ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, সিটি করপোরেশনের আয়োজনে নগরীর ২২টি স্থানে সেহরি ও ইফতারের আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি বিতরণ করা হবে জাকাতের কাপড়। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ডিএনসিসির ফেসবুক পেজে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন। 

এ সময় প্রশাসক বলেন, নগরবাসীর সেবা করতে চাই। নতুন ৫২ নম্বর ওয়ার্ডে সিটি করপোরেশনের কোনো সেবা নেই। এখানে দ্রুত সেবার ব্যবস্থা বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনি জানান, ট্রেড লাইসেন্স প্রক্রিয়া পুরোটাই অনলাইনে করা হবে। নগরীর ফুটপাত ফিরিয়ে দেওয়া হবে নাগরিকদের। নিয়ন্ত্রণে আনা হবে বেওয়ারিশ কুকুর। 

এর আগে ডিএনসিসি হলরুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রশাসক এজাজ। এ সময় তিনি বলেন, শহরের অর্ধেক জনসংখ্যা নারী। কিন্তু শহর পরিকল্পনায় তারা উপেক্ষিত। শিশুদের জন্যও নিরাপদ এবং উপযুক্ত শহর গড়ার পরিকল্পনা এতদিন নেওয়া হয়নি।  

এদিকে রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করার জন্য গতকাল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে ডিএসসিসি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে শাহবাগ থানার ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলাকায় ও সাইদা খানমের নেতৃত্বে রমনা থানার অফিসার্স ক্লাব ও সংলগ্ন এলাকায় পৃথক দুটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে ও অফিসার্স ক্লাব-সংলগ্ন রাস্তায় থাকা অবৈধ দোকান ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এ ছাড়া ফুটপাত ও রাস্তা দখলমুক্ত রাখতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাইকিং করা হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইফত র ড এনস স ড এনস স এ সময়

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবকে এখনও দেশের সবচেয়ে বড় তারকা মানেন তামিম

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে মুখ খুলেছেন তামিম ইকবাল। সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারকা খ্যাতি বা ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এই দুই তারকার দূরত্বের পেছনে অন্য কারণ কাজ করেছে। তবে সেই দূরত্ব ঘোচানোর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেও আক্ষেপ করেছেন তিনি।

তামিম বলেন, ‘অনেকে বলে, কে কার চেয়ে সেরা। কার এনডোর্সমেন্ট বেশি। এগুলো কিছুই আমাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি। আমি সব সময় বলেছি, বাংলাদেশের স্পোর্টসে সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব। আমি নিজেই যখন এটা বলি, তখন তারকা খ্যাতি সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে না।’

তিনি জানান, বিসিবির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হলে সাকিব ও তার মধ্যকার দূরত্ব কমত। ‘তারা আলাদাভাবে কথা বলেছেন, কিন্তু দু’জনকে একসঙ্গে বসিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেননি’, বলেন তামিম।

তামিম আরও বলেন, অধিনায়ক থাকার সময় সম্পর্কটা স্বাভাবিক করতে তিনি নিজেই চেষ্টা করেছেন। যদিও সে চেষ্টা তখন সফল হয়নি, ভবিষ্যতে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা এখনও তিনি দেখেন।

এমনকি নিজের অসুস্থতার সময় সাকিবের সহানুভূতিশীল আচরণের কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেন তামিম। বলেন, ‘আমার অসুস্থতার সময়ে সাকিব তার ফেসবুকে দোয়ার অনুরোধ করেছিল। তার বাবা-মা হাসপাতালে আমাকে দেখতে গিয়েছেন। আমরা দু’জনই পরিণত। সামনাসামনি হলে এবং নিজেদের মধ্যে কথা হলে সম্পর্ক উন্নত হতে পারে।’

তামিমের এই মন্তব্যেই বোঝা যায়, ব্যক্তিগত বিরোধ থাকলেও তামিম এখনও চান সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কটা সুস্থতায় ফিরুক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ