বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের (বিজেএসসি) অধীন সহকারী জজ নিয়োগের সপ্তদশ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। মোট ১০২ জন প্রার্থী সহকারী জজ পদে সাময়িকভাবে উত্তীর্ণ ও মনোনীত হয়েছেন।

উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে ১০০তম, ১০১তম ও ১০২তম মেধা অধিকারী প্রার্থী একই নম্বর পাওয়ায় নিয়োগসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ১০০ জন প্রার্থীর সঙ্গে অতিরিক্ত দুজন প্রার্থীসহ ১০২ জন প্রার্থীকে মনোনিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুনবিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, পদ ১২১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গতকাল রোববার বিজেএসসির ওয়েবসাইটে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী অসত্য তথ্য প্রদান বা তথ্য গোপন করলে বা তার যোগ্যতার ঘাটতি থাকলে বা আবেদনপত্রে অন্য কোনো গরমিল পরিলক্ষিত হলে তাঁর মনোনয়ন বাতিল বলে গণ্য হবে।

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রার্থীদের উপস্থিতির স্থান ও তারিখ নির্ধারণ করে যথাসময়ে দৈনিক পত্রিকা, কমিশনের নোটিশ বোর্ড ও ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অথবা পুলিশ ভেরিফিকেশনে কোনো প্রার্থী অযোগ্য ঘোষিত/বিবেচিত হলে ওই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল বলে গণ্য হবে।

আরও পড়ুনডাক বিভাগে আবারও বড় নিয়োগ, পদ ৫০৪২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সাময়িক মনোনয়নকে নিয়োগপ্রাপ্তির অধিকার হিসেবে দাবি করা যাবে না। প্রকাশিত ফলাফলে কোনো ভুল পরিলক্ষিত হলে বা যুক্তিসংগত প্রয়োজনে কমিশন তা পরিবর্তন, পরিবর্ধন কিংবা সংশোধনের ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।

বিস্তারিত ফল এই লিংকে দেখা যাবে।

আরও পড়ুনবাংলাদেশি চিকিৎসক ও নার্সদের আয়ারল্যান্ডে ক্যারিয়ারের সুযোগ, পরীক্ষা তিনটি ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জন প র র থ

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও কারখানা চালুর দাবিতে ঢাকায় শ্রমিকদের ‘ভুখা মিছিল’

গাজীপুরে বন্ধ হয়ে যাওয়া উইনটেক্স গ্লোভস কারখানা পুনরায় চালু ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনের ১৭তম দিনে রাজধানীতে ভুখা মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকেরা।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিজয়নগরের শ্রম ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি পল্টন, প্রেসক্লাব, বিজয়নগর হয়ে পুনরায় শ্রম ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন বলেন, ১৫ জুন বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করা হয়। পরদিন ১৬ জুন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক এবং পরে শ্রম উপদেষ্টা ও শ্রমসচিবকে দুইবার লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়ে প্রতিকার চাওয়া হয়। আজ (বুধবার) ১৭তম দিন যাবৎ শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান আন্দোলনের পর অদ্যাবধি তাঁরা কোনো উদ্যোগ নেননি, এমনকি শ্রমিকদের সাথে কথাও বলেননি, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

কাজী মো. রুহুল আমিন আরও বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে শ্রমিকদের সুসম্পর্কের পরিবর্তে মুখোমুখি দাঁড়ানো কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।

সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, অতীতের সরকারগুলোর মতো বর্তমান সরকার যদি মালিক পুষে শ্রমিক মারার পথ অনুসরণ করে, তাহলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উইনটেক্স গ্লোভস শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক মো. তুহিন এবং সঞ্চালনা করেন শ্রমিকনেতা জালাল হাওলাদার। আরও বক্তব্য দেন শ্রমিকনেতা মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, সেকেন্দার হায়াত, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও কারখানা চালুর দাবিতে ঢাকায় শ্রমিকদের ‘ভুখা মিছিল’