গাইবান্ধায় চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভরা। বুধবার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে শহরের গানাসাস মার্কেটের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। 

কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য দেন ফার্মাসিউটিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের (ফারিয়া) সদর উপজেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানি, গাইবান্ধা ম্যানেজারস ফোরামের সভাপতি আশরাফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম খন্দকার, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শাহাদত হোসেন সাগর প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, রিপ্রেজেনটেটিভ ও ম্যানেজাররা চিকিৎসকদের ওষুধ সম্পর্কে নিত্যনতুন তথ্য দিয়ে চিকিৎসাসেবাকে আরও উন্নত ও গতিশীল করার কাজে নিয়োজিত। অথচ মানুষের জীবন বাঁচানোর এ কাজে ঘুষ দিতে হয়। পিকনিকের নামে জেলা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা.

শহিদুজ্জামান হারুন ও সাধারণ সম্পাদক সাকোয়াত হোসেন বিপ্লব অনৈতিকভাবে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন।

চাঁদা না দেওয়ায় জেলার কোনো চিকিৎসক ভিজিট, ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না। তারা গাইবান্ধায় হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রমেন্দ্রনাথ সরকারকে হুমকি দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। প্রকৃতপক্ষে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে রিপ্রেজেনটেটিভদের এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এসব ঘটনায় বিচার চেয়ে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করাসহ কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে। 

শেষে মিছিল নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন বিক্ষোভকারীরা। 

চাঁদা দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাকোয়াত হোসেন বিপ্লব বলেন, চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান করা হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড য় গনস ট ক

এছাড়াও পড়ুন:

বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।

প্রশিক্ষণের বিষয়

১. বেসিক কম্পিউটার,

২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,

৩. ইন্টারনেট,

৪. গ্রাফিক ডিজাইন,

৫. ফ্রিল্যান্সিং,

৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।

আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা

১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,

২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,

৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,

৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,

৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

১. ঢাকা,

২. চট্টগ্রাম,

৩. রাজশাহী,

৪. খুলনা,

৫. বরিশাল,

৬. সিলেট,

৭. দিনাজপুর,

৮. গোপালগঞ্জ।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র

১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,

২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,

৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,

৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,

৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।

নিবন্ধন ফি

মনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।

দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ