সোনারগাঁয়ে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে জামায়াতের ইফতার সামগ্রী বিতরণ
Published: 1st, March 2025 GMT
রমজান উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের উদ্যোগে জামায়াতে ইসলামী কর্মী মালেশিয়া প্রবাসী সোহানুর রহমান সবুজের সার্বিক তত্বাবধানে শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
শনিবার (০১ মার্চ) বিকেলে উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে মামুর্দী গ্রামে সুবিধাবঞ্চিতদের মধ্যে এ ইফতার সামগ্রী বিতরণ হয়।
ইউনিয়ন আমির মাওলানা আবদুল মুমিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সোনারগাঁ আইডিয়াল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রিন্সিপাল ড.
বিশেষ অতিথি ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা জামায়াতের ইসলামীর সেক্রেটারি আসাদুল ইসলাম মোল্লা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সোনারগাঁ আইডিয়াল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রিন্সিপাল ড.ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন,জামায়াতে ইসলামী একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সারা বছর জুড়ে সমাজ সেবা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে।
রসুল (স.) রমজান মাস আসার আগেই যেভাবে পদক্ষেপ নিতেন, সেই আলোকে আমরাও প্রস্তুতি নিয়ে থাকি। রমজান মাসে মুসলমানরা যাতে ফরজ দায়িত্বগুলো শান্তি ও স্বস্তির সঙ্গে পালন করতে পারেন, সেজন্য অতীতে রাষ্ট্র কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে এসব আয়োজন রাষ্ট্র করবে।
তিনি আরও বলেন, "যদি সমাজে সৎ লোকের শাসন ও আল্লাহর আইন বাস্তবায়িত হয়, তাহলে চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব থাকবে না। আমাদের লক্ষ্য সমাজের প্রতিটি পরিবারের মাঝে খাবারের প্যাকেট পৌঁছে দেওয়া, ইনশাআল্লাহ ধীরে ধীরে তা বাস্তবায়ন করবো।"
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- সোনারগাঁ উপজেলা দক্ষিণের ওলামা প্রধান ফৌরদীস খাঁন,মামুদ্দী গ্রামের বিশিষ্ট সমাজ সেবক আশরাফুল ও সনমান্দী ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি আমির হামজা সহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ ইফত র ইসল ম র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেম ছিল না তবু কেন মধুবালাকে বিয়ে করেছিলেন কিশোর কুমার
দিলীপ কুমারের সঙ্গে বিচ্ছেদের কিছুদিন পরই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী মধুবালা। তবে তখন তিনি ছিলেন অসুস্থ। কিশোর কুমার জানিয়েছিলেন, ভালোবাসা থেকে নয়, বরং কথা রাখতেই তিনি এ বিয়ে করেছিলেন।
মধুবালা ও দিলীপ কুমারের প্রেম নিয়ে একসময় মুখর ছিল মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু অভিনেত্রীর বাবার বাধার কারণে সে সম্পর্কে ফাটল ধরে এবং দুজনের বিচ্ছেদ ঘটে। কিছুদিন পরেই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন মধুবালা। তাঁদের এই বিয়ে অনেককে চমকে দিয়েছিল। কারণ, তাঁদের প্রেমের কথা তখনো গোপন ছিল। তবে মধুবালার শরীর তখন ভালো যাচ্ছিল না। বলা হয়, দীর্ঘ রোগভোগের সময় কিশোর কুমার তাঁকে মায়ের বাড়িতে রেখেই চলে যান।
দ্য ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেছিলেন, ‘বিয়ের আগেই জানতাম, ও খুব অসুস্থ। কিন্তু কথা তো দিয়েছিলাম। তাই সে কথা রেখেই ওকে ঘরে এনেছিলাম স্ত্রী হিসেবে। জানতাম, ওর জন্মগত হৃদ্রোগ আছে। তবু ৯ বছর ধরে সেবা করেছি। চোখের সামনেই ওকে মরতে দেখেছি। কেউ বুঝবে না এর যন্ত্রণা, না ভুগলে। ও অসম্ভব সুন্দরী ছিল। আর কত যন্ত্রণায় মারা গেছে, সেটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। হতাশায় চিৎকার করত, কান্নাকাটি করত। এত প্রাণোচ্ছল মানুষ নয়টা বছর বিছানায় শুয়ে থাকবে—এ কল্পনাই করা যায় না। ডাক্তার বলেছিল, ওকে হাসিখুশি রাখতে হবে। আমি তা–ই করেছি—ওর শেষনিশ্বাস পর্যন্ত। কখনো হেসেছি, কখনো কেঁদেছি ওর সঙ্গে।’
তবে কিশোর কুমারের এই বক্তব্য নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। কারণ, পরে ফিল্মফেয়ার সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একেবারে ভিন্ন কথা বলেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেন, ‘মধুবালার সঙ্গে আমি প্রেমে পড়িনি কখনো। বরং ওর প্রেমিক ছিল আমার বন্ধু দিলীপ কুমার। আমি তো শুধু ওদের বার্তা পৌঁছে দিতাম। বিয়ের প্রস্তাবটা দিয়েছিল মধুবালাই। এমনকি, যখন আমার প্রথম স্ত্রী রুমা তখনো আমার সঙ্গে ছিল, তখনো মধু বলত, “ওকে কখনো ছেড়ো না, না হলে আমি তোমার হয়ে যাব।”’
আরও পড়ুনকিশোর কুমার কি সত্যিই ঘরে কঙ্কাল আর মাথার খুলি নিয়ে ঘুমাতেন২৭ মে ২০২৫মধুবালার পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, চিকিৎসকেরা তখন বলেছিলেন, অভিনেত্রীর পক্ষে শারীরিক সম্পর্ক কিংবা সন্তানধারণ কোনো কিছুই সম্ভব নয়। সেই বাস্তবতা হয়তো প্রভাব ফেলেছিল কিশোরের সিদ্ধান্তে। এক ঘনিষ্ঠজন বলেন, ‘আমরা বলছি না কিশোরদা ভুল করেছিলেন। ডাক্তার তো স্পষ্ট বলেছিল—শারীরিক সম্পর্ক বা সন্তান কোনোটাই সম্ভব নয়। তবে একজন নারীর তো মানসিক সঙ্গীও দরকার হয়।’
ওই ঘনিষ্ঠজন আরও জানান, কিশোর কুমার তিন মাসে একবার আসতেন মাত্র। বলতেন, ‘আমি এলে তুমি কাঁদবে, আর এতে তোমার হৃদ্যন্ত্রের ক্ষতি হবে। তুমি বিষণ্ন হয়ে পড়বে।’ সে সময় মধু অনেক ছোট ছিলেন, ঈর্ষাও ছিল স্বাভাবিক। হয়তো এ দূরত্বই ধীরে ধীরে তাঁকে শেষ করে দিয়েছিল।
১৯৬৯ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বলিউড অভিনেত্রী মধুবালা