উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে গণপদযাত্রা শুরু
Published: 24th, February 2025 GMT
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে গণপদযাত্রা শুরু হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এ গণপদযাত্রা শুরু হয়ে টিএসসি পেরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে এগোচ্ছে।
এর আগে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে দুপুর সোয়া দুইটার দিকে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।
জননিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ, সারা দেশে অব্যাহত ধর্ষণ ও নারী নিপীড়ন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, অবিলম্বে ধর্ষণ ও নিপীড়নের সকল ঘটনার বিচার এবং সংশ্লিষ্ট আইনসমূহের যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’-এর ব্যানারে এ গণপদযাত্রা হচ্ছে।
পদযাত্রা শুরুর আগে শহীদ মিনারে ধর্ষণ ও নিপীড়ন বিরোধী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ‘পুরুষের ক্ষমতা, ভেঙে হোক সমতা’, ‘নারী থেকে নারীতে, ছুঁয়ে যাক প্রতিবাদ’সহ বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দেওয়া হয়।
এর আগে শহীদ মিনারে সমবেত হয়ে তরুণ ও শিক্ষার্থীরা কর্মসূচির মূল ব্যানার ও বিভিন্ন পোস্টার-প্ল্যাকার্ড লিখেন। এ সময় পোস্টার-প্ল্যাকার্ডে ‘পাহাড় থেকে সমতল, সকল ধর্ষণের বিচার চাই’, ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি, ধর্ষণের রাজনীতি’, ‘আমরা জন্ম থেকে শহীদ’, ‘তনু ধর্ষণ ও হত্যার বিচার কই’—ইত্যাদি প্রতিবাদী স্লোগান লেখা হয়।
পদযাত্রায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা বলছেন, গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে যেমন বাংলাদেশ আশা করা হয়েছিল, তেমন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে নারীদের বিরুদ্ধে যেসব অপরাধ হচ্ছে, সেই পরিস্থিতিতে ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। ঘরে বসে থাকলেও নিরাপদ বোধ করার সুযোগ নেই। তাই রাজপথে নামা হয়েছে।
পদযাত্রায় অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সীমা আক্তার বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এখন পর্যন্ত আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেননি। উপদেষ্টার নেতৃত্বে থাকা পুলিশও নির্লিপ্ত। এ অবস্থায় নারীরা অনিরাপদ। তাই আমরা চাই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে গদি ছেড়ে দেবেন।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স বর ষ ট র উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
এবারের ঈদযাত্রায় প্রাণহানি গত ঈদের চেয়ে বেশি: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
এবার পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটির ১৫ দিনে দেশের সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ৩৭৯টি দুর্ঘটনায় ৩৯০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় ১ হাজার ১৮২ জন আহত হয়েছেন।
গত ঈদের তুলনায় এবার সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহত মানুষের সংখ্যা বেশি ছিল বলে সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়। ঈদুল ফিতরের ছুটির ১৫ দিনে ৩৪০টি দুর্ঘটনায় ৩৫২ জন নিহত হয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন ৮৩৫ জন।
আজ সোমবার ‘ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন’ প্রকাশ করে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
লিখিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এবার বেশি ঘটেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। ঈদযাত্রায় সড়ক–মহাসড়কে ১৩৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪৭ জন নিহত ও ১৪৮ জন আহত হয়েছেন। এটি মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৩৫ শতাংশের বেশি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এসব দুর্ঘটনায় হতাহত ৬১ জন চালক, ৫০ জন পরিবহনের শ্রমিক, ৫৮ জন পথচারী, ৪০ জন নারী, ৩০টি শিশু, ৩২ জন শিক্ষার্থী, ৭ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ৫ জন শিক্ষক, ১ জন করে চিকিৎসক, প্রকৌশলী এবং ৮ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মীর পরিচয় মিলেছে।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৩৭ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৮ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে ও ২৮ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়।
সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি মহামারির মতো যাত্রীর প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। সড়কে যাত্রীসুবিধা নিশ্চিত ও সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে দক্ষ, প্রশিক্ষিত লোকের সমন্বয়ে সঠিক ম্যানেজমেন্ট–ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক আরমানা সাবিয়া হক, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির অর্থ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মাসুদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকা আফরোজ, মনজুর হোসেন, জি এম মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।