Samakal:
2025-06-15@12:31:19 GMT

ঘুরেফিরে তারাই খেলে সেমিতে

Published: 3rd, March 2025 GMT

ঘুরেফিরে তারাই খেলে সেমিতে

‘ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া হচ্ছে ফুটবলের ব্রাজিল; তারা যত অফফর্মেই থাকুক না কেন, আইসিসি টুর্নামেন্ট এলেই তারা ফেভারিট। তা সে যেমন মানের দলই হোক না কেন। হলুদ জার্সিটা গায়ে জড়ালেই তারা ভয়ংকর’। 

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগে এক টেলিভিশন টকশোতে এভাবেই স্টিভ স্মিথের দলকে নিয়ে ভবিতব্য করেছিলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার অজয় জাদেজা। তখন সঞ্চালক বলেছিলেন, ভারত তাহলে কি ক্রিকেটের আর্জেন্টিনা? আকাশি-নীল জার্সির কারণে তা আপনি বলতেই পারেন; হাসি-ঠাট্টায় ভারতীয় চ্যানেলের সেই অনুষ্ঠানটি জমে উঠেছিল। 

তবে কথার কথা নয়, অস্ট্রেলিয়া যে সত্যিই ক্রিকেটে ‘ফুটবলের ব্রাজিল’; তা কিন্তু তাদের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানও প্রমাণ করে। এমনিতেই সবার থেকে বেশি ছয়বার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে অসিরা। কিন্তু গত দশকের কথায় যদি ধরা হয়, সেখানে কিন্তু একটা মজার ব্যাপার লক্ষ করা যায়। আর সেটা হলো, ২০১৫ ও ২০২৩ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছিল অস্ট্রেলিয়া, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড। এবারের ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমিফাইনালে একই চার দল এবং এই চার দলের মধ্য থেকে গত দুটি আসরেই চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। তাহলে কি এবারও চ্যাম্পিয়ন হবে অসিরা?

শুধু ওয়ানডে ফরম্যাটেই না, ২০২১ সালে দুবাইতে টি২০ বিশ্বকাপেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বর্তমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নও তারা। এমনকি সামনে জুনে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও খেলবে তারা। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। যার অর্থ ঘুরেফিরে এই চারটি দলই আইসিসির টুর্নামেন্টগুলোতে ধারাবাহিকতা দেখাচ্ছে। তা তারা যেমন শক্তির দল নিয়েই আসুক না কেন। এবার যেমন বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের সাতজন আসেনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। তার পরও তাদের চ্যাম্পিয়ন মানসিকতা এতটুকু ধাক্কা খায়নি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসরের প্রথম ম্যাচে রেকর্ড ৩৫১ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে নেয় অসিরা। মেলবোর্ন, মুম্বাই, লাহোর; যে কোনো কন্ডিশনে যে কোনো উইকেটে অসিরা নিজেদের দারুণ মানিয়ে নিতে পারেন। 

অস্ট্রেলিয়ার মতো ধারাবাহিকতা আছে ভারতেরও। তবে ২০১১ সালের পর ভারত কিন্তু এই ফরম্যাটে বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। এর পর শচীন টেন্ডুলকার-উত্তর ভারতীয় প্রজন্মের সাফল্য এসেছে শুধু ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জয় এবং সর্বশেষ ২০২৪ টি২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। অস্ট্রেলিয়ার মতো নিউজিল্যান্ডও আইসিসির আসরগুলোতে স্নায়ু শক্ত রেখে সেমিতে উঠে যাচ্ছে। ২০১৫ বিশ্বকাপে তারা অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনালে হেরে গিয়েছিল। ২০১৯ বিশ্বকাপে তারা লর্ডসে ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছিল। আর গত বিশ্বকাপে মুম্বাইতে তারা সেমিফাইনালে ভারতের কাছে আটকে গিয়েছিল। তবে এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিরই দ্বিতীয় আসরে কেনিয়ায় ২০০০ সালে তারা ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ২০২১ সালে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপও জিতেছিল কিউইরা। সেই হিসাবে কিউইদের যদি ‘ফুটবলের ফ্রান্স’ও বলা যেতে পারে। 

আর নকআউট পর্বে এসে প্রোটিয়াদের স্নায়ু দুর্বলতার ব্যাপারটি সবারই জানা। ঢাকায় আইসিসির এই ইভেন্টের প্রথম আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এর পর আর তাদের ফাইনালে দেখা যায়নি। পাঁচটি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল পর্যন্ত যেতে পেরেছে তারা। সর্বশেষ গত বছর টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে গিয়েও হেরে গিয়েছে। তাই ক্রিকেটের এই দক্ষিণ আফ্রিকাকে ‘ফুটবলের নেদার‍ল্যান্ডস’ বললে বোধ হয় খুব বেশি ভুল হবে না। কারণ ডাচরা কিন্তু ফুটবল বিশ্বকাপে তিন তিনবার ফাইনাল খেলেও ট্রফি স্পর্শ করতে পারেনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ম ফ ইন ল র ফ ইন ল ফ টবল র আইস স

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানের কত পারমাণবিক স্থাপনা রয়েছে, কোথায় সেগুলোর অবস্থান

ইরানের রাজধানী তেহরানের বিভিন্ন শহরে আজ শুক্রবার ভোররাতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। পারমাণবিক কর্মসূচির মূল কেন্দ্র লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ হামলার আগে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে বিভিন্ন সময় ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি দ্রুত সম্প্রসারণ করছে—ক্রমবর্ধমান এই আশঙ্কার কারণেই মূলত এসব বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

২০১৫ সালে ছয় প্রভাবশালী দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক চুক্তি হয়। ওই চুক্তিতে ইরানকে পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত রাখার শর্ত দেওয়া হয়। বিনিময়ে দেশটির ওপর থেকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার পর থেকে ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি উল্লেখযোগ্যভাবে জোরদার করেছে।

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার ‍(আইএইএ) সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত ইরানে মোট সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত ছিল প্রায় ৯ হাজার ২৪৭ দশমিক ৬ কেজি বা ২০১৫ সালের চুক্তিতে নির্ধারিত সীমার চেয়ে ৪৫ গুণ বেশি।

মোট মজুতকৃত ইউরেনিয়ামের মধ্যে ৪০৮ দশমিক ৬ কেজি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করেছে ইরান, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে প্রযোজ্য সমৃদ্ধকরণের চেয়ে সামান্য কম। পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য ইউরেনিয়াম ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করতে হয়।

২০২১ সালের এপ্রিল মাসে নাতাঞ্জ পারমাণবিক কর্মসূচি কেন্দ্রে একটি হামলা হয়। এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ইরান।

ভিয়েনাভিত্তিক সংস্থা আইএইএ-এর সংজ্ঞা অনুযায়ী, তাত্ত্বিকভাবে ইরানের কাছে বর্তমানে যে পরিমাণ অস্ত্র তৈরির উপযোগী ইউরেনিয়াম রয়েছে, আরও কিছু পরিশোধন করলে তা দিয়ে দেশটি প্রায় ১০টি পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে পারবে।

তবে ইরান বরাবরই এ কথা অস্বীকার করে আসছে। পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কোনো অভিপ্রায় নেই বলে জানিয়েছে দেশটি।

নিচে ইরানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনার তালিকা দেওয়া হলো, যেগুলো জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক দল নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে:

ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র

০১. নাতাঞ্জ

তেহরান থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত নাতাঞ্জ ইরানের মূল ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র। এটি গভীরভাবে সুরক্ষিত (বাংকারযুক্ত) একটি স্থাপনা। কেন্দ্রটির অস্তিত্ব প্রথম সামনে আসে ২০০২ সালে।

নাতাঞ্জের দুটি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে প্রায় ৭০টি সেন্ট্রিফিউজের সারি আছে। এর মধ্যে একটি কেন্দ্রের কার্যক্রম ভূগর্ভে পরিচালিত হয়। সেন্ট্রিফিউজ হলো এমন যন্ত্র, যা ব্যবহার করে ধাপে ধাপে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা হয়।

২০২১ সালের এপ্রিলে নাতাঞ্জ পারমাণবিক কর্মসূচি কেন্দ্রে একটি হামলা হয়। এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ইরান।

আজ শুক্রবার ভোররাতে এই কেন্দ্রে হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। কেন্দ্রটির পাশাপাশি সেখানে অবস্থানরত পরমাণুবিজ্ঞানীদেরও নিশানা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

আইএইএ–এর প্রধান রাফায়েল গ্রোসি নিশ্চিত করেছেন, যেসব স্থান লক্ষ্য করে হামলা করা হয়েছে, তার মধ্যে একটি নাতাঞ্জ।

মধ্য ইরানের পবিত্র শহর কোমের কাছে একটি পাহাড়ের নিচে গোপনে নির্মিত পারমাণবিক কর্মসূচি কেন্দ্র ফোর্ডো ২০০৯ সালে প্রথম প্রকাশ্যে আসে। এটি জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে তৈরি করা হয়।

ফোর্ডো

মধ্য ইরানের পবিত্র শহর কোমের কাছে একটি পাহাড়ের নিচে গোপনে নির্মিত পারমাণবিক কর্মসূচি কেন্দ্র ফোর্ডো ২০০৯ সালে প্রথম প্রকাশ্যে আসে। এটি জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে তৈরি করা হয়।

প্রাথমিকভাবে এটিকে ‘জরুরি’ স্থাপনা হিসেবে বর্ণনা করা হলেও পরে ইরান জানায়, এটি একটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র। সম্ভাব্য বিমান হামলা থেকে রক্ষার জন্য মাটির নিচে এটি নির্মাণ করা হয়। এই কেন্দ্রে প্রায় তিন হাজার সেন্ট্রিফিউজ বসানো সম্ভব।

২০২৩ সালে এই কেন্দ্রে ৮৩ দশমিক ৭ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের কণা পাওয়া যায়। ইরানের দাবি, পরিশোধন প্রক্রিয়ায় অনিচ্ছাকৃত তারতম্যের কারণে এমনটি হয়েছে।

আরও পড়ুনইরানে ইসরায়েলের হামলার লক্ষ্যবস্তু কী, কারা জড়িত, নিহত কারা ৮ ঘণ্টা আগেইরানের বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের আমানতকারীরা টাকা ফেরত চান
  • ইরানের কত পারমাণবিক স্থাপনা রয়েছে, কোথায় সেগুলোর অবস্থান
  • তিন চ্যাম্পিয়ন দলসহ যেসব তারকাকে দেখা যাবে না ক্লাব বিশ্বকাপে