সাভারে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণ, মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
Published: 20th, October 2025 GMT
ঢাকার সাভারে ধর্ষণের শিকার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মামলার মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৯ অক্টোবর) রাত ২টার দিকে গাজীপুরের কালিগঞ্জ উপজেলার নাগরী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা জেলা (উত্তর) গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেপ্তার সোহেল রোজারিও (৩৭) সাভারের কমলাপুর গোয়ালিও এলাকার সন্তোষ রোজারিওর ছেলে।
আরো পড়ুন:
সাভারে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
বঙ্গোপসাগরে ১৪ ভারতীয় জেলে গ্রেপ্তার
এর আগে, গতকাল রবিবার ভোরে একই মামলার আসামি মিঠু বিশ্বাসকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। মামলার অপর আসামি হলেন- সাভারের একই এলকার বিপ্লব রোজারিও (৪০)।
গ্রেপ্তার সোহেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং বিপ্লব ও মিঠুর বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
ঢাকা জেলা (উত্তর) গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, “রাত ২টার দিকে গাজীপুর কালিগঞ্জের নাগরী এলাকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সোহেল রোজারিওকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে।”
ভুক্তভোগী ছাত্রীর করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৪ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে সাভারের বেগুনবাড়ি এলাকায় টিউশন শেষে বাসায় ফেরেন ওই শিক্ষার্থী। গিয়ে দেখেন, বাসা তালাবদ্ধ। পরে জানতে পারেন, তার মা তালা দিয়ে পাশের এক চা দোকানির কাছে চাবি রেখে গেছেন। দোকান থেকে চাবি নিয়ে ফেরার সময় পথে সোহেল রোজারিও ও বিপ্লব রোজারিও থামিয়ে নানা প্রশ্ন করতে থাকেন। তরুণী বিষয়টি এড়িয়ে বাসার পথে এগোলে তারা অনুসরণ করে এবং পরিচিতির কথা জানায়।
একপর্যায়ে তিনজন মিলে মেয়েটিকে জোর করে একটি মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে সোহেল রোজারিও ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে ভয়ভীতি দেখিয়ে গোয়ালিওপাড়ার নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। পরে সোহেল রোজারিও সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এ সময় অন্য দুই আসামি তাকে সহযোগিতা করেন। ধর্ষণের পর ঘটনাটি জানালে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী।
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আস ম গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
থাইল্যান্ড: পরাধীনতাকে জয় করা এক জাতির গল্প
বিশ্বের মানচিত্রে বিজয়ের সংজ্ঞা সব সময় যুদ্ধক্ষেত্র বা বারুদের গন্ধে সীমাবদ্ধ থাকে না। কখনো কখনো বিজয় মানে হলো হাজারো ঝড়ের মধ্যেও মাথা নত না করা। আজ ৫ ডিসেম্বর, আমাদের প্রতিবেশী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডের ‘জাতীয় দিবস’। একই সঙ্গে দিনটি উদ্যাপিত হয় দেশটির ‘ফাদার্স ডে’ বা বাবা দিবস হিসেবেও। কারণ, ১৯২৭ সালের এই দিনেই জন্ম নিয়েছিলেন থাইল্যান্ডের আধুনিক ইতিহাসের রূপকার প্রয়াত রাজা ভূমিবল অতুল্যতেজ (নবম রামা)।
ডিসেম্বর মাসের বিজয়ের গল্পে থাইল্যান্ডের নাম উঠে আসে এক অনন্য কারণে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে থাইল্যান্ড (সাবেক নাম ‘শ্যামদেশ’) কখনোই ইউরোপীয় কোনো শক্তির উপনিবেশ ছিল না। যখন প্রতিবেশী মিয়ানমার, লাওস, কম্বোডিয়া বা ভিয়েতনাম ব্রিটিশ কিংবা ফরাসি শাসনের শৃঙ্খলে বন্দী ছিল, তখন থাইল্যান্ড তার কূটনৈতিক প্রজ্ঞা ও জাতীয় ঐক্যের জোরে স্বাধীন অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছিল। তাদের এই স্বাধীনতা রক্ষা করাটাই ছিল সবচেয়ে বড় বিজয়। আর আধুনিক যুগে সেই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে আগলে রাখার প্রতীক ছিলেন রাজা ভূমিবল।
থাইল্যান্ডের আধুনিক ইতিহাসের রূপকার রাজা ভূমিবল অতুল্যতেজ