শপথ নিনেল টেলিভিশন নাট্যনির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দ। গত শুক্রবার রাজধানীর গিল্ডের অফিসে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শপথ নেন তারা।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার নরেশ ভূঁইয়া শপথ বাক্য পাঠ পড়ান। সহ-সভাপতি সকাল আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তুহিন হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য শিহাব শাহীন শুটিং জটিলতায়  শপথ গ্রহণ করতে পারেননি। পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে তাদের গিল্ডের সভাপতি শপথ পড়াবেন বলে জানা গেছে।  

এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ডিরেক্টরস গিল্ডের ২০২৫-২৭ দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবারের নির্বাচনে সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ফরিদুল হাসান। আগামী দুই বছরের জন্য পরিচালকদের এই সংগঠনের দায়িত্ব পালন করবেন তারা।

সহ-সভাপতি পদে রাশেদা আক্তার নাজুক, ফিরোজ খান ও সকাল আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন। যুগ্ম সাধারণ পদে নির্বাচিত হয়েছেন তুহিন হোসেন ও দীন মোহাম্মাদ মন্টু। এছাড়া অর্থ সম্পাদক পদে আবু রায়হান জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো.

নাজমুল হুদা রনি (নাজমুল রনি), প্রশিক্ষণ ও আর্কাইভ বিষয়ক সম্পাদক গাজী আপেল মাহমুদ, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সঞ্জয় বড়ুয়া, আইন ও কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক প্রীতি দত্ত ও দপ্তর সম্পাদক সাইদ রহমান নির্বাচিত হয়েছেন।

কার্যনির্বাহী পদে সাগর জাহান, চয়নিকা চৌধুরী, মাহমুদ নিয়াজ চন্দ্রদ্বীপ, গীতালি হাসান, লিটু করিম, শিহাব শাহীন ও হাসান রেজাউল নির্বাচিত হয়েছেন।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড র ক টরস গ ল ড ন র ব চ ত হয় ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়। 

গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’ 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।

টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন। 

এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’ 

সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ