রাস্তার পরিবর্তে টেবিল-চেয়ারে বসে যেকোনো সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। সোমবার বিকেলে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের সংস্কারকৃত কার্যালয়ের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান।

সাজ্জাত আলী বলেন, এই অঞ্চলটা (মোহাম্মদপুর এলাকা) অত্যন্ত অপরাধপ্রবণ ছিল। কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসীর বিচরণ ছিল এই এলাকায়। মাসখানেক আগেও মোহাম্মদপুর, আদাবর এলাকায় ছিনতাই বৃদ্ধি পেয়েছিল। এখানে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি অফিসার-ফোর্স মোতায়েন করে প্রতিদিন ব্লক রেইড দেওয়া হচ্ছে, টহল বাড়ানো হয়েছে। এতে ইদানীং ছিনতাই অনেক কমে গেছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘অপরাধ বিভাগের পাশাপাশি সিটিটিসি ও ডিবির টহলও জোরদার করা হয়েছে। আমি আশা করছি ছিনতাই অচিরেই বন্ধ হবে। আমরা সকলে মিলে সেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

আগের তুলনায় এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো—এমন দাবি করে সাজ্জাত আলী বলেন, ‘তবে এখন বড় সমস্যা হচ্ছে অনেকে তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে রাস্তায় নামে। তারা ট্রাফিক বন্ধ করে মানুষের চলাচলে কষ্ট সৃষ্টি করে, অনেক দুর্ভোগ সৃষ্টি করে। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষ রাস্তায় আটকে থাকে। আমি একাধিকবার তাদের অনুরোধ করেছি, আপনারা এই কাজ করবেন না।’

ফেসবুকের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের হরতাল প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘অতীতেও তারা এভাবে প্রোগ্রাম (কর্মসূচি) দিয়েছে। পুরো শহরে আমাদের নিরাপত্তাব্যবস্থা রয়েছে। আপনারা আতঙ্কিত হবেন না, এমন কিছু ঘটবে না।’

পরে ডিএমপি কমিশনার তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো.

নজরুল ইসলাম, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, উপপুলিশ কমিশনার (তেজগাঁও বিভাগ) ইবনে মিজান প্রমুখ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

কনসার্টের জন্য কত পারিশ্রমিক নেন অরিজিৎ

তাঁর সংগীতের সফর শুরু হয়েছিল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থেকে। আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে অরিজিৎ সিং ভারতের অন্যতম আলোচিত শিল্পী। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কনসার্টে গাওয়ার জন্য বেশি পারিশ্রমিক নেন। আসলে কত পারিশ্রমিক নেন গায়ক?

সম্প্রতি সুরকার মন্টি শর্মা পিংকভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন অরিজিতের পারিশ্রমিক নিয়ে। তিনি বলেন, ‘একটা সময় পরে অনেক কিছুর বিবর্তন হয়েছে। আগে গোটা একটা গান আমরা দুই লাখ রুপিতে শেষ করতাম। এর মধ্যে গোটা অর্কেস্ট্রা, ৪০ জন বেহালা বাদক, আরও অনেক কিছু থাকত। তারপর ধীরে ধীরে গানপ্রতি নিজের জন্য ৩৫ হাজার রুপি নিতে থাকলাম।’

এরপরই অরিজিতের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। মন্টি বলেন, ‘অরিজিৎ যখন আসত, তখন টানা ছয় ঘণ্টা আমার সঙ্গে একটা গান নিয়ে বসত। এখন ও একটি অনুষ্ঠানের জন্য দুই কোটি রুপি নেয়। তাই ওকে নিয়ে অনুষ্ঠান করতে হলে দুই কোটিই দিতে হবে। আগে তো মানুষ বেতারে ও টিভিতেও গান শুনত। কিন্তু এখন তাদের কাছে ইউটিউব আছে। এখন গান শোনার মাধ্যম অনেক বড়। তাই অর্থের পরিমাণও এখন বেড়েছে। তাই এখন যদি ১৫-২০ লাখ টাকা দিয়ে একটা গান করি, তা হলে ৯০ শতাংশ স্বত্ব কিনে নেয় অডিও সংস্থা। এই অডিও সংস্থাগুলো এখন আয় করছে।’

আরও পড়ুনযার গানে মুগ্ধ অরিজিৎ সিং, কে এই এনজেল নূর? ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ