‘পৃথিবী পাল্টাতে’ চাওয়া মানুষটির ৪৪ দিনের গল্প
Published: 20th, October 2025 GMT
ক্যারিশম্যাটিক, ঠোঁটকাটা আর বিতর্কিত।
তবু অনেকের চোখে তিনি সর্বকালের সেরা কোচদের একজন। ইতিহাসে মাত্র চারজন কোচ দুটি আলাদা ক্লাবের হয়ে ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগ জিতেছেন, তিনি তাঁদের একজন।ডার্বি কাউন্টি আর নটিংহাম ফরেস্টের হয়ে তাঁর সাফল্য জায়গা করে নিয়েছে ফুটবলের গল্পগাথায়। সুন্দর ফুটবল খেলানোর দর্শন আর স্পোর্টসম্যানশিপ নিয়ে আলাদা অধ্যায় লেখা যায় তাঁর নামেই। তবু প্রশ্ন থেকে যায়—কেন তিনি কখনো ইংল্যান্ড জাতীয় দলের কোচ হতে পারেননি? আজও সেই প্রসঙ্গ ঘুরেফিরে আসে নানা পডকাস্ট আর আলোচনায়।
তিনি ব্রায়ান ক্লফ—‘গ্রেটেস্ট ম্যানেজার ইংল্যান্ড নেভার হ্যাড।’
তাঁর ঝলমলে কোচিং ক্যারিয়ারে যেমন আলো আছে, তেমনি ছায়াও। ১৯৭৪ সালে লিডস ইউনাইটেডের কোচ হিসেবে টিকেছিলেন মাত্র ৪৪ দিন। প্রশ্নটা তখনো ছিল, এখনো আছে। না, ক্লফ ব্যর্থ হয়েছিলেন কেন, এ প্রশ্ন নয়। তার চেয়ে বড় প্রশ্ন, তিনি লিডসের দায়িত্বই–বা নিয়েছিলেন কেন?
কারণ, ফুটবল–দর্শনের জায়গা থেকে ক্লফ আর লিডসের আগের কোচ ডন রেভি—দুজন ছিলেন সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে। রেভির লিডস বিশ্বাস করত শক্তি ও শারীরিক লড়াইয়ের ফুটবলে, যেটাকে অনেকে বলতেন ‘ডার্টি ফুটবল’। সেই লিডস ও রেভির তীব্র সমালোচক ছিলেন ক্লফ নিজেই। কিন্তু ১৯৭৪ সালের জুলাইয়ে রেভি যখন ইংল্যান্ড জাতীয় দলের দায়িত্ব নিলেন, তখনই তাঁর রেখে যাওয়া ক্লাবটির দায়িত্ব নেন ক্লফ।
ব্রায়ান ক্লফ চরিত্রে দারুণ অভিনয় করেন মাইকেল শিন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
সাভারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার
ঢাকার সাভারে বাসায় ফেরার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী (২৫) ধর্ষণের অভিযোগে থানায় দায়ের হওয়া মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার ভোরে রাজধানীর তেজগাঁও থানার তেঁজকুনিপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে সাভার মডেল থানার পুলিশ।
গ্রেপ্তার মিঠু বিশ্বাস (৩৫) সাভারের কমলাপুর গোয়ালিও এলাকার দেবেন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাভারের একই এলকার সোহেল রোজারিও (৩৭), বিপ্লব রোজারিও (৪০)। সোহেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং বিপ্লব ও মিঠুর বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী তরুণী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তাঁর পরিবার সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের একটি এলাকায় বসবাস করে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা প্রথম আলোকে বলেন, আজ ভোরে তেজগাঁও থানার তেঁজকুনিপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিঠুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী ওই তরুণী সাভারে এক ছাত্রকে প্রাইভেট পড়ানোর পর বাসায় ফেরেন। কিন্তু এসে দেখেন বাসা তালাবদ্ধ। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তাঁর মা বাসায় তালা দিয়ে পাশের এক চা–দোকানির কাছে চাবি রেখে গেছেন। পরে তিনি দোকান থেকে চাবি নিয়ে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন।
ফেরার পথে সোহেল রোজারিও ওই তরুণীকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিছুদূর যাওয়ার পর সোহেলের সঙ্গে অন্য দুই আসামির দেখা হয়। এরপর তাঁরা ওই তরুণীকে অনুসরণ করতে থাকেন এবং বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করতে থাকেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে নিজের বাসায় নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন সোহেল। এতে সহযোগিতা করেন অন্য দুই আসামি। ধর্ষণের পর সোহেল ঘটনা কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেন ওই তরুণী।
আরও পড়ুনসাভারে বাসায় ফেরার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ১৫ ঘণ্টা আগেমামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল ওয়াহাব বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগী ছাত্রী তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন। এর পর থেকে বিভিন্ন স্থানে আসামিদের গ্রেপ্তারে থানার ঊর্ধ্বতন কমকর্তারা একাধিক টিম নিয়ে অভিযান শুরু করেন। আশা করছি, পলাতক বাকি দুই আসামিকেও দ্রুতই গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’
এদিকে আজ বিকেল চারটায় সাভার মডেল থানা প্রাঙ্গণে ধর্ষণের প্রতিবাদে ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে ঢাকা জেলার জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
তাদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা, ঝুঁকিপূর্ণ নীরব-গহিন এলাকায় পর্যাপ্ত লাইটিং, সিসিটিভি ক্যামেরা ও টহলের ব্যবস্থা এবং সাভারে খুন-গুম-ধর্ষণের জন্য যৌথ বাহিনীর স্পেশাল সেল গঠন করা।
ঢাকা জেলা এনসিপির যুগ্ম সমন্বকারী মেহরাব সিফাত প্রথম আলোকে বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশে নিত্যদিনের পত্রিকায় ধর্ষণকাণ্ড খবর না হোক—এটাই আমাদের প্রত্যাশা। এটি নিশ্চত করতে ধর্ষণের মতো বর্বরোচিত ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচারে কোনো ধরনের কালক্ষেপণ করা যাবে না। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। সাভারে প্রতিটি এলাকায় জনগণের চলাচল নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে হবে। যৌথ বাহিনীর স্পেশাল সেল গঠনের মধ্য দিয়ে ভুক্তভোগীরা যেন দ্রুত সহায়তা পান, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।’