মাইকে ঘোষণা দিয়ে যুবদল নেতার চাঁদাবাজির ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪
Published: 23rd, February 2025 GMT
হাতে রামদা নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা যুবদল নেতার মহড়া ও প্রকাশ্যে চাঁদা চাওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ওসি মো. জয়নাল আবেদীন মণ্ডল।
আরো পড়ুন: অস্ত্র হাতে বাজারে গিয়ে হুমকি, যুবদল নেতা বহিষ্কার
আরো পড়ুন:
রাজশাহীর আবুল বাসার হত্যায় মামলা, ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর মামলায় আ.
ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, “এ ঘটনায় গতকাল রাতে এমসি বাজারের ব্যবসায়ী হযরত আলী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে ও নাম না জানা ২০-২৫ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। এরই মধ্যে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে একজনের কাছ থেকে একটি রামদা জব্দ করা হয়েছে। মূলহোতা জাহাঙ্গীর আলমসহ বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।”
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার মুলাইদ মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত দুলাল উদ্দিনের ছেলে হাসেম (৩৯), আইনুদ্দিনের ছেলে আসাদুল ইসলাম (২৪), মৃত ছমির উদ্দিনের ছেলে সুমন মিয়া (২৮) এবং টেপিরবাড়ি গ্রামের দেওচালা এলাকার মো. মাইজ উদ্দিনের ছেলে হৃদয় হাসান রাকিব (২৬)।
ঘটনার মূলহোতা অভিযুক্ত যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম পিন্টু (৩৫) উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের নূরু বেপারীর ছেলে। তিনি শ্রীপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম পিন্টু দলবল নিয়ে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের এমসি বাজার এলাকায় যান। তিনি হ্যান্ড মাইক দিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির ঘোষণা দেন। প্রকাশ্যে চাঁদা চাওয়ার এমন একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এর পরপরই যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি ওই নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে।
ঢাকা/রফিক/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য বদল ন ত উপজ ল ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত পাঁচ বিএনপিকর্মী
নোয়াখালীর হাতিয়ায় হামলায় আহত হয়েছেন বিএনপির পাঁচ কর্মী। তাদের মধ্যে চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তমরদ্দি বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ জন্য একই দলের অন্য নেতার অনুসারীদের দায়ী করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আহত ব্যক্তিরা হলেন– সোহেল উদ্দিন (৩০), রুবেল (২৫), মো. রনি (২৬), এরশাদ (৩৫) ও পায়েল (২৫)। তাদের বাড়ি তমরদ্দি ইউনিয়নের আঠারোবেকী গ্রামে। আহত সবাই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তানভীর হায়দারের কর্মী-সমর্থক।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে তমরদ্দি বাজারের একটি চা দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েকজন। এ সময় কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পাঁচজন আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিহাব উদ্দিনের ভাষ্য, সবার শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। কিছু আঘাত অনেক গভীর। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অনেকের শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এ জন্য চারজনকে রাতেই হাতিয়ার বাইরে চিকিৎসার পরামর্শ দেন।
ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তানভীর হায়দারের ভাষ্য, মঙ্গলবার ইউনিয়ন বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীতে আসার পথে হামলায় তাঁর কয়েকজন কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় দুটি মামলা হলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। ওই আসামিরাই বৃহস্পতিবারের হামলায় জড়িত। তারা সবাই উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের লোক।
তবে আলমগীর কবিরের দাবি, হামলায় তাঁর কোনো নেতাকর্মী জড়িত ছিলেন না। এমন অভিযোগ সত্য নয়।
হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খোরশেদ আলম বলেন, বিএনপি নেতা তানভীর হায়দার ও আলমগীর কবিরের লোকজনের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাদের বিরোধ অনেক পুরোনো। আগের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।