রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন
Published: 20th, February 2025 GMT
‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ স্লোগানকে সামনে রেখে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে (রবি) নানা আয়োজনে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক-৩ এর উদয়ন কনফারেন্স হলে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে মেলা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেলের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নজরুল ইসলাম, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানগণসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম হাসান তালুকদার বলেন, “চব্বিশের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের যে নবযাত্রা শুরু হয়েছে, তা অপ্রতিরোধ্য ও অদম্য। সারা দেশব্যাপী তরুণের জয়গান ধ্বনিত হচ্ছে এবং নতুন সমাজ বিনির্মাণের শপথ নিয়ে তরুণসমাজ হাতে হাত রেখে কাজ করছে।”
তিনি বলেন, “তারুণ্য মেলা এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তরুণদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা ও অনুপ্রেরণা যোগাবে। এ সময় তরুণদের, এ সময় নবযুগের-নবধারার। তরুণদের হাত ধরে যে জয়যাত্রার শুরু হয়েছে, তা আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে নিয়ে চলুক সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে। আগামীর সম্ভাবনাময় সমাজের কান্ডারি হয়ে তারুণ্যের শক্তি হোক আমাদের প্রধান অবলম্বন।”
শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংগ্রহণে নাটক ‘ওরা আসবে’ মঞ্চস্থ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ঢাকা/হাবিবুর/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।
রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।
অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা।
বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো।
বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া।
আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না।
বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’
বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা।
উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।
ঢাকা/টিপু