Samakal:
2025-11-03@14:05:37 GMT

ঘুরেফিরে তারাই খেলে সেমিতে

Published: 3rd, March 2025 GMT

ঘুরেফিরে তারাই খেলে সেমিতে

‘ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া হচ্ছে ফুটবলের ব্রাজিল; তারা যত অফফর্মেই থাকুক না কেন, আইসিসি টুর্নামেন্ট এলেই তারা ফেভারিট। তা সে যেমন মানের দলই হোক না কেন। হলুদ জার্সিটা গায়ে জড়ালেই তারা ভয়ংকর’। 

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগে এক টেলিভিশন টকশোতে এভাবেই স্টিভ স্মিথের দলকে নিয়ে ভবিতব্য করেছিলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার অজয় জাদেজা। তখন সঞ্চালক বলেছিলেন, ভারত তাহলে কি ক্রিকেটের আর্জেন্টিনা? আকাশি-নীল জার্সির কারণে তা আপনি বলতেই পারেন; হাসি-ঠাট্টায় ভারতীয় চ্যানেলের সেই অনুষ্ঠানটি জমে উঠেছিল। 

তবে কথার কথা নয়, অস্ট্রেলিয়া যে সত্যিই ক্রিকেটে ‘ফুটবলের ব্রাজিল’; তা কিন্তু তাদের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানও প্রমাণ করে। এমনিতেই সবার থেকে বেশি ছয়বার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে অসিরা। কিন্তু গত দশকের কথায় যদি ধরা হয়, সেখানে কিন্তু একটা মজার ব্যাপার লক্ষ করা যায়। আর সেটা হলো, ২০১৫ ও ২০২৩ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছিল অস্ট্রেলিয়া, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড। এবারের ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমিফাইনালে একই চার দল এবং এই চার দলের মধ্য থেকে গত দুটি আসরেই চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। তাহলে কি এবারও চ্যাম্পিয়ন হবে অসিরা?

শুধু ওয়ানডে ফরম্যাটেই না, ২০২১ সালে দুবাইতে টি২০ বিশ্বকাপেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বর্তমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নও তারা। এমনকি সামনে জুনে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও খেলবে তারা। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। যার অর্থ ঘুরেফিরে এই চারটি দলই আইসিসির টুর্নামেন্টগুলোতে ধারাবাহিকতা দেখাচ্ছে। তা তারা যেমন শক্তির দল নিয়েই আসুক না কেন। এবার যেমন বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের সাতজন আসেনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। তার পরও তাদের চ্যাম্পিয়ন মানসিকতা এতটুকু ধাক্কা খায়নি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসরের প্রথম ম্যাচে রেকর্ড ৩৫১ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে নেয় অসিরা। মেলবোর্ন, মুম্বাই, লাহোর; যে কোনো কন্ডিশনে যে কোনো উইকেটে অসিরা নিজেদের দারুণ মানিয়ে নিতে পারেন। 

অস্ট্রেলিয়ার মতো ধারাবাহিকতা আছে ভারতেরও। তবে ২০১১ সালের পর ভারত কিন্তু এই ফরম্যাটে বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। এর পর শচীন টেন্ডুলকার-উত্তর ভারতীয় প্রজন্মের সাফল্য এসেছে শুধু ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জয় এবং সর্বশেষ ২০২৪ টি২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। অস্ট্রেলিয়ার মতো নিউজিল্যান্ডও আইসিসির আসরগুলোতে স্নায়ু শক্ত রেখে সেমিতে উঠে যাচ্ছে। ২০১৫ বিশ্বকাপে তারা অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনালে হেরে গিয়েছিল। ২০১৯ বিশ্বকাপে তারা লর্ডসে ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছিল। আর গত বিশ্বকাপে মুম্বাইতে তারা সেমিফাইনালে ভারতের কাছে আটকে গিয়েছিল। তবে এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিরই দ্বিতীয় আসরে কেনিয়ায় ২০০০ সালে তারা ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ২০২১ সালে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপও জিতেছিল কিউইরা। সেই হিসাবে কিউইদের যদি ‘ফুটবলের ফ্রান্স’ও বলা যেতে পারে। 

আর নকআউট পর্বে এসে প্রোটিয়াদের স্নায়ু দুর্বলতার ব্যাপারটি সবারই জানা। ঢাকায় আইসিসির এই ইভেন্টের প্রথম আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এর পর আর তাদের ফাইনালে দেখা যায়নি। পাঁচটি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল পর্যন্ত যেতে পেরেছে তারা। সর্বশেষ গত বছর টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে গিয়েও হেরে গিয়েছে। তাই ক্রিকেটের এই দক্ষিণ আফ্রিকাকে ‘ফুটবলের নেদার‍ল্যান্ডস’ বললে বোধ হয় খুব বেশি ভুল হবে না। কারণ ডাচরা কিন্তু ফুটবল বিশ্বকাপে তিন তিনবার ফাইনাল খেলেও ট্রফি স্পর্শ করতে পারেনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ম ফ ইন ল র ফ ইন ল ফ টবল র আইস স

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে 

বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।

বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে 
  • নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক আগাম ভোট, তরুণেরা কেন আগাম ভোট দিচ্ছেন
  • ‘হুক্কা’ প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পেল জাগপা