বান্দরবানে অপহৃত ২৬ শ্রমিক উদ্ধার হয়নি, যৌথ বাহিনীর অভিযান

ইফতেখার, ২০০৭৭

সেকশন; -বাংলাদেশ

ট্যাগ:

ছবি: বান্দরবানের লামা। ফাইল ছবি

একসার্পট:

বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালীর দুর্গম মুরুংঝিরি থেকে অপহৃত রবারবাগানের ২৬ শ্রমিককে আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গতকাল রোববার সকালে তাঁদের অপহরণ করা হয়েছিল। রবারবাগানের মালিকেরা জানিয়েছেন, অপহরণকারীরা আজ সকালেও মুক্তিপণ দাবি করেছেন। মুক্তিপণ না দিলে এসব শ্রমিককে হত্যা এবং রবারবাগান ধ্বংসের হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, অপহৃত ব্যক্তিদের উদ্ধারের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

রবারবাগানের মালিকেরা জানান, অপহরণকারীরা প্রত্যেক শ্রমিকের মুক্তির জন্য ৫০ হাজার টাকা করে দাবি করেছেন। আজ সকাল পর্যন্ত মুক্তিপণ চেয়ে একাধিকবার ফোন করা হয়েছে। শ্রমিকদের মুঠোফোন নম্বর থেকেই কল করেছেন অপহরণকারীরা।

লামা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মুরুংঝিরি এলাকা। এলাকাটি লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি ও আলীকদম উপজেলা সীমানার গহিন জঙ্গলে। সেখানে মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক না থাকায় সহজে যোগাযোগ করা যায় না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মংম্যাগ্য মারমা।

মুরুংঝিরি এলাকার একটি রবারবাগানের মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, কয়েক মাস আগে মুরুংঝিরির পার্শ্ববর্তী রবারবাগানে চাঁদা দাবি করেছিলেন সন্ত্রাসীরা। বাগানের মালিকেরা চাঁদা দাবির বিষয়টি জানিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, সন্ত্রাসীরা সবাই পাহাড়ি। তাঁরা এলাকায় চাঁদাবাজি করেন।

লামার সরই ইউনিয়নের এক বাসিন্দা বলেন, একটি সশস্ত্র দল লামায় বেশ কিছুদিন ধরে চাঁদাবাজি করে আসছে। তারাই অপহরণের সঙ্গে যুক্ত। কিছুদিন আগে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্যাজুপাড়া বাজার এলাকা থেকে এই চক্রের এক সদস্যকে রিভলবারসহ আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করেন। আটক ওই ব্যক্তি গত ১৫ জানুয়ারি সাতজন এবং এর আগে আরও তিনজন তামাকখেতের শ্রমিক অপহরণের কথা স্বীকার করেছেন।

জানতে চাইলে লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সবাই পাহাড়ি। তাঁদের গ্রেপ্তার ও অপহৃত ২৬ জন শ্রমিককে উদ্ধার করতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে অভিযান সফল হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ন দরব ন কর ছ ন অপহ ত

এছাড়াও পড়ুন:

পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার একটি দোকান থেকে নুরুল আবছার (২৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় একদল মুখোশধারী ব্যক্তি। আজ বুধবার সকাল সাতটায় তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি ছাড়া পান।

উদ্ধারের পর পটিয়া থানা প্রাঙ্গণে অপহরণের শিকার নুরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার সাহিত্য বিশারদ সড়কে মুরগির দোকান দেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে দোকান খোলেন তিনি। এ সময় তিন থেকে চারজন মুখোশধারী লোক ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁকে ধরে অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা তাঁর পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে, পরে ১৭ লাখ এনে দিতে বলেন। তাঁকে চন্দ্র কালারপোল নামের নির্জন এলাকায় নিয়ে অপহরণকারীরা তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ছুরিকাঘাতও করেন।

পটিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁকে উদ্ধারের তৎপরতায় নামে। পরে চন্দ্র কালারপোল এলাকায় পুলিশ গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার