস্য নির্বাচনের জন্য ১০ সদস্যদের সমন্বয়ে একটি মনোনয়ন কমিটি গঠন করা হলো।
গঠিত কমিটি আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের সম্ভাব্য সদস্যদের একটি নামের তালিকা কমিশনের কাছে পেশ করবে। কমিশন, কমিটির প্রস্তাব বিবেচনা করে শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল গঠনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির মুখপাত্র ও পরিচালক আবুল কালাম রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “একটি নতুন শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। কাউন্সিল সদস্য নির্বাচনে তাদের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা বিবেচনা করার জন্য ১০ সদস্যের একটি নমিনেশন কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত কমিটির প্রস্তাবিত নামের তালিকা যাচাই বাছাই করে নতুন শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল গঠন করবে বিএসইসি।”
এর আগে ২০২৩ সালের ২৮ মে বিএসইসির তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করেন। দেশের পুঁজিবাজারে ইসলামী শরিয়াভিত্তিক বিভিন্ন প্রকার সিকিউরিটিজ ইস্যু আনা, ইসলামিক ক্যাপিটাল মার্কেট গঠন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় শরিয়াহ অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শরিয়াহসম্মত সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনতে একটি বিধিমালা প্রণয়ন করেছিল বিএসইসি। ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (সিকিউরিটিজ মার্কেট শরিয়াহ অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল) বিধিমালা, ২০২২ নামে গেজেটটি প্রকাশ করা হয়।
শরিয়াহ অ্যাডভাইজারি কাউন্সিলের কাজ হলো বিএসইসির চাহিদা অনুসারে বিভিন্ন ইস্যুতে পরামর্শ দেওয়া, শরিয়াহ-সংক্রান্ত গাইডলাইন প্রণয়ন, ইসলামী শরিয়াহসম্মত সিকিউরিটিজের মান প্রণয়ন, কোনো সিকিউরিটিজ শরিয়াহসম্মত কি না, সে বিষয়ে মতামত দেওয়া।
সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বে পুনর্গঠিত বিএসইসি পুঁজিবাজারের জন্য ইতিপূর্ব গঠিত শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল গঠনে ২০২৩ সালের ২৮ মে জারি করা আদেশ বাতিল করেছে।
ঢাকা/এনটি/রাসেল