ওয়ালটন বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর: আইসিবি চেয়ারম্যান
Published: 25th, February 2025 GMT
ওয়ালটন বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ এবং পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু আহমেদ।
গত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) গাজীপুরের চন্দ্রায় অবস্থিত ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আইসিবি চেয়ারম্যান বলেন, “ওয়ালটন সব ধরনের পণ্যই তৈরি করছে। বিশাল জায়গাজুড়ে পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন পণ্যের অত্যাধুনিক ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টস গড়ে তুলেছেন তারা। ওয়ালটনের পণ্য এখন বাংলাদেশের ঘরে ঘরে। দেশের চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি ৪০টির বেশি দেশে নিজেদের তৈরি পণ্য রপ্তানি করছে ওয়ালটন। এসব দেশ ওয়ালটন পণ্যের গুণগত মান এবং মূল্য প্রতিযোগিতা সক্ষমতা যাচাই করেই নিচ্ছে। এটা বাংলাদেশের জন্য বড় সুনাম।”
শনিবার সকালে আইসিবির চেয়ারম্যানসহ সদ্য বিদায়ী ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো.
অতিথিরা ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টারসহ ওয়ালটনের মেটাল কাস্টিং, কম্প্রেসর, রেফ্রিজটারেটর ও টেলিভিশনসহ বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন ইউনিট সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন।
পরিদর্শন শেষে অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, “ওয়ালটন ব্র্যান্ড এখন সারা বিশ্বে সমাদৃত। এটা বাংলাদেশের গর্বের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আগে যেসব পণ্য বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হতো, এখন সেসব ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করছে ওয়ালটন। দেশের সেরা করদাতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও একটি ওয়ালটন। এভাবে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলছে ওয়ালটন।”
সাম্প্রতিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওয়ালটন নিয়ে প্রচারণার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইসিবির চেয়ারম্যান বলেন, “ওয়ালটনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে কোনো লাভ নেই। যারা সমালোচনা করছেন, তাদের উচিত, ওয়ালটনের মতো এমন একটি উৎপাদনমুখী শিল্প তৈরি করে উদাহরণ সৃষ্টি করা। বরং, সবার দেখতে হবে ওয়ালটন পণ্যের গুণগত মান ঠিক আছে কি না, সাশ্রয়ী দামে তারা গ্রাহকের হাতে পণ্য তুলে দিতে পারছে কি না এবং প্রতিবছর শেয়ারহোল্ডারদের ভালো ডিভিডেন্ড দিতে পারছে কি না। এসব কাজ প্রতিনিয়ত সফলতার সঙ্গে করে দেখাচ্ছে ওয়ালটন।”
ঢাকা/একরাম/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
শাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর সেমিনার
শাকসুর নির্বাচন কমিশন ঘোষণা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভর্তি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সাজেদুল করিম বলেন, “গুচ্ছ প্রক্রিয়া না থেকে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমাদের শিক্ষকরা আজ উপাচার্যের কাছে একটা স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। শিক্ষকরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকতে চায় না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এককভাবে ভর্তি পরীক্ষার নেওয়ার জন্য সামনের দিকে কাজ এগোচ্ছি। অতিদ্রুত ভর্তি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি নির্ধারণ করে প্রকাশ করা হবে।”
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শাবিপ্রবি গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে। এবারো একইভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে চিঠি পেলেও শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়।
ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী