জেলেকে পিটিয়ে ফেলে দেওয়া হলো সাগরে
Published: 17th, February 2025 GMT
বালু তুলতে বাধায় দেওয়ায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এক জেলেকে সাগরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সময় আরেক জেলেকে অপহরণ ও তাদের নৌকা সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মাহামুদাবাদের উপকূলীয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সংবাদ পেয়ে বিকেলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। এলাকাবাসীর বিক্ষোভের সংবাদ পেয়ে পুলিশ সদস্যের নিয়ে আসেন ইউএনও।
এলাকাবাসী জানায়, মারধরের পর বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ চ্যানেলে ফেলে দেওয়া হয়েছে জেলে রাম দাসকে (৩২)। দুর্বৃত্তরা অপহরণ করে নিয়েছে অপর জেলে লিটন দাসকে। তারা দু’জনই উপজেলার মাহামুদাবাদ জেলেপাড়ার বাসিন্দা।
রাম দাসের স্ত্রী কনিকা দাস বলেন, অবৈধভাবে ড্রেজার-বাল্কহেড দিয়ে বালু তোলা লোকজন সাগরে মাছ ধরতে গেলে জেলেদের বাধা দেয়। অনেক সময় মারধরও করেন তারা। আজ দুপুরে তাঁর স্বামীসহ কয়েকজন নৌকা নিয়ে সন্দ্বীপ চ্যানেলে মাছ ধরতে যান। দুপুর ২টার দিকে বালু উত্তোলনকারীরা বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে তাদের পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে রাম দাসকে সাগরে ফেলে দেন তারা।
কনিকার ভাষ্য, বালুদস্যুরা নৌকা থেকে অপর জেলে লিটন দাসকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। রাত পর্যন্ত তিনি স্বামী রাম দাসের খোঁজ পাননি।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় দুই জেলের স্ত্রী অভিযোগ করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ইউএনও ফখরুল ইসলাম বলেন, মারধরের পর এক জেলেকে সাগরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। অপর এক জেলেকে অপহরণ করা হয়েছে– এমন খবরে ঘটনাস্থলে যান তিনি। তাদের উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট দপ্তর কাজ করছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অপহরণ
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।