Prothomalo:
2025-09-18@10:17:12 GMT

এখনই কেন এসি সার্ভিসিং করাবেন

Published: 19th, February 2025 GMT

শীতের কারণে কয়েক মাস এসি বন্ধ ছিল। এখন আবার ব্যবহার শুরু হবে। হুট করেই কিন্তু এসি চালানো যাবে না। নিজেকে ও পরিবারকে নিরাপদ রাখতে আগে সার্ভিসিং করাতে হবে। ত্রুটি কিংবা কোনো সমস্যা না থাকলেও বছরে একবার হলেও এসির সার্ভিসিং করতে হবে। গরমের আগে ফেব্রুয়ারি ও মার্চের মধ্যে করানো সবচেয়ে ভালো। আসলে নিয়মিত সার্ভিসিং করানো প্রয়োজন, তা না হলে ঘটতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা।

সার্ভিসিং কেন প্রয়োজন?

চালানোর পর ঘর ঠান্ডা হলেই এসি ঠিকঠাক কাজ করছে মনে করেন অনেকেই। এটি ভুল ধারণা। ঢাকা এসি সার্ভিস অ্যান্ড রিপেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা মো.

মারুফ বলেন, শীতের কয়েক মাস ব্যবহার না হওয়ার কারণে এসির বিভিন্ন অংশে ধুলা জমে ফিল্টার ব্লক হয়ে যেতে পারে। সবচেয়ে বড় সমস্যা এসির ঠান্ডা বা শীতলীকরণ করার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। নিয়মিত সার্ভিসিং না করলে দীর্ঘ মেয়াদে এসির কার্যকারিতা ও আয়ু কমে যায়। কয়েক সপ্তাহ বন্ধ থাকলে এসির ফিল্টারে ধুলা, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাকসহ নানা ধরনের জীবাণু জমে। বাতাসের মাধ্যমে তা ঘরে বা অফিসে ছড়িয়ে পড়ে। তখন শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, অ্যালার্জি বা অ্যাজমার মতো রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এ ছাড়া পরিষ্কার ও ভালোভাবে রাখা এসি তুলনামূলকভাবে কম বিদ্যুৎ খরচ করে। অপরিষ্কার কনডেনসার ও ফিল্টার থাকলে এসি অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। নিয়মিত সার্ভিসিংয়ে এসি দ্রুত কাজ করে এবং কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। বৈদ্যুতিক যন্ত্র হিসেবে এসির বিভিন্ন যন্ত্রাংশের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। সার্ভিসিং না করালে এসির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। দীর্ঘদিন সার্ভিসিং না করালে এসির শীতলীকরণের ক্ষমতা কমে যাওয়া স্বাভাবিক। এসির কুলিং কয়েল ও ফিল্টার পরিষ্কার না থাকলে পর্যাপ্ত ঠান্ডা বাতাস পাবেন না। সার্ভিসিং করালে এসির পারফরম্যান্স ঠিক থাকে ও দ্রুত ঠান্ডা হয়। অনেক সময় এসি চালানোর পর দুর্গন্ধ বের হয়, যা ফিল্টারে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও ধুলার কারণে হতে পারে। আবার এসির বিভিন্ন অংশে ধুলা জমে বা স্ক্রু ঢিলা হয়ে গেলে অস্বাভাবিক শব্দ হতে পারে। সার্ভিসিং করালে এসব সমস্যা এড়ানো যায়।

আরও পড়ুনযেসব লক্ষণ দেখলে বুঝবেন বাড়িতে গ্যাস লিকেজ হয়েছে০৬ নভেম্বর ২০২৩সার্ভিসিং না করালে যে সমস্যা হয়গরমের শুরুতে একবার এসি সার্ভিসিং করিয়ে নিন

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এস র ব ভ ন ন ব যবহ র সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

৮ বছরেও শুরু হয়নি কুবির ২ বিভাগের কার্যক্রম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দীর্ঘ ৮ বছর আগে অনুমোদন পাওয়া দুটি বিভাগ এখনো চালু হয়নি। অনুমোদন সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ, অবকাঠামোগত প্রস্তুতি এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের ধীরগতির কারণে বিভাগ দুটি কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিভাগ দুটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত ও শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে নতুন অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণের পরে বিভাগ দুটি চালুর পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি।

আরো পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় কুবি প্রক্টরের জরুরি নির্দেশনা 

সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে কুবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

এছাড়া, তৎকালীন অর্গানোগ্রামে ৩১টি বিভাগের মধ্যে এই দুইটি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত ছিল না, যা পরবর্তীতে চালু করা নিয়ে জটিলতা তৈরি করে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠক করে এই বিষয়ে পুনরায় আলোচনা করে। ইউজিসি নির্দেশনা অনুযায়ী, নতুন অর্গানোগ্রামে বিভাগের অন্তর্ভুক্তি ও নতুন বিভাগের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

সে অনুযায়ি ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কুবির ৮৯তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে পূর্বের ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ এর পরিবর্তে ‘লজিস্টিক্স ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ’ এবং ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’-এর পরিবর্তে ‘পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ নামে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও অর্গানোগ্রামে নতুন আরও ১৮টি বিভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

তৎকালীন বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রস্তাবক রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান বলেন, “২০১৭ সালে অনুমোদন থাকলেও জায়গা সংকটের কারণে বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়নি। পরে প্রশাসন পাল্টালেও কেউ উদ্যোগ নেয়নি।”

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “অর্গানোগ্রামে অন্তর্ভুক্তি মানে এখনই চালু হবে না। অনুমোদন থাকলেও তৎকালীন সময়ে চালু করা সম্ভব হয়নি। এখন ইউজিসি নির্দেশনায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “তৎকালীন প্রশাসন বলতে পারবে কেন বিভাগ চালু হয়নি। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা মাধ্যমে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী ২ বছরের মধ্যে আশা করি বিভাগ চালু করা সম্ভব হবে, তখন নতুন ক্যাম্পাসও প্রস্তুত থাকবে।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ