সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বাতিল হওয়া নিয়োগ ফিরে পাওয়ার দাবিতে ঢাকার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে প্রতীকী ফাঁসি কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনরত ব্যক্তিরা। আজ শনিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাঁরা জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই কর্মসূচি পালন করেন।

আন্দোলনকারীরা জানান, প্রতীকী ফাঁসি কর্মসূচিতে ছয়জন আন্দোলনকারী অংশ নেন। যদি তাঁদের দাবি মেনে না নেওয়া হয়, তবে তাঁরা প্রতীকী নয়, ফাঁসির মাধ্যমে আত্মাহুতি দেবেন। প্রায় এক ঘণ্টা তাঁরা এই কর্মসূচি পালন করেন। পরে সাড়ে বিকেল চারটার দিকে র‍্যালি নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যান তাঁরা।

আরও পড়ুনপ্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে নিয়োগের দাবিতে শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ‘মহাসমাবেশ’১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আন্দোলনকারীদের একজন আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, টানা ২৪তম দিনের মতো তাঁরা আন্দোলন করছেন। তাঁদের দাবি মেনে না নেওয়ায় আজ প্রতীকী ফাঁসি কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হচ্ছে, দাবি মানা না হলে এটি আর প্রতীকী কর্মসূচি থাকবে না। তাঁরা ফাঁসির মাধ্যমে আত্মাহুতি দেবেন।

তিন ধাপে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু তৃতীয় ধাপ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

২০২৩ সালের ১৪ জুন তৃতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। লিখিত-মৌখিক পরীক্ষা শেষে গত বছরের ৩১ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে ৬ হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ হন।

নিয়োগবঞ্চিত কয়েকজন রিট করলে ৬ হাজার ৫৩১ জনের ফলাফল ও নিয়োগপত্র প্রদান-সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। চূড়ান্ত শুনানি শেষে ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট চূড়ান্ত ফলাফল ও নির্বাচিতদের নিয়োগপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। এ রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনে জোরালো ভূমিকা পালন করবে আনসার: ডিজি

আসন্ন জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা জোরালো ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় নির্বাচনে আনসার-ভিডিপির ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা মহড়া ও চতুর্থ ধাপের আনসার কোম্পানি প্লাটুন সদস্যদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেছেন বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, আনসার সদস্যরা ভোট কেন্দ্রগুলোর প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা ভোট কেন্দ্রের অভ্যন্তরে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের নিরাপত্তা এবং ভোটাধিকার প্রয়োগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করবেন।

ডিজি আরো বলেন, সাধারণত নির্বাচনে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে অস্ত্রধারী এবং অস্ত্রবিহীন নারী ও পুরুষ আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে একটি দল মোতায়েন করা হয়। আনসার বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হয়ে কাজ করবে এবং নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করা হবে।তিনি

জানান, আনসার বাহিনী প্রথমবারের মতো ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম চালু করেছে, যেখানে প্রতিটি সদস্য সদর দপ্তরের সঙ্গে ডিজিটাল সিস্টেমে যুক্ত থাকবেন।

ঢাকা/এমআর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ