এনআইডি সার্ভার জটিলতায় আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে ভোগান্তি
Published: 24th, February 2025 GMT
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে নতুন পাসপোর্টের আবেদন জমা দিতে আসা ব্যক্তিরা বিড়ম্বনায় পড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এমন বিড়ম্বনার শিকার হন বেশ কয়েকজন আবেদনকারী।
পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে নতুন পাসপোর্টের আবেদন করতে এসেছেন রনি দাস। সমকাল তিনি জানান, সকাল ৯টার দিকে তিনি পাসপোর্ট অফিসে পৌঁছেছেন। এরপর জাতীয় পরিচয়পত্র ভেরিফাই করার জন্য তাকে ১০৫ নম্বর কক্ষে পাঠানো হয়। সেখানে এনআইডি কার্ড জমা দিতে গেলে দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানান- সার্ভার ডাউন আছে। দুই ঘণ্টা পরে আবার ওই কর্মকর্তার কক্ষে গেলে আবারও তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এক ঘণ্টা পর তিনি পুনরায় গেলে, তার এনআইডির ভেরিফায়েড কপি প্রদান করা হয়।
রনি দাসের মতো একই বেকায়দায় পড়েন আফসারা রহমান নামে এক আবেদনকারী। তাকেও এনআইডি ফেরিভায়েড কক্ষে যাওয়ামাত্র ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে যারাই নতুন আবেদন জমা দিতে গেছেন, তারাই পড়েছেন ভোগান্তিতে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস আগারগাঁওয়ের উপ-পরিচালক ইসমাইল হোসেন সমকালকে বলেন, যারা নতুন আবেদন জমা দিতে আসেন; তাদের এনআইডির ফেরিভায়েড হওয়া কপি বাধ্যতামূলক। সেক্ষেত্রে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সার্ভার ডাউন থাকায় কিছুটা বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়। তবে দুপুর ১টার পর সার্ভার আপ হলে কাজের গতি ফিরে আসে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক
শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা।
আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন।
আরো পড়ুন:
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি
৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।
শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”
আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ