ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু
Published: 3rd, March 2025 GMT
চট্টগ্রামে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরের কোতোয়ালি থানার জেল রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শাহেদ হোসেন নামের ওই ছিনতাইকারীকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছেন পথচারীরা।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাতে ধারালো ছুরি নিয়ে ছিনতাইয়ের উদ্দেশে নগরের লালদিঘি এলাকার জেল রোডের মুখে অবস্থান করছিলেন শাহেদ হোসেন। আমানত শাহ মাজারসংলগ্ন এলাকায় তাঁর সঙ্গে ভবঘুরে ওই যুবকের বাগ্বিতণ্ডা হয়। দুজনের মধ্যে পরে ধস্তাধস্তি শুরু হলে একপর্যায়ে শাহেদ ওই ভবঘুরে যুবককে ছুরিকাঘাত করেন। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় পথচারীরা ধাওয়া দিয়ে শাহেদকে ধরে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ করেন।
আহত অবস্থায় ভবঘুরে ওই যুবককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পথচারীদের মারধরে আহত ছিনতাইকারীকেও হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবদুল করিম আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, নিহত যুবকের পরিচয় জানতে সিআইডি তাঁর আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করেছে। তাঁকে কি ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, নাকি দুজনের মধ্যে অন্য কোনো বিষয়ে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওসি আরও বলেন, আটক ছিনতাইকারী শাহেদ বর্তমানে কোতোয়ালি থানার হেফাজতে রয়েছেন। তাঁর বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।
মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।