শেষ হলো কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরিটেলিং ফেস্টিভ্যালের দ্বিতীয় আসর
Published: 20th, February 2025 GMT
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগের আয়োজনে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো তিন দিনব্যাপী কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরিটেলিং ফেস্টিভ্যাল (সিডিএসটিএফ)।
গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া এবারের উৎসবের মূল বিষয় ছিল ‘উপকূলীয় জীবন’, যেখানে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা, সংগ্রাম, সংস্কৃতি ও টিকে থাকার লড়াই তুলে ধরা হয়। উৎসব শেষ হয় গতকাল বুধবার।
উৎসবের উদ্বোধন করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মানবিক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক লিজা সারমিন। উদ্বোধনী ভাষণে তিনি বলেন, ‘কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরিটেলিং ফেস্টিভ্যাল আমাদের সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগের একটি সিগনেচার প্রোগ্রাম। এই প্ল্যাটফর্মে আমরা মূলত পিছিয়ে পড়া জনগণের গল্পগুলো তুলে আনার চেষ্টা করি।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটায়, যা আমাদের ভবিষ্যৎ সাংবাদিকতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
উৎসবের প্রথম দিনের মূল কার্যক্রম ছিল চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা। এদিন চলচ্চিত্র নির্মাণের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন সাংবাদিক আশ্বাস এম এ চৌধুরী এবং স্টুডিও ইয়েলো সামথিং লিমিটেডের চলচ্চিত্র পরিচালক রাকা নওশিন নাওয়ার। আলোচনায় সামাজিক সচেতনতা, চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগণের দুর্ভোগের সঠিক চিত্র তুলে ধরা এবং সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে চলচ্চিত্রের ভূমিকা উঠে আসে।
উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ‘ঘুমপরী’ সিনেমার অভিনেত্রী তানজিন তিশা, পরিচালক জাহিদ প্রীতম এবং চরকির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদোয়ান রনিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ড. ইউনূসকে দেশের কাজে যুক্ত রাখতে চায় বিএনপি
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ আছে। বিএনপিকে জনগণ যদি ভোট দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আনে, তাহলে অবশ্যই দেশের জন্য ড. ইউনূসকে কাজে লাগানো হবে। দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়– এ ব্যাপারে তাঁর পরামর্শ নেওয়া হবে। এ রকম আরও যারা আছেন তাদের মতামত নিয়ে কাজ করতে চান তারেক রহমান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্র-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির গতকাল শুক্রবার সমকালকে এ কথা বলেন। লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে আলোচনার প্রথম পর্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে দলের প্রতিনিধি হিসেবে হুমায়ুন কবিরও ছিলেন।
তারেক রহমানের পররাষ্ট্র-বিষয়ক উপদেষ্টা আরও বলেন, তারেক রহমান মনে করেন, জাতীয় স্বার্থে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রয়োজন আছে। যদি জনগণের ভোটে বিএনপি নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারে, তাহলে তারেক রহমান সবাইকে নিয়ে কাজ করবেন। তিনি সেটাই উপস্থাপন করেছেন।
এর আগে গত বুধবার লন্ডনে চ্যাথাম হাউসে অনুষ্ঠিত সংলাপে এক প্রশ্নের জবাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের পর গঠিত পরবর্তী সরকারের অংশ হওয়ার কোনো আগ্রহ তাঁর নেই। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ হলো সফল ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা, যা নির্বাচন দ্বারা সম্পন্ন হবে।’
গতকালের বৈঠক সূত্র জানায়, আলোচনায় তারেক রহমান বিএনপির পূর্বঘোষণা এবং ৩১ দফা অনুযায়ী সব দলমতের মানুষকে নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন। সেখানে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিকে আগামীর রাষ্ট্র বিনির্মাণে পাশে চান তিনি। তাঁর মতো অন্য যোগ্যদেরও দেশ গঠনে সম্পৃক্ত করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তারেক রহমান।
নির্বাচনের বাইরে আর কী বিষয়ে আলাপ হয়েছে– জানতে চাইলে হুমায়ুন কবির বলেন, স্বাভাবিকভাবে ব্যক্তিগত আলাপে অনেক কিছু উঠে এসেছে। যেটা জেনেছি, খুবই ফলপ্রসূ ও আন্তরিক আলাপ হয়েছে। দেশ নিয়ে গঠনমূলক চিন্তা বিনিময় হয়েছে। কীভাবে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে নেওয়া যায়, তা নিয়েও কথা হয়েছে।
হুমায়ুন কবির বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থে নির্বাচনের ব্যাপারে আমরা একটা জায়গায় আসতে পেরেছি। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’