থালাবাসন ছিল বাদ্যযন্ত্র, আজম খানের গান শোনার জন্য ভিড় জমাতেন মুক্তিযোদ্ধারা
Published: 27th, February 2025 GMT
বাংলা পপ গানের সম্রাট আজম খান স্বপ্ন দেখিয়েছেন দেশের তরুণদের। পপ গানকে লালন করেছেন, শ্রোতা তৈরি করেছেন, বাংলা এই পপ গানের ধারা যেন সময়ের সঙ্গে প্রবহমান থাকে, সেই পথও তৈরি করে গেছেন।
মুক্তিযুদ্ধের পর বঞ্চিত মানুষের গান করতে শুরু করেন। তাঁর গানে আসতে থাকে সচেতনতা, দেশপ্রেম, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়, তরুণদের উদ্বুদ্ধকরণ। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও চলতে থাকে তাঁর গান। সে সময় তিনি গেয়েছিলেন ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’, ‘হাইকোর্টের মাজারে’, ‘এত সুন্দর দুনিয়ায়’, ‘অভিমানী’, ‘অনামিকা’, ‘পাপড়ি’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘আসি আসি বলে তুমি আর এলে না’, ‘আমি যারে চাইরে’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘ও চাঁদ সুন্দর’, ‘ও রে সালেকা ও রে মালেকা’, ‘জীবনে কিছু পাব না রে’, ‘বাধা দিয়ো না’সহ অনেক জনপ্রিয় গান।
১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আজম খানের জন্ম। মরণব্যাধি ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে তিনি মৃত্যুর কাছে হার মানেন। ২০১১ সালের ৫ জুন তিনি দেশবাসীকে কাঁদিয়ে পরপারে চলে যান। সশরীর না থাকলেও তাঁর গানগুলো আজও সমসাময়িক। এই গানগুলোই তাঁকে হাজার বছর বাঁচিয়ে রাখবে।
আরও পড়ুনঅতুলনীয় এক বন্ধু আজম খান২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১আজম খান.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আজম খ ন
এছাড়াও পড়ুন:
পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কোনো ইচ্ছা নেই: ইরানের প্রেসিডেন্ট
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কোনো ইচ্ছা ইরানের নেই।
আজ সোমবার ইরানের পার্লামেন্টে বক্তব্য দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। চারদিন ধরে ইরানজুড়ে ইসরায়েলের চলমান হামলার প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন। খবর ইরনার
মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, ‘শত্রুরা মারধর, হত্যা, হামলার মধ্য দিয়ে আমাদের এবং আমাদের জাতিকে শেষ করতে পারবে না। কেননা, একজন বীরের হাত থেকে পতাকা পড়ে গেলে, আরও শত শত বীর তা তুলে নেবেন। তারা এই কাপুরুষদের নিষ্ঠুরতা, অবিচার, অপরাধ আর বিশ্বাসঘাতকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন।’
ইরানিরা ‘আগ্রাসনকারী’ নন মন্তব্য করে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, ‘আমাদের ওপর যে আগ্রাসন শুরু হয়েছে, তার বিরুদ্ধে ইরানের জনগণের হাতে হাত ধরে শক্তভাবে দাঁড়াতে হবে।’
পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে তার সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করছে বলেও জানান ইরানের প্রেসিডেন্ট।
ইসরায়েল গত শুক্রবার ভোর রাতে ইরানের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা করে। জবাবে ইসরায়েলে হামলা শুরু করে ইরান। ইরানের হামলায় ইসরায়েলের ১৮ জন নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ইরানের নিহত হয়েছেন ২২৪ জন। পাল্টাপাল্টি এই হামলা চলছে।