Prothomalo:
2025-06-16@14:05:03 GMT

এখনই কেন এসি সার্ভিসিং করাবেন

Published: 19th, February 2025 GMT

শীতের কারণে কয়েক মাস এসি বন্ধ ছিল। এখন আবার ব্যবহার শুরু হবে। হুট করেই কিন্তু এসি চালানো যাবে না। নিজেকে ও পরিবারকে নিরাপদ রাখতে আগে সার্ভিসিং করাতে হবে। ত্রুটি কিংবা কোনো সমস্যা না থাকলেও বছরে একবার হলেও এসির সার্ভিসিং করতে হবে। গরমের আগে ফেব্রুয়ারি ও মার্চের মধ্যে করানো সবচেয়ে ভালো। আসলে নিয়মিত সার্ভিসিং করানো প্রয়োজন, তা না হলে ঘটতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা।

সার্ভিসিং কেন প্রয়োজন?

চালানোর পর ঘর ঠান্ডা হলেই এসি ঠিকঠাক কাজ করছে মনে করেন অনেকেই। এটি ভুল ধারণা। ঢাকা এসি সার্ভিস অ্যান্ড রিপেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা মো.

মারুফ বলেন, শীতের কয়েক মাস ব্যবহার না হওয়ার কারণে এসির বিভিন্ন অংশে ধুলা জমে ফিল্টার ব্লক হয়ে যেতে পারে। সবচেয়ে বড় সমস্যা এসির ঠান্ডা বা শীতলীকরণ করার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। নিয়মিত সার্ভিসিং না করলে দীর্ঘ মেয়াদে এসির কার্যকারিতা ও আয়ু কমে যায়। কয়েক সপ্তাহ বন্ধ থাকলে এসির ফিল্টারে ধুলা, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাকসহ নানা ধরনের জীবাণু জমে। বাতাসের মাধ্যমে তা ঘরে বা অফিসে ছড়িয়ে পড়ে। তখন শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, অ্যালার্জি বা অ্যাজমার মতো রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এ ছাড়া পরিষ্কার ও ভালোভাবে রাখা এসি তুলনামূলকভাবে কম বিদ্যুৎ খরচ করে। অপরিষ্কার কনডেনসার ও ফিল্টার থাকলে এসি অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। নিয়মিত সার্ভিসিংয়ে এসি দ্রুত কাজ করে এবং কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। বৈদ্যুতিক যন্ত্র হিসেবে এসির বিভিন্ন যন্ত্রাংশের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। সার্ভিসিং না করালে এসির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। দীর্ঘদিন সার্ভিসিং না করালে এসির শীতলীকরণের ক্ষমতা কমে যাওয়া স্বাভাবিক। এসির কুলিং কয়েল ও ফিল্টার পরিষ্কার না থাকলে পর্যাপ্ত ঠান্ডা বাতাস পাবেন না। সার্ভিসিং করালে এসির পারফরম্যান্স ঠিক থাকে ও দ্রুত ঠান্ডা হয়। অনেক সময় এসি চালানোর পর দুর্গন্ধ বের হয়, যা ফিল্টারে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও ধুলার কারণে হতে পারে। আবার এসির বিভিন্ন অংশে ধুলা জমে বা স্ক্রু ঢিলা হয়ে গেলে অস্বাভাবিক শব্দ হতে পারে। সার্ভিসিং করালে এসব সমস্যা এড়ানো যায়।

আরও পড়ুনযেসব লক্ষণ দেখলে বুঝবেন বাড়িতে গ্যাস লিকেজ হয়েছে০৬ নভেম্বর ২০২৩সার্ভিসিং না করালে যে সমস্যা হয়গরমের শুরুতে একবার এসি সার্ভিসিং করিয়ে নিন

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এস র ব ভ ন ন ব যবহ র সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

এখনই কেন ইরানের এ অপূরণীয় ক্ষতি করল ইসরায়েল

ইরানে এবার চালানো ইসরায়েলের হামলা আগের দুটি সামরিক অভিযানের তুলনায় শুধু বিস্তৃত ও তীব্রই ছিল না, এতে গত নভেম্বরে লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আক্রমণে ব্যবহৃত কিছু কৌশলও ব্যবহার করা হয়েছে। এ কৌশল হলো– শুধু ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে আঘাত করা নয়, বরং দেশটির গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বকে হত্যা করতেও হামলা চালানো।

গতকাল শুক্রবার বিবিসির বিশ্লেষণে এসব তথ্য উঠে আসে। এতে বলা হয়, হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ নেতাদের হত্যার কৌশল ওই সংগঠনের জন্য ধ্বংসাত্মক পরিণতি নিয়ে আসে। একটি টেকসই পাল্টা আক্রমণ চালানোর ক্ষমতার ওপর বিধ্বংসী প্রভাব ফেলেছিল। তেহরানে হামলার ফুটেজে দেখা গেছে, নির্দিষ্ট ভবনগুলোতে আঘাত হানার দৃশ্য অনেকটা বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে ইসরায়েলের আক্রমণের চিত্রের মতো, যার পরিণতিতে হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হন। 

ইরানে এত বড় কোনো ব্যক্তি নিহত হননি বলে মনে হচ্ছে। সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি। কিন্তু অভিযানের প্রথম কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরানের সামরিকপ্রধান, শক্তিশালী বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডার হোসেইন সালামি এবং বেশ কয়েকজন পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করে দেশটির অভিজাতদের অভূতপূর্ব ক্ষতি করা হয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, এ অভিযান আরও কয়েকদিন ধরে চলতে পারে।

গত বছর ইসরায়েলে দুইবার হামলা চালায় ইরান। এবার তারা আরও তীব্র হামলা চালাতে পারে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু তেহরানের পক্ষে এ ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখানো এতটা সহজ হবে না। সম্ভবত নেতানিয়াহু হিসাবনিকাশ করেই এ বিরোধে উস্কানি দিয়েছেন। প্রশ্ন হলো, কেন তিনি এখনই আক্রমণ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিলেন– যেটা তিনি এতদিন ধরে সমর্থন করে আসছিলেন। অভিযান শুরুর কিছুক্ষণ পর প্রকাশিত এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, এটি ইসরায়েলের অস্তিত্ব রক্ষার বিষয়। 

নেতানিয়াহু দীর্ঘদিন ধরে যুক্তি দিয়ে আসছেন, ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরি করলে ইসরায়েলের অস্তিত্বের হুমকিতে পড়বে। সম্প্রতি ইসরায়েলের এক ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা জানান, তারা জানতে পেরেছেন– ইরানের কাছে কয়েক দিনের মধ্যে ১৫টি পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য পর্যাপ্ত উপকরণ রয়েছে। 

ইরানে এ হামলার পেছনে ভিন্ন একটি কারণও থাকতে পারে। তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচির একটি চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে আগামীকাল রোববার ষষ্ঠ দফায় আলোচনা শুরু হতে চলেছে। এতে কতটা অগ্রগতি হয়েছে, তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় নেতানিয়াহুর কাছে মনে হতে পারে, সম্ভাব্য ‘অগ্রহণযোগ্য’ চুক্তি বন্ধের এটাই উপযুক্ত সময়। 

সামরিক দিক থেকে তিনি ও তাঁর উপদেষ্টারা হয়তো বুঝতে পারছেন– শুধু ইরানই নয়, বরং এ অঞ্চলে তার সহযোগী, বিশেষ করে হিজবুল্লাহ এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে যে, তারা আগের  মতো আর হুমকি নয়। আগামী কয়েক ঘণ্টা ও দিনে প্রমাণ হবে– এটি সঠিক, নাকি একটি বিপজ্জনক ভুল গণনা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসরায়েল ঠিক এখনই কেন ইরানে হামলা করল
  • এখনই কেন ইরানের এ অপূরণীয় ক্ষতি করল ইসরায়েল