‘দ্য ডার্ক ক্রিস্টাল’ এ মুগ্ধ দর্শক
Published: 23rd, February 2025 GMT
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের আয়োজনে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রথমবারের মত শুরু হয়েছে ‘মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্যোৎসব’।
দেশব্যাপী প্রযোজনা কেন্দ্রিক নাট্যকর্মশালা থেকে ৮টি বিভাগে নির্বাচিত ১৬টি নাটক নিয়ে এই উৎসব চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আট দিনব্যাপী এই নাট্য প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে বলে একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এই উৎসবের দ্বিতীয় দিন শনিবার সন্ধ্যায় প্রদর্শিত হয় ফরিদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রযোজনা ‘দ্য ডার্ক ক্রিস্টাল’। এ সময় নাটকটি দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন দর্শক। নাটকটি লিখেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ইরা আহমেদ। নির্দেশনা দিয়েছেন ইরা আহমেদ ও বিশ্বনাথ ভৌমিক।
এ দিন অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন দৈনিক সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক আবুল কালাম আজাদ। এর আগে ২১ ফেব্রুয়ারি নাট্যোৎসবের উদ্বোধন করেন জুলাই আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত নাঈমা সুলতানার মা আইনুন নাহার। বিশেষ অতিথি ছিলেন শহীদ মুনীর চৌধুরীর ছেলে আসিফ মুনীর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’