তরমুজ লুটের ঘটনায় সাবেক ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
Published: 28th, February 2025 GMT
পটুয়াখালীর বাউফলে ট্রলার ছিনতাই করে তরমুজ লুটের ঘটনায় সাবেক ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলামকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিক্রির জন্য তরমুজ বোঝাাই ট্রলার ছিনতাই করে ৮৬০ পিস তরমুজ লুট করা হয়েছিলো। বাউফলের নদীবেষ্টিত ইউনিয়ন চন্দ্রদ্বীপে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এতে তরমুজ চাষী মানিক বেপারী সাইফুলকে প্রধান আসামি করে ২৫ জনের নামোল্লেখ করে বাউফল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার পর গতকাল ভোরে সাইফুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি নাজিরপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। বর্তমানে যুবদলের সক্রিয় সদস্য। তার বাবা মো.
পুলিশ, স্থানীয় চাষী ও ভুক্তভোগি কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার ক্ষেত থেকে ৮৬০ পিস বড় আকারের তরমুজ কেটে ট্রলারে উঠিয়ে বরিশাল যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন চাষি মো. মানিক ব্যাপারী। বেলা ১২টার দিকে সাইফুল দলবল নিয়ে ট্রলার চালক মো. আরিফকে (১৮) মারধর করে চর রায়সাহেব থেকে ট্রলারটি ছিনিয়ে নিয়ে নিমদী লঞ্চঘাটের দক্ষিণ পাশে ইটভাটার কাছে নোঙর করে রাখে। খবর পেয়ে মানিক ব্যাপারী সেখানে গিয়ে ট্রলারসহ তরমুজ ফেরত চাইলে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে সাইফুল ও তার লোকজন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তরমুজ অন্য ট্রলারে উঠিয়ে নিয়ে যায় সাইফুল। ছয় হাজার টাকার বিনিময়ে ট্রলার ফেরত দেওয়া হয়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে সাইফুল ও তার বাবা এনায়েত বাউফল উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শিল্পপতি একেএম ফারুক আহম্মেদ তালুকদারের পক্ষে রাজনীতি করেন।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘প্রধান আসামি সাইফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বর শ ল তরম জ ব উফল তরম জ
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের প্রস্তাবিত নীতিতে ইন্টারনেটের দাম ২০% বাড়বে: আইএসপিএবি
সরকারের প্রস্তাবিত নীতিমালায় বিভিন্ন ফি ও চার্জ আরোপের কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ আরও অন্তত ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে বলছেন দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতারা।
ইন্টারনেটের দাম বাড়ার বিষয়টি দায়িত্বশীল নেতৃত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সেবাদাতারা।
আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায়।
সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারদের (এফটিএসপি) জন্য একটি গাইড লাইনের খসড়া করেছে। এ নিয়ে আপত্তি তুলেছে আইএসপিএবি।
নতুন গাইডলাইনে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের জন্য ১ শতাংশ দিতে হবে। এ ছাড়া এফটিএসপি অপারেটরদের ক্রয়মূল্য ১৪ শতাংশ বাড়বে।
আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, টেলিযোগাযোগ খাত নিয়ে সরকার তার উদ্দেশ্য থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং জনগণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না। সরকার ভুল পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
আমিনুল হাকিম বিদ্যমান নীতির সঙ্গে প্রস্তাবিত নীতির তুলনামূলক উপস্থাপনা তুলে ধরে বলেন, বিদ্যমান নীতিতে সরকার এই খাত রেভিনিউ শেয়ারিং, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল এবং ভ্যাটসহ ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ পায় কিন্তু নতুন নীততে তা ৪০ দশমিক ২৫ শতাংশ হবে। সরকারি নীতিতে শহর ও গ্রামে বৈষম্য বাড়বে।
আমিনুল হাকিম বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসা সরকার বৈষম্য উপহার দিচ্ছে। সরকার একদিকে ইন্টারনেটের দাম কমানোর কথা বলছে, অন্যদিকে নিজেরা দাম বাড়াচ্ছে। তিনি আরও বলেন, স্টারলিংকের জন্য সরকার লাইসেন্স ফি ধরেছে ১০ হাজার ডলার অর্থাৎ ১২ লাখ টাকা। কিন্তু দেশের আইএসপিদের জন্য তা ২৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, স্টারলিংককে এত সুবিধা দেওয়ার কারণ কি?
সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবি বলেছে, প্রস্তাবিত খসড়া গাইডলাইনে মোবাইল অপারেটরদের ফিক্সড ওয়্যারলেস একসেস এবং লাস্ট মাইল ফাইবার সংযোগের মাধ্যমে ফিক্সড কানেক্টিভিটি দেওয়ার স্পষ্ট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা দেশীয় এবং নিজস্ব বিনিয়োগে গড়ে ওঠা আইএসপিগুলোর জন্য চরম অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে। এ ছাড়া বড় প্রভাব পড়বে সাধারণ গ্রাহকের ওপর।